আল্লাহর রাসূল (সঃ) বলেন, তোমরা মানুষের দোষত্রুটি উদঘাটন কর না।
মানুষের দোষত্রুটি উদঘাটন করা মহা পাপ।
রাসূল (সঃ) মানুষের দোষত্রুটি ঢেকে রাখার চেষ্টা করেছেন এবং যারা চেষ্টা করে তাদের জন্য সরাসরি জান্নাত ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেছেন, কেউ যদি কোন মানুষের দোষত্রুটি ঢেকে রাখে তাহলে আল্লাহ তার দোষত্রুটি ইহকালেও এবং পরকালেও ঢাকবেন। আপনার যতই পাপ হোক, আপনার যদি এ অভ্যাস থাকে যে মানুষের দোষ নিয়ে আপনি বলাবলি করেন না। তাহলে আপনার সব দোষ কে আল্লাহ বিচারের মাঠে ঢেকে দিবেন। বিনিময়ে আপনার জান্নাত হবে। পরকালে তো ঢেকে রাখবেন রাখবেনই এবং ইহকালেও ঢাকবেন। তিনি নিজে দোষত্রুটি ঢেকে রাখার প্রাণপণে চেষ্টা করতেন।
এ ব্যাপারে আপনাদের সামনে একটা হাদীস বলি, তাতে আপনার মনে হবে যে এটা যেন বাস্তব ঘটছেঃ-
মায়েজ আসলামি (রাঃ) বলেন, আমি আল্লাহর রাসূলের (সঃ) এর নিকট এসে বললাম, আল্লাহর রাসূল আমাকে পবিত্র করেন,
তখন আল্লাহর রাসূল (সঃ) বললেন বাড়ি ফিরে যাও, আল্লাহর নিকটে ক্ষমা চাও, তুমি তওবা কর তোমার পাপ ক্ষমা হয়ে যাবে। লোকটি চলে গেল।
একটু গিয়ে আবার ফিরে এসে বলছে আল্লাহর রাসূল (সঃ) আমাক পবিত্র করুন।
তখন আল্লাহর রাসূল (সঃ) বললেন তুমি বাড়ি ফিরে যাও, আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাও, তুমি তওবা কর। লোকটি চলে গেল।
কিছু পথ গিয়ে আবার ফিরে এসে বলছে, হে আল্লাহর রাসূল (সঃ) আপনি আমাকে পবিত্র করুন।
তখন আল্লাহর রাসূল (সঃ) বললেন তুমি বাড়ি ফিরে যাও, আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাও, তুমি তার নিকটে তওবা কর। লোকটি চলে গেল।
একটু গিয়ে আবার ফিরে এসে বলছে, আল্লাহর রাসূল (সঃ) আমাকে পবিত্র করুন।
তখন আল্লাহর রাসূল (সঃ) বলছেন লোকটি কি পাগল? আরে আমি বলছি তুমি চলে যাও, ক্ষমা চাও, তওবা কর। আমি বলছি চলে যাও, ও বার বার ফিরে এসে বলছে আমাকে পবিত্র করুন। তাহলে ও কি পাগল যে আমার কথা বুঝে না? সাহাবীগণ বললেন জি না
ও পাগল নয়, ও ভালো মানুষ, আমার তাকে জানি বুঝি।
তখন আল্লাহর রাসূল (সঃ) মন্তব্য করেছেন, তাহলে সে কি মদ পান করেছে? তাই তার মস্তিষ্ক বিকৃত হয়েছে। সে আমার কথা বুঝে না কেনো? তখনই একটা লোক লাফ দিয়ে দাঁড়িয়ে তার মুখে নাক লাগিয়ে মুখটা সোজা রেখে বলছেন জি না, এ মদ পান করে নি, এ ভালো মানুষ।
তখন আল্লাহর রাসূল (সঃ) বলছেন, তুমি কি জিনা করেছ?
তখন সাহাবি বলেছেন, জী। মানুষ যা বৈধ ভাবে করে, আমি তা অবৈধ ভাবে করেছি। এতএব বিচার করে দেন।
এই পর্যন্ত হাদীস অনুবাদ করার পরে আপনার বিবেকের সাথে আবার হাদীস এর পিছন দিকে ফিরে যাই..... মরা পর্যন্ত এ হাদীস আপনাকে মনে রাখতে হবে জরুরি ভাবে, যে কোন মূল্যে... হাদীসের বাকি অংশ থাক.....
এতক্ষনে আল্লাহর রাসূল (সঃ) বলেছেন, যে তুমি কি জিনা করেছ? এ কথা তিনি বললেন... তাহলে তিনি প্রথমেই বুঝতে পেরেছিলেন ঘটনা এরকম কিছু আছে।
কই তিনি তো বললেন না প্রথমে; কেন পবিত্র করবো ঘটনা কি?
প্রথম বার বললেন না....
দ্বিতীয় বার বললেন না...
তৃতীয় বার বললেন না...
চতুর্থ বার বললেন না...
চতুর্থ বারে ফিরে এসে না বলে বলছেন; যে সে কী পাগল?
এখনও তো আল্লাহর রাসূল (সঃ) বলতে পারেন যে ঘটনা কি?
তারপরও না বলে বলছেন যে, লোকটা কি মদ পান করেছে?
তার মানে আল্লাহর রাসূল (সঃ) এখনও বলছেন যে, আমি তোমার ঘটনাটি জানতে চাচ্ছি না। তুমি ফিরে যাও। তোমার কি হয়েছে এ বিষয়ে আমি তোমার কাছে জানতে চাই না। আমি যা বলেছি তুমি তা গ্রহণ কর। কিন্তু ব্যক্তি গ্রহণ করলেন না। শেষ পর্যন্ত যা হওয়ার তাই হল।
বিচার হল... বিবাহিত ছিল... ঘটনা কি? মায়েজ ইবনু মালেক গরিব মানুষ। একজন ধনী মানুষের বাড়িতে কাজ করত, তার নাম হোজ্জাল।
হোজ্জালের স্ত্রীর সাথে মায়েজ ইবনু মালেক অশ্লীল কাজে জরিয়ে পরে। কথাটা মালিক জানতে পারেন। তখন হোজ্জাল তাকে বলেন....
মায়েজ ইবনু মালেক, ঘটনা যখন ঘটেই গেছে, তুমি আল্লাহর রাসূল (সঃ) এর কাছে যাও। গিয়ে বিষয়টি পেশ কর, দেখ তিনি কি বললেন? মালিকের পরামর্শে মায়েজ ইবনু মালেক রাসূলের কাছে এসে কথা প্রকাশ করলেন। শেষ পর্যন্ত যা হওয়ার তাই হল। আল্লাহর রাসূল (সঃ) প্রাণপণে চেষ্টা করলেন তার দোষ ঢেকে রাখার কিন্তু শেষ পর্যন্ত হল না। তার পিড়াপিড়ির কারণে বিচার হলই।
কোন একদিন আল্লাহর রাসূল (সঃ) রাস্তায় হাঁটছেন, আর হোজ্জাল রাস্তা দিয়ে আসছেন, মুখোমুখি দেখা অনেক দিন পরে, আল্লাহর রাসূল (সঃ) বলছেন হোজ্জাল ... তুমি যদি মায়েজ ইবনু মালেক এর বিষয়টা তোমার কাপড়ে ঢেকে রাখাতে, তাহলে কত ভালো হতো, তোমাকে আমি কি দিয়ে বুঝাই..! কত ভালো হতো তা হিসাব করে বুঝানো যাবে না।
ওখানে একটা শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে, যা সবাইকে বুঝানো যাবে না ( কত ভালো হতো তা হিসাব করে বুঝানো যাবে না)
তুমি যে কেনো আমার কাছে পাঠালে, আমার কাছে কোন কথা প্রকাশ হলে তার বিচার হয়ই।
তবে আমি চেষ্টা করেছি; শেষ পর্যন্ত হয়নি, তুমি কেনো পাঠালে? ওফ! তুমি যদি না পাঠিয়ে তার ঘটনাটি লুকিয়ে রাখতে, তাহলে যে কত ভালো হতো। কি দিয়ে আপনাকে এই হাদীস বুঝাই..??
বাঙ্গালীদের চালচলনের সাথে আচরণের সাথে, এই হাদীসের কোন মিলই নেই।
বাঙ্গালী এত নিম্ন শ্রেণীর প্রায় মানুষ, আজ থেকে নিয়ে ৪০ বছর পূর্বে কি হয়েছে সেটাও পেপার পত্রিকায় বের করে বিচার করতে চায়।
আর রাস্তা ঘাটে তো আছেই, আপনার যে একটা ঘটনা ঘটেছে, একজন আরেকজনের কাছে বলতে পারলে খুশি হয় ।
এই তো চরিত্র...!!
তাহাজ্জুদ পড়ে জান্নাত কিনব মনে করেছেন?
জি না....!
বহু দূরে জান্নাত বহূ দূরে।
জাহান্নাম সহজ...
জান্নাত সহজ নয়।
জান্নাত খুব কঠিন ব্যাপার।
মানুষের দোষত্রুটি উদঘাটন করা মহা পাপ।
রাসূল (সঃ) মানুষের দোষত্রুটি ঢেকে রাখার চেষ্টা করেছেন এবং যারা চেষ্টা করে তাদের জন্য সরাসরি জান্নাত ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেছেন, কেউ যদি কোন মানুষের দোষত্রুটি ঢেকে রাখে তাহলে আল্লাহ তার দোষত্রুটি ইহকালেও এবং পরকালেও ঢাকবেন। আপনার যতই পাপ হোক, আপনার যদি এ অভ্যাস থাকে যে মানুষের দোষ নিয়ে আপনি বলাবলি করেন না। তাহলে আপনার সব দোষ কে আল্লাহ বিচারের মাঠে ঢেকে দিবেন। বিনিময়ে আপনার জান্নাত হবে। পরকালে তো ঢেকে রাখবেন রাখবেনই এবং ইহকালেও ঢাকবেন। তিনি নিজে দোষত্রুটি ঢেকে রাখার প্রাণপণে চেষ্টা করতেন।
এ ব্যাপারে আপনাদের সামনে একটা হাদীস বলি, তাতে আপনার মনে হবে যে এটা যেন বাস্তব ঘটছেঃ-
মায়েজ আসলামি (রাঃ) বলেন, আমি আল্লাহর রাসূলের (সঃ) এর নিকট এসে বললাম, আল্লাহর রাসূল আমাকে পবিত্র করেন,
তখন আল্লাহর রাসূল (সঃ) বললেন বাড়ি ফিরে যাও, আল্লাহর নিকটে ক্ষমা চাও, তুমি তওবা কর তোমার পাপ ক্ষমা হয়ে যাবে। লোকটি চলে গেল।
একটু গিয়ে আবার ফিরে এসে বলছে আল্লাহর রাসূল (সঃ) আমাক পবিত্র করুন।
তখন আল্লাহর রাসূল (সঃ) বললেন তুমি বাড়ি ফিরে যাও, আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাও, তুমি তওবা কর। লোকটি চলে গেল।
কিছু পথ গিয়ে আবার ফিরে এসে বলছে, হে আল্লাহর রাসূল (সঃ) আপনি আমাকে পবিত্র করুন।
তখন আল্লাহর রাসূল (সঃ) বললেন তুমি বাড়ি ফিরে যাও, আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাও, তুমি তার নিকটে তওবা কর। লোকটি চলে গেল।
একটু গিয়ে আবার ফিরে এসে বলছে, আল্লাহর রাসূল (সঃ) আমাকে পবিত্র করুন।
তখন আল্লাহর রাসূল (সঃ) বলছেন লোকটি কি পাগল? আরে আমি বলছি তুমি চলে যাও, ক্ষমা চাও, তওবা কর। আমি বলছি চলে যাও, ও বার বার ফিরে এসে বলছে আমাকে পবিত্র করুন। তাহলে ও কি পাগল যে আমার কথা বুঝে না? সাহাবীগণ বললেন জি না
ও পাগল নয়, ও ভালো মানুষ, আমার তাকে জানি বুঝি।
তখন আল্লাহর রাসূল (সঃ) মন্তব্য করেছেন, তাহলে সে কি মদ পান করেছে? তাই তার মস্তিষ্ক বিকৃত হয়েছে। সে আমার কথা বুঝে না কেনো? তখনই একটা লোক লাফ দিয়ে দাঁড়িয়ে তার মুখে নাক লাগিয়ে মুখটা সোজা রেখে বলছেন জি না, এ মদ পান করে নি, এ ভালো মানুষ।
তখন আল্লাহর রাসূল (সঃ) বলছেন, তুমি কি জিনা করেছ?
তখন সাহাবি বলেছেন, জী। মানুষ যা বৈধ ভাবে করে, আমি তা অবৈধ ভাবে করেছি। এতএব বিচার করে দেন।
এই পর্যন্ত হাদীস অনুবাদ করার পরে আপনার বিবেকের সাথে আবার হাদীস এর পিছন দিকে ফিরে যাই..... মরা পর্যন্ত এ হাদীস আপনাকে মনে রাখতে হবে জরুরি ভাবে, যে কোন মূল্যে... হাদীসের বাকি অংশ থাক.....
এতক্ষনে আল্লাহর রাসূল (সঃ) বলেছেন, যে তুমি কি জিনা করেছ? এ কথা তিনি বললেন... তাহলে তিনি প্রথমেই বুঝতে পেরেছিলেন ঘটনা এরকম কিছু আছে।
কই তিনি তো বললেন না প্রথমে; কেন পবিত্র করবো ঘটনা কি?
প্রথম বার বললেন না....
দ্বিতীয় বার বললেন না...
তৃতীয় বার বললেন না...
চতুর্থ বার বললেন না...
চতুর্থ বারে ফিরে এসে না বলে বলছেন; যে সে কী পাগল?
এখনও তো আল্লাহর রাসূল (সঃ) বলতে পারেন যে ঘটনা কি?
তারপরও না বলে বলছেন যে, লোকটা কি মদ পান করেছে?
তার মানে আল্লাহর রাসূল (সঃ) এখনও বলছেন যে, আমি তোমার ঘটনাটি জানতে চাচ্ছি না। তুমি ফিরে যাও। তোমার কি হয়েছে এ বিষয়ে আমি তোমার কাছে জানতে চাই না। আমি যা বলেছি তুমি তা গ্রহণ কর। কিন্তু ব্যক্তি গ্রহণ করলেন না। শেষ পর্যন্ত যা হওয়ার তাই হল।
বিচার হল... বিবাহিত ছিল... ঘটনা কি? মায়েজ ইবনু মালেক গরিব মানুষ। একজন ধনী মানুষের বাড়িতে কাজ করত, তার নাম হোজ্জাল।
হোজ্জালের স্ত্রীর সাথে মায়েজ ইবনু মালেক অশ্লীল কাজে জরিয়ে পরে। কথাটা মালিক জানতে পারেন। তখন হোজ্জাল তাকে বলেন....
মায়েজ ইবনু মালেক, ঘটনা যখন ঘটেই গেছে, তুমি আল্লাহর রাসূল (সঃ) এর কাছে যাও। গিয়ে বিষয়টি পেশ কর, দেখ তিনি কি বললেন? মালিকের পরামর্শে মায়েজ ইবনু মালেক রাসূলের কাছে এসে কথা প্রকাশ করলেন। শেষ পর্যন্ত যা হওয়ার তাই হল। আল্লাহর রাসূল (সঃ) প্রাণপণে চেষ্টা করলেন তার দোষ ঢেকে রাখার কিন্তু শেষ পর্যন্ত হল না। তার পিড়াপিড়ির কারণে বিচার হলই।
কোন একদিন আল্লাহর রাসূল (সঃ) রাস্তায় হাঁটছেন, আর হোজ্জাল রাস্তা দিয়ে আসছেন, মুখোমুখি দেখা অনেক দিন পরে, আল্লাহর রাসূল (সঃ) বলছেন হোজ্জাল ... তুমি যদি মায়েজ ইবনু মালেক এর বিষয়টা তোমার কাপড়ে ঢেকে রাখাতে, তাহলে কত ভালো হতো, তোমাকে আমি কি দিয়ে বুঝাই..! কত ভালো হতো তা হিসাব করে বুঝানো যাবে না।
ওখানে একটা শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে, যা সবাইকে বুঝানো যাবে না ( কত ভালো হতো তা হিসাব করে বুঝানো যাবে না)
তুমি যে কেনো আমার কাছে পাঠালে, আমার কাছে কোন কথা প্রকাশ হলে তার বিচার হয়ই।
তবে আমি চেষ্টা করেছি; শেষ পর্যন্ত হয়নি, তুমি কেনো পাঠালে? ওফ! তুমি যদি না পাঠিয়ে তার ঘটনাটি লুকিয়ে রাখতে, তাহলে যে কত ভালো হতো। কি দিয়ে আপনাকে এই হাদীস বুঝাই..??
বাঙ্গালীদের চালচলনের সাথে আচরণের সাথে, এই হাদীসের কোন মিলই নেই।
বাঙ্গালী এত নিম্ন শ্রেণীর প্রায় মানুষ, আজ থেকে নিয়ে ৪০ বছর পূর্বে কি হয়েছে সেটাও পেপার পত্রিকায় বের করে বিচার করতে চায়।
আর রাস্তা ঘাটে তো আছেই, আপনার যে একটা ঘটনা ঘটেছে, একজন আরেকজনের কাছে বলতে পারলে খুশি হয় ।
এই তো চরিত্র...!!
তাহাজ্জুদ পড়ে জান্নাত কিনব মনে করেছেন?
জি না....!
বহু দূরে জান্নাত বহূ দূরে।
জাহান্নাম সহজ...
জান্নাত সহজ নয়।
জান্নাত খুব কঠিন ব্যাপার।