Monday, December 31, 2018

Thirty First Night

আসসালামু-আলাইকুম আশা করি সবাই ভালো আছেন।

বর্তমান প্রেক্ষাপট নিয়ে কিছু কথা বলি।
আমরা বর্বরতার যুগে বাস করছি, কোরআনের জ্ঞান নাই বললেই চলে; কোরআন পড়ি না, কোরআন বুঝি না এবং বোঝার চেষ্টা করি না।

আজকের দিনে মুসলিমদের দেখলে বড়ই দুঃখ লাগে আফসোস হয়, যে আমরা কোথাই আছি।


যাই হোক মূল কথাই ফিরে আসি।
বর্তমানে কিছু বিষয় আমাদের মাঝে দেখা যায় যে, আমরা বলে থাকি, বা ফেসবুক প্রোফাইলে লিখে রাখি, আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসূল (সঃ) ভালোবাসি বা আনুগত্য করি । এমন কিছু টাইপ এর বাণী শুনে থাকি বা লিখে রাখি।

আমার প্রশ্নঃ সত্য সত্যিই কি আমরা অন্তর থেকে আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসূল (সঃ) কে ভালোবাসি?

আল্লাহ সুবহানাতায়ালা কুরআনুল কারীমে যা বলেছেনঃ
২ সূরা আল-ইমরানঃ ১৪৯ এবং ১৫০।

 يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِنْ تُطِيعُوا الَّذِينَ كَفَرُوا يَرُدُّوكُمْ عَلَىٰ أَعْقَابِكُمْ فَتَنْقَلِبُوا خَاسِرِينَ

হে মু’মিনগণ ! যদি তোমরা কাফিরদের আনুগত্য কর তবে, তাহারা তোমাদেরকে বিপরীত দিকে ফিরাইয়া দিবে এবং তোমরা ক্ষতিগ্রস্ত হইয়া পড়িবে।

بَلِ اللَّهُ مَوْلَاكُمْ ۖ وَهُوَ خَيْرُ النَّاصِرِينَ

আল্লাহই তো তোমাদের অভিভাবক এবং তিনিই শ্রেষ্ঠ সাহায্যকারী।

আমরা যদি সত্যিকার অর্থেই আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসূল (সঃ) কে অন্তর থেকে ভালোবাসতাম তাহলে, এই বর্বর কাফের, ইহুদী-নাছারা এবং মোশরেকদের মতো দিবস, জন্ম দিবস, এ-দিবস, সে-দিবস, আরো কত যে দিবস; এই দিবস পালন করতাম না।

মুসলমানদের জন্য খুশির দিন হচ্ছে দুই দিন তা হচ্ছে দুই ঈদ। ১) ঈদুল ফিতর । ২) ঈদুল আযহা।
একটু চিন্তা করে দেখুন তো আল্লাহ সুবহানাতায়ালা কি বলছেন সূরা আল-ইমরানে ১৪৯?
আল্লাহ সুবানাতায়ালা আমাদেরকে অর্থাৎ মুমিনদের কে ”সতর্ক করছে” যাতে আমরা কাফেরদের অনুসরণ না করি। এটা আল্লাহ তালা বলছেন অন্য কেউ নয়। এটা আল্লাহর কথা।
কখনো কি চিন্তা করেছেন এটা কত বড় কথা?
তারপরে আল্লাহ তালা আমাদেরকে বলে দিচ্ছে তারা আমাদেরকে ক্ষতি করবে, এবং তাই করছে।
কিন্তু আমরা বুঝতে পারছি না যে ক্ষতিটা কী!

আজকের দিনে আমরা কাফের, ইহুদী-নাছারা এবং মোশরেকদের আনুগত্য করতে গিয়ে আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসূল (সঃ) কে ভুলে গেছি।

আজকে আমরা আনুগত্য করছি, কাফের, ইহুদী-নাছারা এবং মোশরেকদের দিবস; পালন করছি #থার্টি ফার্স্ট নাইট” (Thirty First Night)।


একজন মুসলিম হিসেবে কষ্ট লাগে আরেকজন মুসলিমের এই কাজগুলা দেখে। দুঃখ হয়, কষ্ট হয় ।



তারপরে আল্লাহ তালা আমাদের সু-সংবাদ দিচ্ছে (সূরা আল-ইমরান ১৫০) আমি তোমাদের অভিভাবক ” আল্লাহর কাছে ফিরে আসার আহ্বান”। এর থেকে বোঝা যায় যে আল্লাহ সুবহানাতায়ালা আমাদের কতোটা ভালোবাসেন। কতোটা ভালোবাসা নিয়ে কথাটা বলেছেন।
এক মাত্র তিনিই আমাদের সাহায্যকারী। অর্থাৎঃ ভুল করলে, তাঁর কাছে সাহায্য চাইলে তিনি অবশ্যই আমাদেরকে সাহায্য করবেন।

আল্লাহ সুবহানাতায়ালা সবাইকে বোঝার মত তাওফিক দান করুন ।

Friday, October 19, 2018

সৎ পাত্রী ও পাত্র চয়ন




সৎ পাত্রী চয়ন

স্ত্রী হচ্ছে স্বামীর সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের উপকরণ ও তার সন্তান উৎপাদনের ক্ষেত্র। স্ত্রী স্বামীর জীবন সংগিনী, তার ঘরের রাণী, তার সন্তানের মা, তার হৃদয়ের আকর্ষণ এবং তার মনের মানসী।

স্ত্রী-ই পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ অংগ। কেননা, তার মাধ্যমেই সন্তানের ভবিষ্যত আভিজাত্য নির্ধারিত হয়। সন্তান মায়ের মত গুণ-স্বভাবে গুণান্বিত হয়, মায়ের কোলেই লালিত হয়। সন্তানের কোমল মনােবৃত্তিসমূহ, তার স্বভাব প্রতিভাসমূহ এবং বিকশিত হয় তার মাতৃভাষা ।  সন্তান মায়ের কাছেই গ্রহণ করে তার আচার-আচরণের বহুলাংশ, পরিচিতি লাভ করে তার দীন তার আকীদা-বিশ্বাসের এবং অভ্যাস রপ্ত করে সামাজিক শিষ্টাচারের।

এ সব কারণে ইসলাম ভাল স্ত্রী গ্রহণের বিষয়টিকে যথেষ্ট গুরুত্ব প্রদান করেছে এবং তাকে দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ উপভােগ্য বিষয় ধার্য করে তার সম্পর্কে পূর্ব অবগতি লাভে ও সৎ পাত্রী। চয়নে অনুপ্রাণিত করেছে।

সৎ পাত্র চয়ন

অভিভাবকের কর্তব্য তার নয়ন মণি'র জন্য পাত্র বাছাই করে নিবে। সুতরাং পাত্রের দীনদারী, নীতি-চরিত্র, আভিজাত্য ও সৎ-স্বভাব বিবেচনা করে কন্যা সম্প্রদান করবে। ফলে সে স্ত্রীর সঙ্গে জীবন যাপন করলে সদাচরণের জীবন যাপন করবে, কিংবা বিদায় করলে সৌজন্যের সংগে বিদায় করবে।


রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যখন তােমাদের কাছে এমন কোন ব্যক্তি (বিয়ের প্রস্তাব) নিয়ে আসে যার দীনদারী ও চরিত্র তােমরা পসন্দকর, তখন তার কাছে বিয়ে দিয়ে দাও! যদি তােমরা তা না কর তবে পৃথিবীতে সংকট ও ব্যাপক বিশৃংখলা দেখা দিবে। (তিরমিযী ও আহমাদ)


নারীদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ তারা যাদের মহর সহজে
আদায়যােগ্য। (তাবারানী)

তােমাদের শ্রেষ্ঠ নারী সন্তানবতী, প্রেমময়ী, যারা পর্দার অন্তরালবর্তী, পরিবারের আদরের পাত্রী, স্বামীর অনুগতা, জীবন সঙ্গীর সান্নিধ্যে প্রসাধনকারিণী, অপর জনদের হতে আত্মসংরক্ষণকারিণী, যে স্বামীর কথা শুনে তা মেনে চলে এবং স্বামীর সংগে নির্জন বাসকালে তার উদ্দেশ্যের কাছে নিজেকে নিবেদন করে এবং পুরুষের ন্যায় নিবেদিতা হয় না। (আতুসী)

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ "খাযরাউদ দামিন" পতিত ও পরিত্যক্ত ভূমির সবুজ শ্যামল হতে তােমরা সাবধান! বলা হল, ইয়া রাসূলাল্লাহু (সঃ) 'খাযরাউ দামিন' কি? তিনি বললেনঃ

المرأة الحسناء في المنبت السوء
মন্দ জন্ম ক্ষেত্রের সুন্দরী নারী (গােবরে পদ্মফুল)।

ثلاثة كلهم حق على الله عز وجل عونه المجاهد في سبيل الله ولنا ادم
اكح يستعف والمكاتب يريد الاداء..


তিন ব্যক্তির প্রত্যেককে সাহায্য করা মহীয়ান-গরীয়ান আল্লাহর নিজ দায়িত্বে। (১) আল্লাহর পথের মুজাহিদ (২) চারিত্রিক পবিত্রতা রক্ষার উদ্দেশ্যে বিয়ে করতে আগ্রহী ব্যক্তি এবং (৩) মুক্তি আদায়ের সদিচ্ছা সম্পন্ন মুকাতাব দাস। যে দাস নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়েমুক্ত হওয়ার ব্যাপারে তার মালিকের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ)  ।(হাকিম)

R-Quran 

Sunday, July 15, 2018

বর্তমানে একটি ট্রেন্ড চালু আছে, মানুষ স্পষ্ট হারাম কাজ জড়িত সঙ্গে আল্লাহকে ধন্যবাদ, এবং সাহায্য কামনা করা হয়।

বর্তমানে একটি ট্রেন্ড চালু আছে, মানুষ স্পষ্ট হারাম কাজ জড়িত সঙ্গে আল্লাহকে ধন্যবাদ, এবং সাহায্য কামনা করা হয়।
যেমন:

✪আলহামদুলিল্লাহ আমার মেয়ে বাংলাদেশী আইডলে চস পেয়েছেন। ইনশাল্লাহ এখন ব্যাংকের জব হয়ে যাবে। "
✪ভাই দোয়া করবেন ব্যাংক থেকে এখন লোনটা হয়ে গেছে।
✪মা'স'আল্লাহ, আন্টি তোমার মেয়েকে দারুন নাচতে জানে "...
হ্যাঁ আলহামদুলিল্লাহ স্কুল ডান্স প্রতিযোগিতায় সে প্রথম হয়েছে
✪ (এক ছেলের কলিগের স্ত্রীকে ইঙ্গিত করা হয়েছে) ভাবি, আর বাজেনা আপনি যে সুন্দর মাসা আল্লাহ
✪আনশাআল্লাহ এবারে আর্জেন্টিনা ওয়াল্ডের কাপ জিতলে আমি নাম্বার পড়া শুরু করবো
✪মা'স'আল্লাহ আপনার ছেলের গালে হলুদ অনুষ্ঠান দারুণ হ'ল - যা ডান্স করেছেন জোয়ান বুড়ো সবাই। হ্যাঁ দোয়া কর যেন দ্বিতীয় ছেলের বিয়েটাও এমনভাবে পালন করা হয়,
✪ (ছেলে-মেয়ে মিক্স ফ্রেন্ড চক্রকে উদ্দেশ্য করে) আলহামদুলিল্লাহ আমার ফ্রেন্ডসরা হেল্প ফুল।
✪মশাল্লাহ তো আপনি এমনিতে সুন্দর দেখেন, দাড়ি রাখজে কেন?
✪মশাল্লা আমার মেয়েটা এত সুন্দরী যে সব মানুষ তার দিকে তাকিয়ে আছে,
এক অংকের বললাম,
✪ শুনলাম অকন্য ভাইয়ের ছেলের দলে রহমমমমমম মজুমদারের চাকরি হয়ে গেছে, গাড়ি এসে তাকে নিয়ে গেছে!
✪চোর চুরি করার সময় আল্লাহকে ডাকতে যেন ধরা পড়ে না।
✪ বেল্লা গার্ডেন বসে প্রেমিক তার প্রেমিকাকে বেগানা পুরুষের সামনে পর্দা করতে অযথিত করে
✪ ফরজ নামাজ পরে (সমাপনী) বিদাতি মোনাজাতে বিদাত মুক্ত হয়ে দোয়া করে।
নিজে সার্ট প্যান্ট পরে কোট টাই ওয়ালাকে ঈহুদী খ্রিস্টান এর দালাল বলে ফতোয়া দেই
মুসলিম হিন্দু বন্ধুকে পরীক্ষার জন্য দোয়া চাচ্ছিলেন, তবে হিন্দু বন্ধু কে আবেদনের জন্য?
হজুর বলছে, একমাত্র রাসূল (সা :) এর তরিকায় জীবন পরিচালনা করতে হবে, কিন্তু হজুর বন শুরু করা বালাগাল ওলব্য দিয়ে ,,,,,
✪ বলছে বাংলায় বোখের পড়তে যাবেনা, তবে বাংলায় ফজেইয়েল, বেহেস্তি জওর, ইত্যাদি পড়ার জন্য দাওয়াত করা ,,,,,
✪ না বুঝতে পারলে, বিছমিল্লা গলদ। অথচ, তিনি চিন্তায় না নাই "বিছমিল্লাহ" অর্থ কি? কথাটার মানে কি দড়াল?
✪ ফেইসবুকে নিউজ, আফগানিস্তান ২00 হাফেজ শহীদ হয়েছে, আর বলছে আমিন লিখবেন না অথচ, "আমিন" অর্থ এটা তাই ই। মোরার সংবাদ শোনার পরেও বলছেন আমিন। বিস্ময়।
✪ তাবিজের মত নিশ্চিত শরবরে কাজে কোরআনের আয়াত ব্যবহার করা হচ্ছে যেন ধোকা দেওয়া যায়, বিছমিল্লাহ বললে কি খেতে হবে তা কি হালাল?
কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে ,,,,,
✪ বুড়ি মা পুরাই পর্দাশিন, কিন্তু তার মেয়ে আর সাথে বসেই অর্ধনগ্ন
✪ এক ভাই হোটেল ক্যাশিয়ার স্ত্রীকে বসিয়ে টাব্লিগে গলে ,,,,,,
✪ হজুর জর্দা খায় এবং সাধারণ মানুষকে বোঝা যায় ম্যাক্রো, বোঝার জন্য জয়েজ >> অথচ ম্যাক্রো মানেই নিষিদ্ধ বা অপছন্দনীয়। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অপছন্দনীয় কাজ মুসলমান হয়ে কিভাবে?
✪ আরেকজন বিশ্বাসীকে দেখেছি, প্রতিবার নামায আদায় করার আগেই সিজারেট টেনে নিলাম, তারপর মেছুওয়াক করে ওযু।
✪ মানুষ পশাবের সন্নিকটে পানি থাকলেও ঢিলা কুলুব ব্যবহার করে, তবে কিসের ব্যবহার করা হলে আজোও জানতে হবে না,
প্রতিদিন ভেজাল দুধ খাওয়া খাওয়া, একদিন পিউর খেয়ে বলছে একদিনের ভেজাল, ঠিক একইভাবে সারা জীবন ভুল ভ্রান্তি ইবাদত কোরআন হাদিসের দলিল সংশোধন করে দিলেই বলবে নতুন নতুন ইবাদত কোথায় পাও? অথচ কোরআন হাদীসে এখনো প্রমাণিত হয়েছে, কিন্তু কেউ দেখেনি।
✪ হিন্দু পাণ্ডিত সারা জীবন গীতার পড়া এবং পড়াইতে যেমন মোহাম্মদ (সা :) এর নাম খোজে পাইনি, আমাদের দেশে কিছু আলেম 40 বছর বুখারী পড়তেও নামায সঠিক নিয়ম পাইনি।



দাজ্জালের এক পাশে রাখা জান্নাত, অন্য পাশে জাহান্নাম। আমরা দাজ্জালের জান্নাতকেই হ'ল দয়াময় মনে মনে করেছি এখন আমাদের এই অবস্থা, না জানি তার আগমনের কি হবে আমাদের

# বিদ্রোহ: এগুলো বলছে কেউ কেউ নিকুটে বা ব্যঙ্গ করা আমার উদ্দেশ্য নয়। সত্যই আমাদের সমাজে যেমন আমিও সমাজের অংশ, তাই এই সমালোচনামূলক পোস্টে আমি সর্বদাই 'আমরা / আমাদের' শব্দ ব্যবহার করছি। এগুলি থেকে আমাদের বিরত থাকা উচিত।]

Friday, July 6, 2018

The Prophet Muhammad ﷺ said that “All's well that ends well”



The Prophet Muhammad ﷺ said that “All's well that ends well”
What is ends well? 
Ends well is Kalima
The person who can say The Kalima before the death, He went to Jannah.


প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ ﷺ বলেছেনঃ শেষ ভালো যার সব ভালো তার।
আমাদের ”শেষ ভালো” এর উপর ভরসা করতে হবে।প্রথম ভালো হলে যে শেষ ভালো হবে এটা বোকার পরিচয়। 


কথার কথা বলছিঃ “দুনিয়াতে একটা জিনিস দেখা যায় যে, সন্তান প্রথম বছরে ইউনিভার্সিটি তে ভাল রেজাল্ট করল পরে সন্ত্রাস হয়ে বের হল” এখানে লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে যে, প্রথমে যে ভালো আছে, এই ভালোই ভালো নয়। প্রথম ভালো থেকে শেষ ভালো পর্যন্ত টিকে থাকা। শেষ রক্ষাই রক্ষা।


শেষ ভালোটা কী?


শেষ ভালোটা হচ্ছে কালেমা “লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ্ ﷺ” 
যে ব্যক্তি এই কালেমা মৃত্যুর আগে বলতে পারলো, সে জান্নাতে চলে গেলো।


যে কথাটা বলার জন্য এতো কিছু বলা সেই কথাই আসা যাকঃ


মূল বক্তব্যেঃ সিজদারত অবস্থায় মৃত্যু। 


”সিজদারত অবস্থায় মৃত্যু বরণ করতে চাওয়া”


”সিজদারত অবস্থায় মৃত্যু বরণ করলে কী হবে তা আমি জানি না। আল্লাহ সুবহানাতায়ালাই ভালো জানেন।


হয়তো বা আপনার দোয়া ”সিজদারত অবস্থায় মৃত্যু বরণ” দেখা গেল আপনার ”সিজদারত অবস্থায় মৃত্যু হলো কিন্তু কালেমা বলতে পারলেন না।


প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ ﷺ বলেছেনঃ যে ব্যক্তি মৃত্যুর আগে কালেমা বলতে পারলো, সে জান্নাতে চলে গেলো।আর মৃত্যুটাই হচ্ছে শেষ।তার পরে ব্যক্তি স্বাধীনতা আর থাকবে না। 


তাই আমাদের দোয়া করা উচিত, যেন শেষ মুহূর্তে আমরা ”শেষ ভালোটা” অর্থাৎ “লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ্ ﷺ” নিয়ে যেতে পারি। 




কালেমার মূল্যঃ 


হযরত মুহাম্মদ ﷺ বলেছেনঃ কিয়ামতের দিন এক ব্যক্তিকে সকলের সামনে ডাকা হবে, সকলের সামনে উপস্থিত করে আল্লাহ সুবহানাতায়ালা তার ৯৯টি বদ আমলনামা পেশ করবেন। তার সারা জীবনের যত কুকর্ম আছে, সারা জীবনের যত অপরাধ আছে, এগুলোর হিসাবের যে দপ্তর, সেটার ৯৯টি দপ্তর আল্লাহ সুবহানাতায়ালা তার সামনে উপস্থিত করবেন। যার একএকটি দপ্তর চোখের যতদূর চোখ যায়…….. ততদূর পর্যন্ত বৃহৎ…….. এত বড় হবে একএকটি দপ্তর।এই রকম ৯৯টি দপ্তর হাজির করবেন। ওই ব্যক্তির এত বেশি অপরাধ ছিল।


এর পর আল্লাহ সুবহানাতায়ালা বলবেন, এই যে দপ্তর গুলোতে যা লিখা আছে তুমি এই সব করেছ বলে আমার ফেরেশতা সংরক্ষণ করেছেন, এই ফেরেশতাদের লিখা তাদের সংরক্ষিত এই হিসাব,এর বিষয়ে তোমার কোন সন্দেহ আছে কি? বা এর কোনটি কি তুমি অস্বীকার কর? আল্লাহর আদালতে তার জবানবন্দি নেওয়া হবে।তখন সেই ব্যক্তি বলবে সকলের সামনে, যে না আল্লাহ আপনার ফেরেশতা কোন কিছু বাড়িয়ে লিখে নাই।আমি কোনটিকে অস্বীকার করছি না।এর সবই আমার কৃতকর্ম।


তখন আল্লাহ সুবহানাতায়ালা তাকে বলবেনঃ 
তুমি এতো অপরাধ করলে, 
এতো অন্যায় করলে তোমার কী কোন ”অজর আছে” বা তোমার কী কোন বক্তব্য, তোমাকে কী কেউ করতে বাধ্য করছে, বা তোমার কী কিছু বলার আছে?


তখন সে বলবে না আল্লাহ। কেউ আমাকে বাধ্য করে নাই আমি নিজেই করেছি। এবং আজকে আমার কোন বক্তব্য পেশ করার মতো নাই আপনার সামনে।


তখন আল্লাহ সুবহানাতায়ালা বলবেনঃ হাঁ তোমার একটি ভাল কাজ আছে আমার কাছে।নিশ্চয়ই আজ তোমার প্রতি অবিচার করা হবে না। যেটুকু ভাল কাজ করেছ তার প্রতিদান পাবে। 


তখন এক টুকরো কাগজ বের করা হবে, যেখানে লিখা থাকবে কলেমা।আল্লাহ বলবেন যে, তোমার মধ্যে এই বিশ্বাস ছিল।অর্থাৎ কালেমার বিশ্বাস।


তখন আল্লাহ সুবহানাতায়ালা বলবেন তোমার আমল মাপা হবে, আসো..! হাজির হওয়, সামনে আসো, কাছে আসো।


৯৯টি দপ্তর একপাশে থাকবে এবং কালেমা এক পাশে থাকবে। অর্থাৎ মিজানে আমল মাপা হবে। 


তখন সেই ব্যক্তি বলবে, হে আল্লাহ কী লাভ হবে এই পরিমাপ করে, এই বিশাল আমার অপরাধের যে পাহাড়, সেটার বিপরীতে এই একটি কাগজের টুকরো কি আর হবে আল্লাহ? নিরাশ হয়ে যাবে লোকটি।


তখন আল্লাহ বলবেনঃ যাই হোকনা কেন, তোমার প্রতি অন্যায় অবিচার অন্তত করা হবে না। 
এতএব, তুমি প্রত্যক কর, দেখ তোমার বিচারের কি হয়। এবং তখন এক পাশের পাল্লাই সব অপরাধের আমলনামা রাখা হবে এবং অন্য পাল্লাই ওই এক টুকরো কাগজ, যাতে লিখা আছে কালেমা সেটা রাখা হবে, কালেমার পাল্লা বেশি ভারী হবে।”সুবাহানাল্লাহ”


আপনি এখন ভেবে দেখুন যে কোনটার মূল্য বেশি?
”সিজদারত অবস্থায় মৃত্যু বরণ করতে চাওয়া”
না কি?
”শেষ ভালোটা” অর্থাৎ “লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ্ ﷺ”


আমাদের দোয়া করা উচিত, চিন্তা ভাবনা করে বেশি সময় নিয়ে, জাতে করে আমরা
আল্লাহ সুবহানাতায়ালার কাছে থেকে সবচেয়ে দামি জিনিসটা চাইতে পারি, সেই তাওফিক দান করুক সবাইকে।


এ সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পাওয়ার জন্য, ভালো ভাবে জানতে হবেঃ মৃত্যু আজাব, কবর, নেককার বান্দার মৃত্যু, বদকার বান্দার মৃত্যু, যা বলা হয়েছে আল কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে।এগুলো জানলে সব পরিষ্কার হয়ে যাবে।

Saturday, February 10, 2018

আমরা কী সত্যিই মুসলিম না কি নামে মুসলিম?



আমরা কী সত্যিই মুসলিম না কি নামে মুসলিম?

হ্যাঁ আমরা মুসলিম নামে মুসলিম।
এক জন মুসলিম হিসাবে আমাদের কি করার কথা বলা হয়েছে আর আমরা কি করছি...
আমার গর্ব করে বলি আমার মুসলিম, আগে মুসলিম হন তার পরে বলেন যে আমি মুসলিম।

আমি কিছু মানুষকে প্রশ্ন করেছিলাম যে,,
আপনি কেন মুসলিম?
এক জন মুসলিম হিসাবে আপনার কি করা উচিত?
আর আপনি কি করছেন?
অনেকেই অনেক ধরনের কথা বললেন।
কিছু মানুষ চুপ করে ভাবে।
কেউ বলে মুসলিম ঘরে জন্ম নিয়েছি তাই মুসলিম।

এর আগে এক জন বলছে যে, তাহলে আমাকে কী মুসলিম হতে হবে?
হ্যাঁ: অবশ্যই আপনাকে মুসলিম হতে হবে।
যদি বলেন কেন আমি মুসলিম হবো? আমি তো মুসলিম ঘরের সন্তান আমাকে মুসলিম হতে হবে কেন?

হুম, আমরা মুসলিম, নামে মুসলিম। যদি বলেন কেন?

আমার জন্মের পর থেকে দেখে আসছি যে, আমাদের দাদা দাদী, নানা নানী, বাবা মা এইটা করছে, বাবা বলছে এটা করো, মা বলছে এটা করো। সেটাই দেখে আমার তাদেরকে অনুসরণ অনুকরণ করছি।

এই যদি আপনি ইহুদি নাসারা বা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানের ঘরের সন্তান হতেন?
তাহলে ঠিক তাদেরকেই আপনি অনুসরণ অনুকরণ করতেন। এটাই সত্য।

সর্ব প্রথম আল্লাহ সুবহানাহু তাআলার কাছে শুকরিয়া আদায় করুন যে, আল্লাহ সুবহানাহু তাআলা আপনাকে মুসলিম ঘরে জন্ম দিয়েছেন।

ইসলামের মৌলিক ৫টি স্তম্ভ হলোঃ-
১) কালেমা শাহাদাত।
"লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ্‌।" স্বাক্ষ‍্য দেয়া।
২) সালাত।
সালাতকে বলা হয় দ্বীনের খুঁটি। খুঁটি ছাড়া যেমন ঘর হয় না, তেমনি সালাত ব্যতীত দ্বীন পরিপূর্ণ হয় না।
প্রত্যেক বালেগ নর-নারীর উপর সালাত ফরজ করা হয়েছে।
৩) সাওম।
৪) হজ্ব ।
৫) যাকাত।

সর্ব প্রথম আপনাকে ঈমান আনতে হবে এক কালেমা "লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ্‌।" স্বাক্ষ‍্য দেয়া। প্রথমে আপনার অন্তরে কালেমার বিজ বপন করতে হবে এবং আল্লাহর আদেশ নির্দেশ, হুকুম আহকাম গুলো যথাযথ ভাবে পালন করতে হবে।

একটা গাছকে জন্ম দিতে হলে আপনাকে কি করতে হবে প্রথমে?
জায়গা নির্বাচন করতে হবে।
তারপরে ধাপে বিজ বপন করতে হবে।
যখন বিজ থেকে গাছ হবে। তখন আপনাকে গাছটাকে যত্ন নিতে হবে। যাতে করে কেউ বিনষ্ট না করতে পারে।
একটা গাছ দাঁড়িয়ে থাকে তার কান্ডর উপরে।
আস্তে আস্তে গাছটা বড় হবে। একটা পর্যায়ে ফুল ফল হবে গাছে।

মূল গল্পে আসা যাক:

• জায়গা নির্বাচন করতে হবে। অর্থাৎ আপনাকে চিন্তা করতে হবে যে আপনি কে? কি করতে আসছেন এই পৃথিবীতে? কেন আপনাকে সৃষ্টি করা হয়েছে? যদি আপনি বোঝেন নিজেকে তাহলে আমাকে বিজ বপন করতে হবে।
• ‎
• ‎তারপরে ধাপে "বিজ বপন করতে হবে"। অর্থাৎ কালেমা শাহাদাত।
"লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ্‌।"অন্তর থেকে মনে প্রাণে স্বাক্ষ‍্য দিতে হবে।

• যখন বিজ থেকে গাছ হবে। তখন আপনাকে গাছটাকে যত্ন নিতে হবে। যাতে করে কেউ বিনষ্ট না করতে পারে। আস্তে আস্তে গাছটা বড় হবে। অর্থাৎ আপনি যখন ঈমান আনবেন আপনার উপর ঝড়-ঝাপটা আসবে। শয়তানের বিভিন্ন কুপ্রবৃত্তি আসতে পারে। নিজের ঈমানকে ঠিক রাখতে হবে।
• ‎একটা গাছ দাঁড়িয়ে থাকে তার কান্ডর উপরে। অর্থাৎ কান্ড হচ্ছে আপনার সালাত। একটা গাছ যেমন কান্ড ছাড়া দাঁড়িয়ে থাকতে পারে না । তেমনি ভাবে, সালাত ছাড়া আপনি ঈমান ঠিক রাখতে পারবেনা। সালাতকে ধরে রাখতে হবে।
• ‎আর "ফুল ফল" হচ্ছে আপনার আমল।
• ‎এক জন মুসলিমের অবশ্যই  রমযান মাসে সাওম পালন করতে হবে।
• ‎হজ্ব এবং যাকাত যার উপর ফরজ তারাই শুধু আদায় করবে।

• আমরা মুখেই শুধু বলি যে আমরা মুসলিম, অন্তরে বলি না।
কিছু মানুষের ফেসবুকে প্রোফাইলে দেখি।
I Love Allah.
I Love Mohammad (S). And etc.
এগুলা ওই ভাবেই লিখে রাখি শুধু, কাজের বেলায় দেখা যায় কী?
আমরা অনুসরণ অনুকরণ করি ইহুদি নাসারা দের। আপনি দেখেন এদের ফেসবুক যে কাকে অনুসরণ করছে?

• আজকের দিনে আপনি দেখুন চারিদিকে, পুরুষ এর কি অবস্থা, পুরুষ এর পেন্ট খুলে নিচে চলে যাচ্ছে। চুল দাড়ি এর যে কতো মডেল। ইহুদি নাসারা যে ভাবে স্টাইল করে, সেইটা করি আমরা। আমরা মুসলিম, নামে মুসলিম।

 • নারীর কি অবস্থা। যত দিন যাচ্ছে ততই নারী উলঙ্গ হয়ে যাচ্ছে। কাকে দেখে এগুলো শিখছে ? ইহুদি নাসারা দের দেখে নিজেকে উলঙ্গ করছে।
 ‎আমরা মুসলিম, নামে মুসলিম।
 ‎
 • আমরা অশ্লীল ভিডিও ছবি কিছুই মনে করি না। এখন P.G 13
 ‎এগুলোকে কেউ পাপ মনে করি না।
 ‎আমরা মুসলিম, নামে মুসলিম।
 ‎
 • Ramp Show:
 ‎নিজের নগ্নতা তুলে ধরছি বিশ্বের কাছে। এইটা নাকি সৌন্দর্য্য।
 ‎আমরা মুসলিম, নামে মুসলিম।
 ‎
• সন্তানদের গান বাজনা, নাচ শিক্ষা দিচ্ছি।
 ‎আমরা মুসলিম, নামে মুসলিম।
 ‎
• মানুষের দোষ ত্রুটি খুঁজে বের করার জন্য উঠে পড়ে লাগি।
 ‎আমরা মুসলিম, নামে মুসলিম।

আমরা আল্লাহ্ এবং আল্লাহর রাসূলুল্লাহ (সঃ) কে অনুসরণ অনুকরণ করি না।
করি ইহুদি নাসারা দের।
 ‎
 ‎আপনি নিজেকে মুসলিম বলে দাবি করেন... তাই তো?
 ‎এক কালেমার উপর কি ঈমান এনেছেন?
 ‎সেই অনুসারে কি আপনি চলেন?
 ‎

আল্লাহ সুবহানাহু তাআলা বলছেনঃ-
সূরা আল ইমরান (১০২)
يٰأَيُّهَا الَّذينَ ءامَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ حَقَّ تُقاتِهِ وَلا تَموتُنَّ إِلّا وَأَنتُم مُسلِمونَ

হে ঈমানদারগণ! আল্লাহকে যেমন ভয় করা উচিৎ ঠিক তেমনিভাবে ভয় করতে থাক। এবং অবশ্যই মুসলমান না হয়ে মৃত্যুবরণ করো না।

আপনি একটু ভেবে দেখুন যে আপনি কী সত্যিই মুসলিম? নাকি নামে মুসলিম?
এক জন মুসলিমের যা করা উচিত তা কি আপনি করেন বা করার চেষ্টা করেন?

আল্লাহ বলেছেন যে, "মুসলমান না হয়ে মৃত্যুবরণ করো না।" আপনি কি আল্লাহর কথা বুঝতে পারছেন? আল্লাহ কি বলছেন? কতো বড় একটা কথা।

সূরা আল বাকারাহ্ঃ ৮,৯,১০
আর মানুষের মধ্যে কিছু লোক এমন রয়েছে যারা বলে, আমরা আল্লাহ ও পরকালের প্রতি ঈমান এনেছি অথচ আদৌ তারা ঈমানদার নয়।

তারা আল্লাহ এবং ঈমানদারগণকে ধোঁকা দেয়। অথচ এতে তারা নিজেদেরকে ছাড়া অন্য কাউকে ধোঁকা দেয় না অথচ তারা তা অনুভব করতে পারে না।

তাদের অন্তঃকরণ ব্যধিগ্রস্ত আর আল্লাহ তাদের ব্যধি আরো বাড়িয়ে দিয়েছেন। বস্তুতঃ তাদের জন্য নির্ধারিত রয়েছে ভয়াবহ আযাব, তাদের মিথ্যাচারের দরুন।

বিঃদ্রঃ আপনার আমার থেকে অনেক বড় জ্ঞান  বিদ্যা বুদ্ধিতে দয়া করে ভুল ত্রুটি থাকলে সংশোধন করে দিবেন। আমরা জ্ঞান এর পরিসীমা অনেক ক্ষুদ্র।

Sunday, January 28, 2018

মৃত্যুর সংবাদ

#_মৃত্যুর পূর্বে ৪ জন ফেরেশতা যেভাবে জানিয়ে দিবে #_মৃত্যুর_সংবাদ

হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে, যখন মানুষের অন্তিমকাল উপস্থিত হয় এবং রূহ বের হবার সময় ঘনিয়ে আসে, তখন চারজন ফেরেশতা তার কাছে উপস্থিত হয়। সর্বপ্রথম এক ফেরেশতা উপস্থিত হয়ে বলবেন “আসসালামু আলাইকুম” হে অমুক! আমি তোমার খাদ্য সংস্থানের কাজে নিযুক্ত ছিলাম। কিন্তু এখন পৃথিবীর পূর্ব থেক পশ্চিম প্রান্ত পর্যন্ত অন্বেষণ করেও তোমার জন্য এক দানা খাদ্য সংগ্রহ করতে পারলাম না। সুতরাং বুঝলাম তোমার মৃত্যু ঘনিয়ে এসেছে হয়ত এখনই তোমাকে মরণ সুধা পান করতে হবে। পৃথিবীতে তুমি আর বেশীক্ষণ থাকবে না।

অত:পর দ্বিতীয় ফেরেশতা এসে সালাম করে বলবেন হে আল্লাহর বান্দা! আমি তোমার পানীয় সরবরাহের জন্য নিযুক্ত ছিলাম, কিন্তু এখন তোমার জন্য পৃথিবীর সবৃত্র অন্বেষণ করেও এক ফোঁটা পানি সংগ্রহ করতে পারলাম না। সুতরাং আমি বিদায় হলাম।

অত:পর তৃতীয় ফেরেশতা এসে সালাম করে বলবেন হে আল্লাহর বান্দা! আমি তোমার পদযুগলের তত্ত্বাবধানে নিযুক্ত ছিলাম, কিন্তু পৃথিবীর সর্বত্র ঘুরেও তোমার জন্য একটি মাত্র পদক্ষেপের স্থান পেলাম না। সুতরাং আমি বিদায় নিচ্ছি।

চতুর্থ ফেরেশতা এসে সালাম করে বলবেন হে আল্লাহ বান্দা! আমি তোমার শ্বাস-প্রস্বাস চালু রাখার কাজে নিযুক্ত ছিলাম। কিন্তু আজ পৃথিবীর এমন কোন জায়গা খুঁজে পেলাম না  যেখানে গিয়ে তুমি মাত্র এক পলকের জন্য শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ করতে পার। সুতরাং আমি বিদায় নিচ্ছি।

অত:পর কেরামান কাতেবীন ফেরশতাদ্বয় এসে সালাম করে বলবেন, হে আল্লাহর বান্দা! আমরা তোমার পাপ-পূণ্য লেখার কাজে নিযুক্ত ছিলাম। কিন্তু এখন দুনিয়ার সব জায়গা সন্ধান করেও আর কোন পাপ-পূণ্য খুঁজে পেলাম না। সুতরাং আমরা বিদায় নিচ্ছি। এই বলে তারা এক টুকরা কালো লিপি বের করে দিয়ে বলবেন হে আল্লাহর বান্দা! এর দিকে লক্ষ্য কর। সে দিকে লক্ষ্য করামাত্র তার সর্বাঙ্গে ঘর্মস্রোত প্রবাহিত হবে এবং কেউ যেন ঐ লিপি পড়তে না পারে এজন্য সে ডানে বামে বার বার দেখতে থাকবে। অত:পর কেরাম কাতেবীন প্রস্থান করবেন। তখনই মালাকুল মউত তার ডান পাশে রহমতের ফেরেশতা এবং বাম পাশে আযাবের ফেরেশতা নিয়ে আগমন করবেন। তাদের মধ্যে কেউ আত্মাকে খুব জোরে টানাটানি করবেন, আবার কেউ অতি শান্তির সাথে আত্মা বের করে আনবেন। কন্ঠ পর্যন্ত আত্মা পৌঁছলে স্বয়ং যমদূত তা কবজ করবেন।

Friday, January 26, 2018

কিছু Big Big Achievement

কিছু Achievement এর কথা বলি, যে গুলো না করলে জীবন নাকি ব্যর্থতা পতিত হয়... এই গুলোই জীবনের নাকি সব থেকে বড় অর্জন কিছু এই প্রজন্মের ছেলে-মেয়েদের কাছে...

১) সিগারেট। সিগারেট যে খাই না সে বলে মানুষই না? সিগারেট খাস নাই? জীবনে কি করলি?
আমার প্রশ্ন, সে কী তাদের মতে?

২) মেয়েদের সাথে রুম ডেট / অশ্লীল কাজে লিপ্ত। কে কয়টা মেয়েকে নিয়ে এ বছরে রুম ডেট করলো সেইটা গণনা করে রাখে এবং কিছু অশ্লীল অবস্থা ছবিও তুলে রাখে। সেই গুলো আবার মানুষ  কে দেখাই যে, দেখ আমি এই এই করছি। তাদের ভাষাই এটাকে বলে #_Life_is_Enjoy.

আপনি এই সব করতে পারেন না। আপনাকে সে বলবে যে, কী করলি জীবনে? এমন ভাবে বলবে যে আপনি এইটা না করে মহা ভুল করছেন।
আপনি তার কাছে হাঁসির পাত্র হবেন।
এই টা তার কাছে সব থেকে বড় Achievement.

৩) মেয়েদের সাথে সেলফি। এইখানে সেইখানে মেয়েদের সাথে সেলফি তোলা এবং কতো যে ডং ছবির মধ্যে। দেখলে মনে হয় ঘরের বউ। সেলফি তোলার সময় কি অবস্থাই আছে সেদিকে খেয়াল নাই।
আপনি মেয়েদের সাথে সেলফি তোলেন না। তাই আপনি তাদের কাছে ক্ষেত পোলা-পান। আপনার কোন যোগ্যতা নাই।

৪) পুরুষ এর বেশধারী নারী। পেন্ট টি-র্শাট পড়লে মেয়েদের অনেক সুন্দর লাগে, নিজেকে প্রকাশ করে শিয়াল 🦊 শকুনের কাছে। নিজের নগ্নতা অন্যের কাছে প্রকাশ করা এটাও বড় Achievement.  পেন্ট টি-র্শাট না পড়লে তো আপনি র্স্মাটই না। এখন আধুনিক যুগ।
আপনি এ গুলো পড়েন না। তাহলে আপনি তাদের কাছে ক্ষেত গাঁইয়া মেয়ে।

বিঃদ্রঃ নিজের মর্যাদা নিজেই রাখুন, নিজের পরিবারে মর্যাদা বজায় রাখুন এবং নিজের নাফ্সকে নিয়ন্ত্র করুন। আপনার বাবা মা আপনাকে নিয়ে গর্ব করে, কিন্তু আপনি কি তার মর্যাদা রক্ষা করতে পারছেন ? দুনিয়া ক্ষণস্থায়ী।

আপনিও বুঝবেন, কবে তা জানেন??
১) যৌন ফুরালে। আর না হয়...
২) যখন মালাকুল মউত মৃত্যুর ফেরেশতা কাছে আসবে।
তখন আপনার কিছুই করার থাকবে না।
এখনো সময় আছে, আত্মসমর্পণ করুন আল্লাহ কাছে।

Monday, January 15, 2018

মানুষের অন্তর মরে যাওয়ার দশটি কারণ

★ মানুষের অন্তর মরে যাওয়ার দশটি কারণ ★

✿ হযরত ইবরাহীম বিন আদহাম (রহ.) [মৃত্যু ১৬২ হিজরী] বসরার বাজার দিয়ে যাওয়ার পথে লোকজন তাকে ঘিরে ধরল।তারা তাঁকে জিজ্ঞেস করল, হে আবু ইসহাক, আমাদের কী হয়েছে যে, আমরা দুয়া করি কিন্তু দোয়া কবুল হয় না? তিনি বললেন, কারণ, তোমাদের অন্তরগুলো মরে গেছে দশটি কারণে। সেগুলো হল:

❖ প্রথম: তোমরা আল্লাহর পরিচয় পেয়েছ
কিন্তু তাঁর হক আদায় করো নি।

❖ দ্বিতীয়: তোমরা বলে থাক যে, তোমরা
আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ভালবাসো কিন্তু তার সুন্নত ও আদর্শকে পরিত্যাগ করেছ।

❖ তৃতীয়: তোমরা কোরআন পাঠ করেছ কিন্তু তদনুযায়ী আমল করো নি।

❖ চতুর্থ: তোমরা আল্লাহর নিয়ামত খেয়েছ কিন্তু তার শুকরিয়া আদায় করো নি।

❖ পঞ্চম: তোমরা বলেছ যে, শয়তান তোমাদের দুশমন কিন্তু তাকে সমর্থন করেছো এবং তার অনুসরণ করছ।

❖ ষষ্ঠ: তোমরা স্বীকৃতি দিয়েছো যে,
জান্নাত সত্য কিন্তু তার জন্য আমল করো নি।

❖ সপ্তম: তোমরা স্বীকৃতি দিয়েছ যে,
জাহান্নাম সত্য কিন্তু তা থেকে পলায়ন করো নি।

❖ অষ্টম: তোমরা স্বীকার করেছ যে, মৃত্যু
অবধারিত সত্য। কিন্তু তার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করো নি।

❖ নবম: ঘুম থেকে জেগেই তোমরা অন্যের
দোষ-ত্রুটি নিয়ে সমালোচনা শুরু করেছ কিন্তু নিজেদের দোষের কথা ভুলে গেছো।

❖ দশম: তোমরা তোমাদের মৃতদের দাফন
করেছো কিন্তু তাদের থেকে শিক্ষা নাও নি।

(সুত্র: হিলয়াতুল আওলিয়া ১৫/৮-১৬, তাফসীর কুরতুবী ২/২০৮)

হে আমাদের প্রতিপালক, করুণার আধার, তুমি আমাদেরকে তোমার মহান দরবারে প্রত্যাখ্যান করো না। আমাদের দুয়া কবুল করো এবং আমাদের ভুল-ত্রুটি মার্জনা করো। #আমীন

Thursday, January 11, 2018

সূরা বাকারার ফজিলত (সংক্ষিপ্ত অংশ)

সূরা বাকারার ফজিলত (সংক্ষিপ্ত অংশ)

রাসুলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ সূরা বাকারাহ্ কোরআনের কূঁজ এবং চূড়। এর এক একটি আয়াতের সঙ্গে ৮০ জন ফেরেশতা উর্ধগগন থেকে অবতীর্ণ হয়েছিলেন। বিশেষ করে "আয়াতুল কুরসি" তো খাস আরশ হতে অবতীর্ণ হয়েছে এবং এ সূরার সাথে মিলোন হয়েছে।

সূরা ইয়াসিন কোরআনের অন্তর বিশেষ। যে ব্যক্তি আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জন ও পরকাল লাভের জন্যে তা পড়ে তাকে ক্ষমা করে দেন আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা।

প্রত্যেক জিনিসের একটা উচ্চতা থাকে। কোরআন মাজীদের উচ্চতা হচ্ছে "সূরা বাকারাহ্"
প্রত্যেক বস্তুরই সারাংশ আছে এবং কোরআনের সারাংশ হচ্ছে বড় সূরা গুলো।
এই সূরার মধ্যে এমন একটি আয়াত আছে যা, সমস্ত আসমানের নেতা এটি হচ্ছে "আয়াতুল কুরসি"

মুসনাদ-ই-আহমাদ, সহীহ মুসলিম, জামে' তিরমিযী এবং সুনান-ই-নাসাঈর মধ্যে বর্ণিত হাদীসে আছেঃ- তোমার নিজের ঘরকে কবরে পরিণত করো না, যে ঘরে সূরা বাকারাহ্ পাঠ করা হয় সেই ঘরে শয়তান প্রবেশ করতে পারে না। অন্য একটি হাদীসে আছে যে, যে ঘরে সূরা বাকারাহ্ পাঠ করা হয় সেখান থেকে শয়তান পালায়ন করে।
রাসুলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ যে ঘরে এই বরকতময় সূরাটি পাঠ করা হয়, সেখান হতে শয়তান ছুটে পালিয়ে যায়। সবচেয়ে জঘন্য ও লাঞ্ছিত সেই ঘর যে ঘরে আল্লাহর কিতাব পাঠ করা হয় না।

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদের (রাঃ) উক্তি আছে যে, যে ঘরে সূরা বাকারার প্রথম ৪টি আয়াত, আয়াতুল কুরসি, তার পরবর্তী ২টি আয়াত এবং সব শেষের ৩টি আয়াত, একত্রে ১০টি আয়াত পাঠ করা হয়, শয়তান সেই ঘরে ঐ রাতে প্রবেশ করতে পারে না এবং সেই দিন ঐ বাড়ির লোকদের শয়তান অথবা, কোন খারাপ জিনিস কোন ক্ষতি করতে পারে না। এ আয়াত গুলো পাগলের উপর পড়লে তার পাগলামীও দূর হয়ে যায়।

রাসুলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি রাত্রিকালে নীরব ক্ষণে, নিজের নিভৃত কক্ষে তা পাঠ করে, ৩ রাত্রি পর্যন্ত শয়তান সেই ঘরে প্রবেশ করতে পারে না, আর দিনের বেলায় যদি পড়ে তবে ৩ দিন পর্যন্ত শয়তান সেই ঘরে পা দিতে পারে না।

নবী করীম (সঃ) বলেছেনঃ তোমরা অভিনিবেশ সহকারে সূরা বাকারাহ্ শিক্ষা কর। কারণ এর শিক্ষা অতি কল্যাণকর এবং এ শিক্ষা বর্জন অতি বেদনাদায়ক। এমনকি বাতিলপন্থী যাদুকারও এর ক্ষমতা রাখে না।

অতঃপর কিছুক্ষণ চুপ থেকে আবার বললেনঃ
(১) সূরা বাকারাহ্।
(২) সূরা আল-ইমরান।
এই ২টি সূরা শিক্ষা কর। এই সূরা ২টি হচ্ছে জ্যোতির্ময় নূর বিশিষ্ট সূরা।

"আল্লাহ্ সুবহানাহু তায়ালা সবাইকে আমল করার তৌফিক দান করুন" #আমিন

বিঃদ্রঃ ভুল ত্রুটি থাকলে সংশোধন করে দিবেন। মানুষ মাত্রই ভুল।

ইনশাআল্লাহ বাকি অংশ আস্তে আস্তে বলবো।