Thursday, February 21, 2019

The Classification Of Knowledge

#The_classification_of_knowledge





These Ayat inform of the beginning of man's creation from a dangling clot, and that out of Allah's generosity He taught man that which he did not know. Thus, Allah exalted him and honored him by giving him knowledge, and it is the dignity that the Father of Humanity, Adam, was distinguished with over the angels.

1)    Knowledge sometimes is in the mind.
2)    Sometimes on the tongue. and
3)    Sometimes in writing with the fingers.

Thus, it may be intellectual, spoken and written. And while the last (written) necessitates the first two (intellectual and spoken), the reverse is not true. For this reason Allah says,

﴿ ٱقۡرَأۡ وَرَبُّكَ ٱلۡأَكۡرَمُ  ٱلَّذِى عَلَّمَ بِٱلۡقَلَمِ  عَلَّمَ ٱلۡإِنسَـٰنَ مَا لَمۡ يَعۡلَمۡ 

More Reading....

Post by Pervez Joarder 

Sunday, February 10, 2019

সালাতের শুরুতে দো‘আ #৬

সালাতের শুরুতে দো‘আ #৬



রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ দো‘আটি রাতে উঠে তাহাজ্জুদের সালাত পড়ার সময় বলতেন।

اللّٰهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ، أَنْتَ نُوْرُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ وَمَنْ فِيْهِنَّ، وَلَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ قَيِّمُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ وَمَنْ فِيْهِنَّ، وَلَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ رَبُّ السَّمَوْاتِ وَالأَرْضِ وَمَنْ فِيْهِنَّ وَلَكَ الْحَمْدُ لَكَ مُلْكُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ وَمَنْ فِيْهِنَّ وَلَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ مَلِكُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ

হে আল্লাহ! আপনার জন্যই সকল হামদ-প্রশংসা; আসমানসমূহ, যমীন ও এ-দুটির মাঝে যা কিছু আছে আপনিই এগুলোর নূর (আলো)। আর আপনার জন্যই সব প্রশংসা; আসমানসমূহ, যমীন ও এ-দুটির মাঝে যা আছে আপনিই এসবের রক্ষণাবেক্ষণকারী-পরিচালক। আর আপনার জন্যই সকল প্রশংসা; আসমানসমূহ, যমীন ও এ-দুটির মাঝে যা কিছু আছে আপনিই এসবের রব্ব। আর আপনার জন্যই সব প্রশংসা; আসমানসমূহ, যমীন ও এ দু’টির মাঝে যা আছে তার সার্বভৌমত্ব আপনারই। আর আপনার জন্যই সকল প্রশংসা; আসমানসমূহ ও যমীনের রাজা আপনিই।

আল্লা-হুম্মা লাকাল হামদু আনতা নুরুস সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি ওয়ামান ফীহিন্না ওয়া লাকাল হাম্‌দু। আনতা ক্বায়্যিমুস্ সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি ওয়ামান ফীহিন্না, ওয়া লাকাল হামদু আনতা রববুস সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি ওয়ামান ফীহিন্না, ওয়া লাকাল হাম্‌দু, লাকা মূলকুস সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি ওয়ামান ফীহিন্না, ওয়া লাকাল হাম্‌দু,  আনতা মা-লিকুস সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি



وَلَكَ الْحَمْدُ، أَنْتَ الْحَقُّ، وَوَعْدُكَ الْحَقُّ، وَقَوْلُكَ الْحَقُّ، وَلِقَاؤُكَ الْحَقُّ، وَالْجَنَّةُ حَقٌّ، وَالنَّارُ حَقٌّ، وَالنَّبِيُّوْنَ حَقٌّ، وَمُحَمَّدٌ حَقٌّ، وَالسّاعَةُ حَقٌّ

আর আপনার জন্যই সকল প্রশংসা; আসমানসমূহ ও যমীনের রাজা আপনিই। আর আপনার জন্যই সকল প্রশংসা; আপনিই হক্ব, আপনার ওয়াদা হক্ব (বাস্তব ও সঠিক), আপনার বাণী হক্ব, আপনার সাক্ষাৎ লাভ হক্ব, জান্নাত হক্ব, জাহান্নাম হক্ব, নবীগণ হক্ব, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হক্ব এবং কিয়ামত হক্ব।

ওয়া লাকাল হামদু, আনতাল হাক্কু, ওয়া ওয়া‘দুকাল হাক্কু, ওয়া ক্বাওলুকাল হাক্কু, ওয়া লিক্বা-উকাল হাক্কু, ওয়াল জান্নাতু হাক্কুন, ওয়ান না-রু হাক্কুন, ওয়ান নাবিয়্যূনা হাক্কুন, ওয়া মুহাম্মাদুন হাক্কুন, ওয়াস্‌সা‘আতু হাক্কুন



اللّٰهُمَّ لَكَ أَسْلَمْتُ، وَعَلَيْكَ تَوَكَّلْتُ، وَبِكَ آمَنْتُ، وَإِلَيْكَ أَنَبْتُ، وَبِكَ خَاصَمْتُ، وَإِلَيْكَ حَاكَمْتُ، فَاغْفِرْ لِيْ مَا قَدَّمْتُ، وَمَا أَخَّرْتُ، وَمَا أَسْرَرْتُ، وَمَا أَعْلَنْتُ

হে আল্লাহ! আপনার কাছেই আত্মসমর্পণ করি, আপনার উপরই ভরসা করি, আপনার উপরই ঈমান আনি, আপনার দিকেই প্রত্যাবর্তন করি, আপনার সাহায্যেই বা আপনার জন্যই শত্রুর সাথে বিবাদে লিপ্ত হই, আর আপনার কাছেই বিচার পেশ করি; অতএব ক্ষমা করে দিন আমার গুনাহসমূহ— যা পূর্বে করেছি, যা পরে করেছি, যা আমি গোপন করেছি আর যা প্রকাশ্যে করেছি। আপনি ব্যতীত আর কোনো হক্ব ইলাহ নেই।

আল্লা-হুম্মা লাকা আসলামতু, ওয়া আলাইকা তাওয়াক্কালতু ওয়াবিকা আ--মানতু, ওয়া ইলাইকা আনাবতু, ওয়া বিকা খা-সাম্‌তু, ওয়া ইলাইকা হা-কামতু, ফাগফির লী মা কাদ্দামতু, ওয়ামা আখখারতু, ওয়ামা আসরারতু, ওয়ামা আ‘লানতু,



أَنْتَ المُقَدِّمُ، وَأَنْتَ المُؤَخِّرُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ

আপনিই (কাউকে) করেন অগ্রগামী, আর আপনিই (কাউকে) করেন পশ্চাদগামী,

আনতাল মুকাদ্দিমু ওয়া আন্তাল্ মুআখখিরু, লা ইলা-হা ইল্লা আনতা



أَنْتَ إِلَهِيْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ

আপনিই আমার ইলাহ। আপনি ব্যতীত আর কোনো হক্ব ইলাহ নেই।

আনতা ইলা-হী, লা ইলা-হা ইল্লা আন্তা

বুখারী, (ফাতহুল বারীসহ) ৩/৩, ১১/১১৬, ১৩/৩৭১, ৪২৩, ৪৬৫, নং ১১২০, ৬৩১৭, ৭৩৮৫, ৭৪৪২, ৭৪৯৯; ও মুসলিম সংক্ষিপ্তাকারে ১/৫৩২, নং ৭৬৯।

সালাতের শুরুতে দো‘আ #৫

সালাতের শুরুতে দো‘আ #৫



তিনবার বলবে,

اللّٰهُ أَكْبَرُ كَبِيْرَاً، اللّٰهُ أَكْبَرُ كَبِيْراً، اللّٰهُ أَكْبَرُ كَبِيْراً، وَالْحَمْدُ لِلّٰهِ كَثِيْراً، وَالْحَمْدُ لِلّٰهِ كَثِيْراً، وَالْحَمْدُ لِلّٰهِ كَثِيْراً، وَسُبْحَانَ اللّٰهِ بُكْرَةً وَّأَصِيْلاً

আল্লাহ সবচেয়ে বড় অতীব বড়, আল্লাহ সবচেয়ে বড় অতীব বড়, আল্লাহ সবচেয়ে বড় অতীব বড়। আর আল্লাহ্‌র জন্যই অনেক ও অজস্র প্রশংসা, আল্লাহ্‌র জন্যই অনেক ও অজস্র প্রশংসা, আল্লাহ্‌র জন্যই অনেক ও অজস্র প্রশংসা। সকালে ও বিকালে আল্লাহ্‌র পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি

আল্লা-হু আকবার কাবীরান, আল্লা-হু আকবার কাবীরান, আল্লা-হু আকবার কাবীরান, ওয়ালহামদু লিল্লা-হি কাসীরান, ওয়ালহামদু লিল্লা-হি কাসীরান। ওয়ালহামদু লিল্লা-হি কাসী-রান ওয়াসুবহা-নাল্লাহি বুকরাতাঁও ওয়া আসীলা

অতঃপর বলবে,

أَعُوْذُ بِاللّٰهِ مِنَ الشَّيْطَانِ مِنْ نَفْخِهِ، وَنَفْثِهِ، وَهَمْزِهِ،

আমি শয়তান থেকে আল্লাহ্‌র নিকট আশ্রয় চাই। আশ্রয় চাই তার ফুঁ তথা দম্ভ-অহংকার থেকে, তার থুতু তথা কবিতা থেকে ও তার চাপ তথা পাগলামি থেকে

আউযু বিল্লা-হি মিনাশ শায়তানি, মিন নাফখিহী ওয়ানাফসিহী ওয়াহামযিহী

আবূ দাউদ ১/২০৩, নং ৭৬৪; ইবন মাজাহ্‌ ১/২৬৫, ৮০৭; আহমাদ, আহমাদ ৪/৮৫, নং ১৬৭৩৯। শাইখ শু‘আইব আল-আরনাউত তার মুসনাদের তাহকীকে এ হাদীসের সনদকে হাসান লি-গাইরিহি বলেছেন। আর আব্দুল কাদের আরনাউত ইবন তাইমিয়্যার ‘আল-কালেমুত তাইয়্যেব’ গ্রন্থের নং ৭৮, এর তাহকীক বলেন, এটি তার শাওয়াহেদ বা সমার্থবোধক হাদীসের দ্বারা সহীহ লি-গাইরিহী প্রমাণিত হয়। আর আলবানী তার সহীহুল কালেমিত তাইয়্যেব এর ৬২ নং এ হাদিসটি উল্লেখ করেছেন। তাছাড়া ইমাম মুসলিম ইবন উমর থেকে অনুরূপ হাদীস উদ্ধৃত করেছেন, তবে সেখানে একটি ঘটনা বর্ণিত হয়েছে। ১/৪২০, নং ৬০১।

সালাতের শুরুতে দো‘আ #৪

সালাতের শুরুতে দো‘আ #৪





اللّٰهُمَّ رَبَّ جِبْرَائِيْلَ، وَمِيْكَائِيْلَ، وَإِسْرَافِيْلَ، فَاطِرَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ، عَالِمَ الغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ أَنْتَ تَحْكُمُ بَيْنَ عِبَادِكَ فِيْمَا كَانُوْا فِيْهِ يَخْتَلِفُوْنَ، اهْدِنِيْ لِمَا اخْتُلِفَ فِيْهِ مِنَ الْحَقِّ بِإِذْنِكَ إِنَّكَ تَهْدِيْ مَنْ تَشَاءُ إِلَى صِرَاطٍ مُسْتَقيْمٍ

হে আল্লাহ! জিবরাঈল, মীকাঈল ও ইসরাফীলের রব্ব, আসমান ও যমীনের স্রষ্টা, গায়েব ও প্রকাশ্য সব কিছুর জ্ঞানী, আপনার বান্দাগণ যেসব বিষয়ে মতভেদে লিপ্ত আপনিই তার মীমাংসা করে দিবেন। যেসব বিষয়ে মতভেদ হয়েছে তন্মধ্যে আপনি আপনার অনুমতিক্রমে আমাকে যা সত্য সেদিকে পরিচালিত করুন। নিশ্চয় আপনি যাকে ইচ্ছা সরল পথ প্রদর্শন করেন।

আল্লা-হুম্মা রববা জিব্রাঈলা ওয়া মীকাঈলা ওয়া ইস্রা-ফীলা ফা-তিরাস্ সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি ‘আ-লিমাল গাইবি ওয়াশশাহা-দাতি। আনতা তাহকুমু বাইনা ইবা-দিকা ফীমা কা-নূ ফীহি ইয়াখতালিফূন। ইহদিনী লিমাখতুলিফা ফীহি মিনাল হাককি বিইযনিকা ইন্নাকা তাহ্‌দী তাশা-উ ইলা- সিরা-তিম মুস্তাকীম

মুসলিম ১/৫৩৪, নং ৭৭০।

সালাতের শুরুতে দো‘আ #৩

সালাতের শুরুতে দো‘আ #৩






وَجَّهْتُ وَجْهِيَ لِلَّذِيْ فَطَرَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ حَنِيْفَاً وَّمَا أَنَا مِنَ الْمُشْرِكِيْنَ، إِنَّ صَلاَتِي، وَنُسُكِي، وَمَحْيَايَ، وَمَمَاتِيْ لِلّٰهِ رَبِّ الْعَالَمِيْنَ، لاَ شَرِيْكَ لَهُ وَبِذَلِكَ أُمِرْتُ وَأَنَا مِنَ الْمُسْلِمِيْنَ

যিনি আসমানসমূহ ও যমীন সৃষ্টি করেছেন আমি একনিষ্টভাবে আমার মুখমণ্ডল তাঁর দিকেই ফিরালাম, আর আমি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত নই। নিশ্চয় আমার সালাত, আমার কুরবানী বা যাবতীয় ইবাদাত, আমার জীবন ও আমার মরণ সৃষ্টিকুলের রব্ব আল্লাহ্‌র জন্য। তাঁর কোনো শরীক নেই। আর আমি এরই আদেশ প্রাপ্ত হয়েছি এবং আমি মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত।

ওয়াজ্জাহ্‌তু ওয়াজহিয়া লিল্লাযী ফাত্বারাস্ সামা-ওয়াতি ওয়াল আরদ্বা হানীফাও ওয়ামা আনা মিনাল মুশরিকীন। ইন্না সালা-তী, ওয়া নুসুকী ওয়া মাহইয়া-ইয়া ওয়া মামা-তী লিল্লা-হি রাব্বিল ‘আ-লামীন। লা শারীকা লাহু ওয়াবিযা-লিকা উমিরতু ওয়া আনা মিনাল মুসলিমীন।



اللّٰهُمَّ أَنْتَ المَلِكُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ، أَنْتَ رَبِّيْ وَأَنَا عَبْدُكَ، ظَلَمْتُ نَفْسِيْ وَاعْتَرَفْتُ بِذَنْبِيْ فَاغْفِرْ لِيْ ذُنُوْبِيْ جَمِيْعَاً إِنَّهُ لاَ يَغْفِرُ الذُّنُوْبَ إِلاَّ أَنْتَ، وَاهْدِنِيْ لِأَحْسَنِ الأَخْلَاقِ لاَ يَهْدِيْ لِأَحْسَنِها إِلاَّ أَنْتَ، وَاصْرِفْ عَنِّيْ سَيِّئَهَا، لاَ يَصْرِفُ عَنِّيْ سَيِّئَهَا إِلاَّ أَنْتَ

হে আল্লাহ! আপনিই অধিপতি, আপনি ব্যতীত আর কোনো হক্ব ইলাহ নেই। আপনি আমার রব্ব, আমি আপনার বান্দা। আমি আমার নিজের প্রতি অন্যায় করেছি এবং আমি আমার পাপসমূহ স্বীকার করছি। সুতরাং আপনি আমার সমুদয় গুনাহ মাফ করে দিন। নিশ্চয় আপনি ছাড়া আর কেউ গুনাহসমূহ মাফ করতে পারে না। আর আপনি আমাকে সর্বোত্তম চরিত্রের পথে পরিচালিত করুন, আপনি ছাড়া আর কেউ উত্তম চরিত্রের পথে পরিচালিত করতে পারে না। আর আপনি আমার থেকে আমার খারাপ চরিত্রগুলো দূরীভূত করুন, আপনি ব্যতীত আর কেউ সে খারাপ চরিত্রগুলো অপসারিত করতে পারে না।

আল্লা-হুম্মা আনতাল মালিকু লা ইলা-হা ইল্লা আনতা, আনতা রব্বী ওয়া আনা ‘আবদুকা। যালামতু নাফসী ওয়া‘তারাফতু বিযাম্বী। ফাগফির লী যুনূবী জামী‘আন ইন্নাহু লা- ইয়াগফিরুয্ যুনূবা ইল্লা আনতা। ওয়াহদিনী লিআহসানিল আখলা-ক্বি, লা ইয়াহ্‌দী লিআহ্‌সানিহা ইল্লা আনতা। ওয়াসরিফ ‘আন্নী সায়্যিআহা লা ইয়াসরিফু সায়্যিআহা ইল্লা আনতা।



لَبَّيْكَ وَسَعْدَيْكَ، وَالخَيْرُ كُلُّهُ بِيَـدَيْكَ، وَالشَّـرُّ لَيْسَ إِلَيْـكَ، أَنَا بِكَ وَإِلَيْكَ، تَبارَكْتَ وَتَعَالَيْتَ، أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتوْبُ إِلَيْكَ

আমি আপনার হুকুম মানার জন্য সদা-সর্বদা হাজির, সকল কল্যাণই আপনার দু’ হাতে নিহিত। অকল্যাণ আপনার দিকে নয় (অর্থাৎ মন্দকে আপনার দিকে সম্পৃক্ত করা উচিত নয়, অথবা মন্দ দ্বারা আপনার নিকটবর্তী হওয়া যায় না, বা মন্দ আপনার দিকে উঠে না)। আমি আপনার দ্বারাই (প্রতিষ্ঠিত আছি, সহযোগিতা পেয়ে থাকি) এবং আপনার দিকেই (আমার সকল প্রবণতা, বা আমার প্রত্যাবর্তন)। আপনি বরকতময় এবং আপনি সুঊচ্চ। আমি আপনার নিকট ক্ষমা চাই এবং আপনার কাছে তাওবাহ্‌ করছি।

লাববাইকা ওয়া সা‘দাইকা ওয়াল-খাইরু কুল্লুহু বিয়াদাইকা, ওয়াশশাররু লাইসা ইলাইকা। আনা বিকা ওয়া ইলাইকা, তাবা-রাক্তা ওয়া তা‘আ-লাইতা। আসতাগফিরুকা ওয়া আতূবু ইলাইকা

মুসলিম ১/৫৩৪, নং ৭৭১।

সালাতের শুরুতে দো‘আ #২

সালাতের শুরুতে দো‘আ #২





سُبْحانَكَ اللّٰهُمَّ وَبِحَمْدِكَ، وَتَبارَكَ اسْمُكَ، وَتَعَالَى جَدُّكَ، وَلاَ إِلَهَ غَيْرُكَ

হে আল্লাহ! আপনার প্রশংসাসহ আপনার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি, আপনার নাম বড়ই বরকতময়, আপনার প্রতিপত্তি অতি উচ্চ। আর আপনি ব্যতীত অন্য কোনো হক্ব ইলাহ্‌ নেই।

সুবহা-নাকাল্লা-হুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়া তাবা-রাকাসমুকা ওয়া তা‘আ-লা জাদ্দুকা ওয়া লা- ইলা-হা গাইরুকা

মুসলিম, নং ৩৯৯; আর সুনান গ্রন্থকার চারজন। আবু দাউদ, নং ৭৭৫; তিরমিযী, নং ২৪৩; ইবন মাজাহ্‌, নং ৮০৬; নাসাঈ, নং ৮৯৯। আরও দেখুন, সহীহুত তিরমিযী, ১/৭৭; সহীহ ইবন মাজাহ্ ১/১৩৫।

সালাতের শুরুতে দো‘আ #১

সালাতের শুরুতে দো‘আ #১





اللّٰهُمَّ بَاعِدْ بَيْنِيْ وَبَيْنَ خَطَايَايَ كَمَا بَاعَدْتَ بَيْنَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ، اللّٰهُمَّ نَقِّنِيْ مِنْ خَطَايَايَ كَمَا يُنَقَّى الثَّوْبُ الْأَبْيَضُ مِنَ الدَّنَسِ، اللّٰهُمَّ اغْسِلْنْي مِنْ خَطَايَايَ، بِالثَّلْجِ وَالْمْاءِ وَالْبَرَدِ

হে আল্লাহ! আপনি আমার এবং আমার গুনাহসমূহের মধ্যে এমন দূরত্ব সৃষ্টি করুন যেরূপ দূরত্ব সৃষ্টি করেছেন পূর্ব ও পশ্চিমের মধ্যে। হে আল্লাহ! আপনি আমাকে আমার গুনাহসমূহ থেকে এমন পরিষ্কার করে দিন, যেমন সাদা কাপড় ময়লা থেকে পরিষ্কার করা হয়। হে আল্লাহ! আপনি আমাকে আমার পাপসমূহ থেকে বরফ, পানি ও মেঘের শিলাখণ্ড দ্বারা ধৌত করে দিন।

আল্লা-হুম্মা বা-‘ইদ বাইনী ওয়া বাইনা খাত্বা-ইয়া-ইয়া কামা বা-‘আদতা বাইনাল মাশরিক্বি ওয়াল মাগরিব। আল্লা-হুম্মা নাক্বক্বিনী মিন খাত্বা-ইয়া-ইয়া কামা ইয়ুনাক্কাস্ ছাওবুল আবইয়াদু মিনাদ দানাসি। আল্লা-হুম্মাগসিলনী মিন খাত্বা-ইয়া-ইয়া বিস্‌সালজি ওয়াল মা-’ই ওয়াল বারাদ

বুখারী ১/১৮১, নং ৭৪৪; মুসলিম ১/৪১৯, নং ৫৯৮।

Wednesday, January 2, 2019

বিশুদ্ধ আক্বিদা (২য় পর্ব)

❒ বিশুদ্ধ আক্বিদা (২য় পর্ব)
----------------------------------------------
ইসলামী শরী‘আত দুই ভাগে বিভক্ত। যথাঃ
(১) আক্বীদা বা বিশ্বাসগত : অর্থাৎ ঈমানের ছয়টি বিষয়ের উপর সুদৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন করা এবং একমাত্র তারই ইবাদতে বিশ্বাস করা। আর ইহাই ইসলামের মৌলিক বিষয়।
(২) আমলগত : অর্থাৎ আল্লাহর ইবাদত করার
যাবতীয় পদ্ধতি সম্পর্কে অবগত হওয়া এবং তদনুযায়ী আমল করা।
অতএব আক্বীদাই ইসলামের মৌলিক বিষয়; যার শুদ্ধতার উপর আমল নির্ভরশীল। যেমন –

✍ মহান আল্লাহ তা‘আলা বলেনঃ

ﻓَﻤَﻦْ ﻛَﺎﻥَ ﻳَﺮْﺟُﻮْ ﻟِﻘَﺎﺀَ ﺭَﺑِّﻪِ
ﻓَﻠْﻴَﻌْﻤَﻞْ ﻋَﻤَﻠًﺎ ﺻَﺎﻟِﺤًﺎ ﻭَﻟَﺎ ﻳُﺸْﺮِﻙْ ﺑِﻌِﺒَﺎﺩَﺓِ ﺭَﺑِّﻪِ ﺃَﺣَﺪًﺍ -
‘যে তার প্রতিপালকের সাক্ষাত কামনা করে, সে যেন সৎকর্ম করে ও তার প্রতিপালকের ইবাদতে কাউকে শরীক না করে’ (কাহফ ১৮/১১০) ।

✍ তিনি অন্যত্র বলেনঃ

ﻭَﻟَﻘَﺪْ ﺃُﻭْﺣِﻲَ ﺇِﻟَﻴْﻚَ ﻭَﺇِﻟَﻰ ﺍﻟَّﺬِﻳْﻦَ ﻣِﻦْ ﻗَﺒْﻠِﻚَ ﻟَﺌِﻦْ ﺃَﺷْﺮَﻛْﺖَ ﻟَﻴَﺤْﺒَﻄَﻦَّ
ﻋَﻤَﻠُﻚَ ﻭَﻟَﺘَﻜُﻮْﻧَﻦَّ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﺨَﺎﺳِﺮِﻳْﻦَ -
‘তোমার প্রতি ও তোমার পূর্ববর্তীদের প্রতি অবশ্যই অহী হয়েছে যে, তুমি যদি আল্লাহর সাথে কোন শরীক স্থির
কর, তবে তোমার আমল বরবাদ হয়ে যাবে এবং তুমি অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে’ (যুমার ৩৯/৬৫) ।

✍ তিনি আরও বলেনঃ

ﻭَﻟَﻮْ ﺃَﺷْﺮَﻛُﻮْﺍ ﻟَﺤَﺒِﻂَ ﻋَﻨْﻬُﻢْ ﻣَﺎ ﻛَﺎﻧُﻮْﺍ ﻳَﻌْﻤَﻠُﻮْﻥَ
‘যদি তারা শিরক করত তবে তাদের আমল বরবাদ হয়ে যেত’ (আন‘আম ৬/৮৮) ।
উল্লিখিত আয়াত সমূহ থেকে স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয় যে, শিরক মুক্ত বিশুদ্ধ আক্বীদা ব্যতীত আল্লাহর নিকটে কোন আমল কবুল হবে না। অতএব আমল করার পূর্বে আক্বীদা সংশোধন করা অপরিহার্য।

❒ মুসলমানদের মধ্যে বিভক্তির মূলেই রয়েছে আক্বীদাগত পার্থক্যঃ
আল্লাহ তা‘আলা মানব জাতির সার্বিক জীবন পরিচালনার যাবতীয় বিধি-বিধান নাযিল করে একমাত্র
তারই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছেন। আর তা অনুসরণের ক্ষেত্রে পরস্পরে দলাদলী বা বিচ্ছিন্ন হ’তে নিষেধ করেছেন। আর এই নির্দেশ আক্বীদাগত ঐক্যের নির্দেশ। এই নির্দেশ পালনের মাধ্যমে মানুষ মুসলিম হয় এবং পরকালে জাহান্নামের কঠিন আযাব থেকে প্ররিত্রাণ লাভ করে ও জান্নাতের অফুরন্ত নে‘আমত লাভের পথ সুগম করে। পক্ষান্তরে উক্ত নিষেধ অমান্য করে ভ্রান্ত আক্বীদায় বিশ্বাসী হওয়ার মাধ্যমে মানুষ ইহুদী, খৃষ্টান, হিন্দু, বৌদ্ধ, রাফেযী, খারেজী, শী‘আ, মু‘তাযিলা বিভিন্ন ভ্রান্ত দলের অন্তর্ভুক্ত হয়ে জান্নাতের অফুরন্ত নে‘মত থেকে বঞ্চিত হয় এবং জাহান্নামের কঠিন আযাব গ্রহণের পথ সুগম করে। আমরা যারা নিজেদেরকে মুসলিম দাবী করি, একই কা‘বার দিকে মুখ ফিরিয়ে ছালাত আদায় করি, তারাও আজ শতধাবিভক্ত। নিজেদেরকে মুসলিম দাবী করেও ‘ওয়াহদাতুল উজূদ’-এর মত ভ্রান্ত আক্বীদায় বিশ্বাসী হওয়ার মাধ্যমে নিজেরাই আল্লাহ বনে যাই; নাউযুবিল্লাহ।

কেউবা মুহাম্মাদ (সঃ)- কে আল্লাহ বলি, আবার কেউ আলী (রাঃ)- কে আল্লাহ বলি। এ সমস্ত ভ্রান্ত আক্বীদা তাদের মৌখিক স্বীকৃতির অসারতা প্রমাণ করে। তদানীন্তনকালের কাফির মুশরিকরা তাওহীদে রুবূবিয়্যাত তথা আল্লাহকে একক সৃষ্টিকর্তা হিসাবে বিশ্বাস করলেও ইবাদতের ক্ষেত্রে আল্লাহকে একক
বলে বিশ্বাস করেনি। তারা মূর্তিপূজার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য হাছিলের চেষ্টা করত। অনুরূপভাবে অধিকাংশ মুসলিম তাওহীদে রবূবিয়্যাতকে বিশ্বাস করলেও
তাওহীদে ইবাদত ও আসমা ওয়াছ ছিফাতকে পূর্ণভাবে বিশ্বাস করতে পারেনি। কবর পূজা ও পীরপূজার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য হাছিল করতে চায়। আর এই আক্বীদাগত বিভক্তির কারণেই মুসলমানরা (উম্মতে মুহাম্মাদী) ৭৩ দলে বিভক্ত হবে, যার মধ্যে একটি মাত্র
দল জান্নাতে প্রবেশ করবে।

✍ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেনঃ

ﻟَﻴَﺄْﺗِﻴَﻦَّ ﻋَﻠَﻰ ﺃُﻣَّﺘِﻲْ ﻣَﺎ ﺃَﺗَﻰ ﻋَﻠَﻰ ﺑَﻨِﻲْ ﺇِﺳْﺮَﺍﺋِﻴْﻞَ ﺣَﺬْﻭَ ﺍﻟﻨَّﻌْﻞِ ﺑِﺎﻟﻨَّﻌْﻞِ
ﺣَﺘَّﻰ ﺇِﻥْ ﻛَﺎﻥَ ﻣِﻨْﻬُﻢْ ﻣَﻦْ ﺃَﺗَﻰ ﺃُﻣَّﻪُ ﻋَﻼَﻧِﻴَﺔً ﻟَﻜَﺎﻥَ ﻓِﻲْ ﺃُﻣَّﺘِﻲْ ﻣَﻦْ
ﻳَﺼْﻨَﻊُ ﺫَﻟِﻚَ ﻭَﺇِﻥَّ ﺑَﻨِﻲْ ﺇِﺳْﺮَﺍﺋِﻴْﻞَ ﺗَﻔَﺮَّﻗَﺖْ ﻋَﻠَﻰ ﺛِﻨْﺘَﻴْﻦِ ﻭَﺳَﺒْﻌِﻴْﻦَ ﻣِﻠَّﺔً
ﻭَﺗَﻔْﺘَﺮِﻕُ ﺃُﻣَّﺘِﻲْ ﻋَﻠَﻰ ﺛَﻼَﺙٍ ﻭَﺳَﺒْﻌِﻴْﻦَ ﻣِﻠَّﺔً ﻛُﻠُّﻬُﻢْ ﻓِﻲْ ﺍﻟﻨَّﺎﺭِ ﺇِﻻَّ ﻣِﻠَّﺔً
ﻭَﺍﺣِﺪَﺓً ﻗَﺎﻟُﻮْﺍ ﻭَﻣَﻦْ ﻫِﻰَ ﻳَﺎ ﺭَﺳُﻮْﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ ﻗَﺎﻝَ ﻣَﺎ ﺃَﻧَﺎ ﻋَﻠَﻴْﻪِ
ﻭَﺃَﺻْﺤَﺎﺑِﻲْ -
‘বানী ইসরাঈলের উপর যেমন অবস্থার আগমন
ঘটেছিল আমার উম্মতের উপরেও তেমন অবস্থার আগমন ঘটবে; এক জোড়া জুতা পরস্পর সমান হওয়ার ন্যায়। এমনকি যদি বানী ইসরাঈলদের মধ্যে এমন লোক থাকে, যে তার মায়ের সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হয়েছিল, তাহ’লে আমার উম্মতের মধ্যেও এমন লোক পাওয়া যাবে যে তার মায়ের সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হবে। বানী ইসরাঈলরা বিভক্ত হয়েছিল ৭২টি দলে; আর আমার উম্মত বিভক্ত হবে ৭৩টি দলে। সব দলই জাহান্নামে প্রবেশ করবে, একটি দল ব্যতীত। ছাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)!
সে দল কোনটি? তিনি বললেন, আমি এবং আমার অনুসারীগণ যার উপরে প্রতিষ্ঠিত রয়েছি, এর উপর যারা প্রতিষ্ঠিত থাকবে (তারাই মুক্তিপ্রাপ্ত দল)।

অতএব বিশুদ্ধ আক্বীদাই ইহকালে মুসলমানদের
পরস্পরের মধ্যে ঐক্যের একমাত্র পথ এবং পরকালে মুক্তির একমাত্র উপায়। একে অপরের আক্বীদা সংশোধনের মাধ্যমেই মুসলিম ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। নবী-রাসূলগণের সকলেই সর্বপ্রথম মানুষের
আক্বীদা সংশোধনের দাওয়াত দিয়েছেন। আক্বীদা সংশোধনের পরেই কেবল তাকে ছালাত, ছিয়াম সহ ইসলামের অন্যান্য বিধান মানার নির্দেশ দিয়েছেন।

✍ রাসূলুল্লাহ (সঃ) মু‘আয (রাঃ)- কে ইয়ামানে প্রেরণকালে বলেছিলেনঃ

ﺍﺩْﻋُﻬُﻢْ ﺇِﻟَﻰ ﺷَﻬَﺎﺩَﺓِ ﺃَﻥْ ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺍﻟﻠﻪُ، ﻭَﺃَﻧِّﻲْ ﺭَﺳُﻮْﻝُ ﺍﻟﻠﻪِ، ﻓَﺈِﻥْ ﻫُﻢْ
ﺃَﻃَﺎﻋُﻮْﺍ ﻟِﺬَﻟِﻚَ ﻓَﺄَﻋْﻠِﻤْﻬُﻢْ ﺃَﻥَّ ﺍﻟﻠﻪَ ﻗَﺪِ ﺍﻓْﺘَﺮَﺽَ ﻋَﻠَﻴْﻬِﻢْ ﺧَﻤْﺲَ ﺻَﻠَﻮَﺍﺕٍ
ﻓِﻲْ ﻛُﻞِّ ﻳَﻮْﻡٍ ﻭَﻟَﻴْﻠَﺔٍ، ﻓَﺈِﻥْ ﻫُﻢْ ﺃَﻃَﺎﻋُﻮْﺍ ﻟِﺬَﻟِﻚَ ﻓَﺄَﻋْﻠِﻤْﻬُﻢْ ﺃَﻥَّ ﺍﻟﻠﻪَ
ﺍﻓْﺘَﺮَﺽَ ﻋَﻠَﻴْﻬِﻢْ ﺻَﺪَﻗَﺔً ﻓِﻲْ ﺃَﻣْﻮَﺍﻟِﻬِﻢْ، ﺗُﺆْﺧَﺬُ ﻣِﻦْ ﺃَﻏْﻨِﻴَﺎﺋِﻬِﻢْ ﻭَﺗُﺮَﺩُّ
ﻋَﻠَﻰ ﻓُﻘَﺮَﺍﺋِﻬِﻢْ -
‘সেখানকার অধিবাসীদেরকে এ সাক্ষ্য দানের প্রতি আহবান জানাবে যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন সত্য ইলাহ নেই এবং আমি আল্লাহর রাসূল। যদি তারা তা মেনে নেয় তবে তাদেরকে অবগত কর যে, আল্লাহ তা‘আলা তাদের উপর দিনে ও রাতে পাঁচ ওয়াক্ত ছালাত ফরয করেছেন। যদি সেটাও তারা মেনে নেয় তবে তাদেরকে অবগত কর যে, আল্লাহ তা‘আলা তাদের উপর তাদের সম্পদে ছাদাক্বাহ (যাকাত) ফরয করেছেন। যেটা তাদের ধনীদের নিকট থেকে গৃহীত হবে আর দরিদ্রের মাঝে বণ্টন করা হবে’।

আলোচ্য হাদীছ থেকে বুঝা যায় যে, সর্বপ্রথম মানুষের আক্বীদা সংশোধনের দাওয়াত দিতে হবে। কেননা আক্বীদাই হ’ল ইসলামের মৌলিক বিষয়। আক্বীদা সংশোধনের মাধ্যমে পরিপূর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশের
পরেই ছালাত, ছিয়াম, হজ্জ, যাকাত সহ ইসলামের যাবতীয় বিধান মেনে চলতে হবে। অন্যথা তার ইবাদত আল্লাহর নিকট কবুল হবে না।

✍ মহান আল্লাহ বলেনঃ

ﻭَﻗَﺪِﻣْﻨَﺎ ﺇِﻟَﻰ ﻣَﺎ ﻋَﻤِﻠُﻮْﺍ ﻣِﻦْ ﻋَﻤَﻞٍ ﻓَﺠَﻌَﻠْﻨَﺎﻩُ ﻫَﺒَﺎﺀً ﻣَﻨْﺜُﻮْﺭًﺍ -
‘আমি তাদের (কাফিরদের) কৃতকর্মের প্রতি লক্ষ্য করব, অতঃপর সেগুলিকে বিক্ষিপ্ত ধুলিকণায় পরিণত করব’
(ফুরক্বান ২৫/২৩) ।

✍ অন্যত্র তিনি বলেনঃ

ﻭَﻣَﺎ ﻣَﻨَﻌَﻬُﻢْ
ﺃَﻥْ ﺗُﻘْﺒَﻞَ ﻣِﻨْﻬُﻢْ ﻧَﻔَﻘَﺎﺗُﻬُﻢْ ﺇِﻟَّﺎ ﺃَﻧَّﻬُﻢْ ﻛَﻔَﺮُﻭْﺍ ﺑِﺎﻟﻠﻪِ ﻭَﺑِﺮَﺳُﻮْﻟِﻪِ ﻭَﻟَﺎ ﻳَﺄْﺗُﻮْﻥَ
ﺍﻟﺼَّﻠَﺎﺓَ ﺇِﻟَّﺎ ﻭَﻫُﻢْ ﻛُﺴَﺎﻟَﻰ ﻭَﻟَﺎ ﻳُﻨْﻔِﻘُﻮْﻥَ ﺇِﻟَّﺎ ﻭَﻫُﻢْ ﻛَﺎﺭِﻫُﻮْﻥَ -

তাদের (কাফিরদের) দান গ্রহণ করা নিষেধ করা হয়েছে এজন্য যে, তারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে অস্বীকার করে, ছালাতে শৈথিল্যের সাথে উপস্থিত হয় এবং অনিচ্ছাকৃতভাবে দান করে’ (তওবা ৯/৫৪) ।

উপসংহার : পরিশেষে বলবো, কোন দালান যেমন
ভিত্তি স্থাপন করা ব্যতীত দাঁড় করানো সম্ভব নয়। তেমনি ভিত্তি ব্যতীত ইসলামের উপর টিকে থাকাও সম্ভব নয়, আর ইসলামের মৌলিক ভিত্তিই হ’ল আক্বীদা। মানুষ তার জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সেই মৌলিক ভিত্তির উপরেই টিকে থাকবে। তার জীবনের সবকিছুকে একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য উৎসর্গ করবে।

✍ মহান আল্লাহ তাআলা বলেছেনঃ

, ﻗُﻞْ ﺇِﻥَّ ﺻَﻠَﺎﺗِﻲْ ﻭَﻧُﺴُﻜِﻲْ ﻭَﻣَﺤْﻴَﺎﻱَ ﻭَﻣَﻤَﺎﺗِﻲْ ﻟِﻠَّﻪِ ﺭَﺏِّ
ﺍﻟْﻌَﺎﻟَﻤِﻴْﻦَ - ﻟَﺎ ﺷَﺮِﻳْﻚَ ﻟَﻪُ ﻭَﺑِﺬَﻟِﻚَ ﺃُﻣِﺮْﺕُ ﻭَﺃَﻧَﺎ ﺃَﻭَّﻝُ ﺍﻟْﻤُﺴْﻠِﻤِﻴْﻦَ - ‘
বল আমার ছালাত, আমার ইবাদত, আমার জীবন ও
আমার মরণ জগৎ সমূহের প্রতিপালক আল্লাহরই উদ্দেশ্যে। তাঁর কোন শরীক নাই এবং আমি এর জন্যই আদিষ্ট হয়েছি এবং আমিই প্রথম মুসলিম’ (আন‘আম
৬/১৬২-১৬৩) ।

অতএব দুনিয়াবী জীবনের সকল কর্মকান্ডে একমাত্র লক্ষ্য থাকবে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যমে জান্নাত লাভ করা। আর মানুষের কর্মকান্ডে আল্লাহ সন্তুষ্ট
হবেন না যতক্ষণ পর্যন্ত তার আক্বীদা ছহীহ না হবে। সুতরাং সঠিক আক্বীদাই পরকালীন জীবনে জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তির একমাত্র উপায়।
আল্লাহ আমাদের ছহীহ আক্বীদা বুঝার এবং সে মতে চলার তাওফীক্ব দিন-আমীন!
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬

বিশুদ্ধ আক্বিদা (১ম পর্ব)


----------------------------------------------

সুচনাঃ

আল্লাহ তা‘আলা মানব জাতিকে আশরাফুল মাখলূকাত তথা সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব হিসাবে দুনিয়ায় প্রেরণ করেছেন। মানুষ তার শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ পেশ করে আক্বীদা বা বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করেই।

ইহা এমন এক ভিত্তি, যাকে অবলম্বন করেই মানুষ তার সার্বিক জীবন পরিচালনার গতিপথ নির্ধারণ করে। আক্বীদা বা বিশ্বাস যার বিশুদ্ধ নয় তার সম্পূর্ণ জীবনটাই বৃথা। কারণ মানব জীবনের মূল চাবিকাঠি হল তার আক্বীদা বা বিশ্বাস; যার আলোকে মানুষ তার সকল কর্ম সম্পাদন করে থাকে।

ইহা এমন এক অতুলনীয় শক্তি, যার উপর ভর করে নিজের জীবনটুকু বিলিয়ে দিতেও সে কুণ্ঠাবোধ করে না। ভিত্তি স্থাপন ব্যতীত কোন বিল্ডিং বানানো যেমন অসম্ভব, তেমনি বিশুদ্ধ আক্বীদা ব্যতীত নিজেকে মুসলিম দাবী করাও অসম্ভব।

প্রতিটি কথা ও কর্ম যদি বিশুদ্ধ আক্বীদা বা বিশ্বাস থেকে নির্গত না হয় তবে তা আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হয় না।

মানবজাতির যাবতীয় পথভ্রষ্টতার মূলে রয়েছে তার মৌলিক আক্বীদা থেকে বিচ্যুত হওয়া। তাই সঠিক

আক্বীদাই পরকালীন মুক্তির একমাত্র উপায়। অতএব বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্বের সাথে জানা অপরিহার্য।



❒ আক্বীদার পরিচয়ঃ

শাব্দিক অর্থ : ﻋﻘﻴﺪﺓ(আক্বীদা) শব্দটি আরবী ﻋﻘﺪﺓ (উক্বদাতুন) শব্দ থেকে উদ্গৃত। যার শাব্দিক অর্থ হচ্ছে- গিরা বা বাঁধন। যেমন কুরআনে বর্ণিত হয়েছে ﻋُﻘْﺪَﺓُ ﺍﻟﻨِّﻜَﺎﺡِ অর্থাৎ "বিবাহের বাঁধন’ (বাক্বারাহ ২/২৩৭) ।

পারিভাষিক অর্থ : সাধারণভাবে সেই সুদৃঢ় বিশ্বাসকেই আক্বীদাহ বলা হয়; যার উপর ভিত্তি করে মানুষ তার জীবন পরিচালনা করে। আর ইসলামী আক্বীদা বলতে বুঝায়- আল্লাহর রুবূবিয়্যাত, উলুহিয়্যাত ও আসমা ওয়াছ ছিফাতের উপর দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন করা। তাঁর

ফেরেশতামন্ডলী, নবী-রাসূলগণ, তাঁদের উপর

নাযিলকৃত কিতাব সমূহ, আখেরাত বা পরকাল

এবং তাক্বদীরের ভাল-মন্দের উপর সন্দেহ মুক্ত দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন করা।


❒ সঠিক আক্বীদা পোষণের গুরুত্বঃ

(ক) আক্বীদা ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের প্রধান স্তম্ভঃ


আক্বীদা তথা আল্লাহর একত্বে পূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন করা ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের প্রথম স্তম্ভ।


✍ ইবনু ওমর (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন,



ﺑُﻨِﻰَ ﺍﻹِﺳْﻼَﻡُ ﻋَﻠَﻰ ﺧَﻤْﺲٍ ﺷَﻬَﺎﺩَﺓِ ﺃَﻥْ ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺍﻟﻠﻪُ ﻭَﺃَﻥَّ ﻣُﺤَﻤَّﺪًﺍ

ﺭَﺳُﻮْﻝُ ﺍﻟﻠﻪِ ﻭَﺇِﻗَﺎﻡِ ﺍﻟﺼَّﻼَﺓِ ﻭَﺇِﻳْﺘَﺎﺀِ ﺍﻟﺰَّﻛَﺎﺓِ ﻭَﺍﻟْﺤَﺞِّ ﻭَﺻَﻮْﻡِ ﺭَﻣَﻀَﺎﻥَ

‘ইসলাম পাঁচটি স্তম্ভের উপর প্রতিষ্ঠিত। ১. আল্লাহ ব্যতীত কোন সত্য ইলাহ নেই এবং মুহাম্মাদ (সঃ) আল্লাহর রাসূল-এ কথার সাক্ষ্য প্রদান করা। ২. ছালাত ক্বায়েম করা। ৩. যাকাত আদায় করা। ৪. হজ্জ সম্পাদন করা এবং ৫. রামাযানের ছিয়াম পালন করা’।

অতএব ইসলামের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকার প্রধান মাধ্যম হ’ল, ছহীহ বা বিশুদ্ধ আক্বীদা, যা পরকালীন মুক্তির সবচেয়ে বড় ও শক্তিশালী হাতিয়ার।

(খ) বিশুদ্ধ আক্বীদাই কুরআন মানার মাধ্যমঃ

আল্লাহ তা‘আলা মানব জাতির জন্য ইসলামকে একমাত্র দ্বীন হিসাবে মনোনীত করে ইসলামের যাবতীয় বিধি-বিধান অহী মারফত নাযিল করেছেন। মানুষ তার
সার্বিক জীবন কিভাবে পরিচালনা করবে, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সম্পর্কে কেমন আক্বীদা পোষণ করবে? এর সবকিছুই কুরআনে যথাযথভাবে বর্ণিত হয়েছে।
কুরআনের এমন কোন সূরা নেই যেখানে তাওহীদ
সম্পর্কে আলোচনা করা হয়নি। তাই বলা যায়
যে, সম্পূর্ণ কুরআনই তাওহীদ। কেননা কুরআনের
সর্বত্রই আল্লাহর নামসমূহ ও গুণাবলী সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে এবং আল্লাহর সাথে কোন ব্যক্তি বা বস্ত্তকে শরীক করা থেকে বিরত থেকে এক আল্লাহর ইবাদত করার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। অথবা তাতে আল্লাহর একনিষ্ঠ তাওহীদপন্থী বান্দাদের ইহকালীন ও পরকালীন জীবনে উত্তম প্রতিদান দানের কথা বলা হয়েছে এবং তাঁর নাফরমান কাফির মুশরিকদের শাস্তির সংবাদ দেওয়া হয়েছে। অথবা তাতে পূর্ববর্তী নবীগণের একনিষ্ঠ অনুসারীদের উপর আল্লাহর সাহায্যের কথা বলা হয়েছে এবং নবীগণকে অস্বীকারকারীদের উপর আল্লাহর নাযিলকৃত গযবের কথা বলা হয়েছে। যেমন- পবিত্র কুরআনে নূহ (আঃ), হুদ (আঃ), ছালেহ (আঃ), ইবরাহীম (আঃ)-এর কওমের উপর আনীত সাহায্য ও শাস্তির কথা বিবৃত হয়েছে। অথবা তাতে হালাল ও হারামের কথা বলা হয়েছে, যা তাওহীদের হক সমূহের অন্তর্ভুক্ত। কেননা আল্লাহর তাওহীদপন্থী বান্দারা কুরআনে বর্ণিত হালালকে হালাল এবং হরামকে হারাম বলে বিশ্বাস করবে। হালাল উপার্জন করবে এবং হারাম উপর্জন থেকে যেকোন মূল্যে বিরত থাকবে। অতএব বিশুদ্ধ আক্বীদা পোষণের মাধ্যমেই পূর্ণরূপে কুরআন
মানা সম্ভব।

(গ) বিশুদ্ধ আক্বীদা ইসলামে প্রবেশের একমাত্র মাধ্যমঃ
আল্লাহ তা‘আলা মানব জাতির জন্য ইসলামকে একমাত্র দ্বীন হিসাবে মনোনীত করেছেন। এতদ্ভিন্ন কোন দ্বীন আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য নয়।

✍ আল্লাহ তা‘আলা বলেনঃ

ﻭَﻣَﻦْ ﻳَﺒْﺘَﻎِ ﻏَﻴْﺮَ ﺍﻟْﺈِﺳْﻼَﻡِ ﺩِﻳْﻨًﺎ ﻓَﻠَﻦْ ﻳُﻘْﺒَﻞَ
ﻣِﻨْﻪُ ﻭَﻫُﻮَ ﻓِﻲْ ﺍﻟْﺂﺧِﺮَﺓِ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﺨَﺎﺳِﺮِﻳْﻦَ - ‘
যে ব্যক্তি ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন দ্বীন অন্বেষণ করবে তার থেকে তা কখনোই গ্রহণ করা হবে না এবং সে পরকালে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে’ (আলে-ইমরান ৩/৮৫) ।

আর ইসলামে প্রবেশের একমাত্র মাধ্যম হ’ল
আক্বীদা ছহীহ হওয়া। কারণ ইসলামের মৌলিক বিষয় হ’ল আক্বীদাহ। আক্বীদা বা বিশ্বাসই মানুষকে পথভ্রষ্ট করে এমনকি ইসলাম থেকে বের করে দেয়।
যেমন –

আক্বীদাগত কারণে একজন মানুষ তার সৃষ্টিকর্তাকে ভুলে গিয়ে নিজ হাতে বানানো মূর্তির পূজা করে, তাকেই পরকালে নাজাতের অসীলা মনে করে, তার বিরুদ্ধে অবস্থানকারী নিজ সন্তান হ’লেও তাকে হত্যা করার মত ঘৃণিত ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। ইবরাহীম (আঃ) মূর্তি পূজার বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে তাঁর পিতা কর্তৃক হত্যার ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে জ্বলন্ত আগুনে নিক্ষিপ্ত হয়েছিলেন। আল্লাহর বিশেষ রহমতে আগুনের প্রচন্ড তাপ তাঁর জন্য শীতল ও আরামদায়ক হয়েছিল। অথচ ঐ সকল মূর্তি পরকালে তাদের কোনই উপকার
করতে পারবে না; বরং তাদের ইবাদতকে অস্বীকার করবে।

✍ আল্লাহ তা‘আলা বলেনঃ

ﻭَﺍﺗَّﺨَﺬُﻭْﺍ ﻣِﻦْ ﺩُﻭْﻥِ ﺍﻟﻠﻪِ ﺁﻟِﻬَﺔً ﻟِﻴَﻜُﻮْﻧُﻮْﺍ ﻟَﻬُﻢْ ﻋِﺰًّﺍ، ﻛَﻼَّ ﺳَﻴَﻜْﻔُﺮُﻭْﻥَ ﺑِﻌِﺒَﺎﺩَﺗِﻬِﻢْ ﻭَﻳَﻜُﻮْﻧُﻮْﻥَ ﻋَﻠَﻴْﻬِﻢْ ﺿِﺪًّﺍ -
‘তারা আল্লাহ ব্যতীত বহু মা‘বূদ গ্রহণ করেছে, যাতে তারা তাদের সাহায্যকারী হ’তে পারে। কখনই নয়,
তারা তাদের ইবাদতের কথা অস্বীকার করবে এবং তাদের বিপক্ষে চলে যাবে’ (মারইয়াম ১৯/৮১-৮২)।

✍ তিনি অন্যত্র বলেনঃ

ﻭَﻳَﻮْﻡَ ﻧَﺤْﺸُﺮُﻫُﻢْ ﺟَﻤِﻴْﻌًﺎ ﺛُﻢَّ ﻧَﻘُﻮْﻝُ ﻟِﻠَّﺬِﻳْﻦَ ﺃَﺷْﺮَﻛُﻮْﺍ ﻣَﻜَﺎﻧَﻜُﻢْ ﺃَﻧْﺘُﻢْ
ﻭَﺷُﺮَﻛَﺎﺅُﻛُﻢْ ﻓَﺰَﻳَّﻠْﻨَﺎ ﺑَﻴْﻨَﻬُﻢْ ﻭَﻗَﺎﻝَ ﺷُﺮَﻛَﺎﺅُﻫُﻢْ ﻣَﺎ ﻛُﻨْﺘُﻢْ ﺇِﻳَّﺎﻧَﺎ ﺗَﻌْﺒُﺪُﻭْﻥَ -
ﻓَﻜَﻔَﻰ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﺷَﻬِﻴْﺪًﺍ ﺑَﻴْﻨَﻨَﺎ ﻭَﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْ ﺇِﻥْ ﻛُﻨَّﺎ ﻋَﻦْ ﻋِﺒَﺎﺩَﺗِﻜُﻢْ ﻟَﻐَﺎﻓِﻠِﻴْﻦَ -
‘আর যেদিন আমি তাদের সকলকে একত্রিত
করব, অতঃপর যারা শিরক করেছে তাদেরকে বলব, তোমরা ও তোমাদের শরীকরা নিজ নিজ জায়গায়
দাঁড়িয়ে যাও। অতঃপর আমি তাদেরকে আলাদা করে দিব। তখন তাদের শরীকরা বলবে, তোমরা তো আমাদের ইবাদত করতে না। সুতরাং আল্লাহ আমাদের ও তোমাদের মাঝে সাক্ষী হিসাবে যথেষ্ট। আমরা নিশ্চয়ই তোমাদের ইবাদত সম্পর্কে গাফেল ছিলাম (জানতাম না)’ (ইউনুস ১০/২৮-২৯) ।

✍ তিনি অন্যত্র আরও বলেনঃ
ﻭَﻗِﻴﻞَ
ﺍﺩْﻋُﻮْﺍ ﺷُﺮَﻛَﺎﺀَﻛُﻢْ ﻓَﺪَﻋَﻮْﻫُﻢْ ﻓَﻠَﻢْ ﻳَﺴْﺘَﺠِﻴْﺒُﻮْﺍ ﻟَﻬُﻢْ ﻭَﺭَﺃَﻭُﺍ ﺍﻟْﻌَﺬَﺍﺏَ ﻟَﻮْ
ﺃَﻧَّﻬُﻢْ ﻛَﺎﻧُﻮْﺍ ﻳَﻬْﺘَﺪُﻭْﻥَ -
‘আর বলা হবে, তোমরা তোমাদের দেবতাগুলোকে ডাক, অতঃপর তারা তাদেরকে ডাকবে, তখন তারা তাদের ডাকে সাড়া দিবে না। আর তারা আযাব প্রত্যক্ষ করবে। হায়! এরা যদি সৎপথ প্রাপ্ত হ’ত’ (কাছাছ ২৮/৬৪) ।

✍ তিনি অন্যত্র বলেনঃ

ﻭَﻳَﻮْﻡَ ﻳَﻘُﻮْﻝُ ﻧَﺎﺩُﻭْﺍ ﺷُﺮَﻛَﺎﺋِﻲَ ﺍﻟَّﺬِﻳْﻦَ ﺯَﻋَﻤْﺘُﻢْ ﻓَﺪَﻋَﻮْﻫُﻢْ ﻓَﻠَﻢْ
ﻳَﺴْﺘَﺠِﻴْﺒُﻮْﺍ ﻟَﻬُﻢْ ﻭَﺟَﻌَﻠْﻨَﺎ ﺑَﻴْﻨَﻬُﻢْ ﻣَﻮْﺑِﻘًﺎ - ﻭَﺭَﺃَﻯ ﺍﻟْﻤُﺠْﺮِﻣُﻮْﻥَ ﺍﻟﻨَّﺎﺭَ
ﻓَﻈَﻨُّﻮْﺍ ﺃَﻧَّﻬُﻢْ ﻣُﻮَﺍﻗِﻌُﻮْﻫَﺎ ﻭَﻟَﻢْ ﻳَﺠِﺪُﻭْﺍ ﻋَﻨْﻬَﺎ ﻣَﺼْﺮِﻓًﺎ -
‘আর যেদিন তিনি বলবেন, তোমরা ডাক আমার শরীকদের, যাদেরকে তোমরা (শরীক) মনে করতে। অতঃপর তারা তাদেরকে ডাকবে, কিন্তু তারা তাদের ডাকে সাড়া দিবে না। আমি তাদের মাঝে রেখে দিব ধ্বংসস্থল। আর অপরাধীরা আগুন দেখবে। অতঃপর
তারা নিশ্চিতরূপে জানতে পারবে যে, নিশ্চয়ই তারা তাতে নিপতিত হবে এবং তারা তা থেকে বাঁচার কোন পথ খুঁজে পাবে না’ (কাহাফ ১৮/৫২-৫৩) ।

✍ তিনি অন্যত্র বলেনঃ

ﻭَﻟَﻘَﺪْ ﺟِﺌْﺘُﻤُﻮْﻧَﺎ ﻓُﺮَﺍﺩَﻯ ﻛَﻤَﺎ ﺧَﻠَﻘْﻨَﺎﻛُﻢْ ﺃَﻭَّﻝَ ﻣَﺮَّﺓٍ ﻭَﺗَﺮَﻛْﺘُﻢْ ﻣَﺎ ﺧَﻮَّﻟْﻨَﺎﻛُﻢْ
ﻭَﺭَﺍﺀَ ﻇُﻬُﻮْﺭِﻛُﻢْ ﻭَﻣَﺎ ﻧَﺮَﻯ ﻣَﻌَﻜُﻢْ ﺷُﻔَﻌَﺎﺀَﻛُﻢُ ﺍﻟَّﺬِﻳْﻦَ ﺯَﻋَﻤْﺘُﻢْ ﺃَﻧَّﻬُﻢْ
ﻓِﻴْﻜُﻢْ ﺷُﺮَﻛَﺎﺀُ ﻟَﻘَﺪْ ﺗَﻘَﻄَّﻊَ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْ ﻭَﺿَﻞَّ ﻋَﻨْﻜُﻢْ ﻣَﺎ ﻛُﻨْﺘُﻢْ ﺗَﺰْﻋُﻤُﻮْﻥَ -
‘আর নিশ্চয়ই তোমরা আমার কাছে নিঃসঙ্গ হয়ে এসেছ, যেরূপ আমি তোমাদেরকে প্রথমবার সৃষ্টি করেছিলাম এবং আমি তোমাদেরকে যা দান করেছিলাম, তা তোমরা ছেড়ে এসেছ তোমাদের পিঠের পেছনে। আর আমি তোমাদের সাথে তোমাদের সুপারিশকারীদের দেখছি না, যাদেরকে তোমরা মনে করেছিলে যে, নিশ্চয়ই তারা তোমাদের মধ্যে (আল্লাহর) অংশীদার। অবশ্যই ছিন্ন হয়ে গেছে তোমাদের পরষ্পরের সম্পর্ক। আর তোমরা যা ধারণা করতে, তা তোমাদের হ’তে হারিয়ে গেছে’ (আন‘আম ৬/৯৪) ।

✍ তিনি অন্যত্র বলেনঃ

ﺇِﻧَّﻜُﻢْ ﻭَﻣَﺎ ﺗَﻌْﺒُﺪُﻭْﻥَ ﻣِﻦْ ﺩُﻭْﻥِ ﺍﻟﻠﻪِ ﺣَﺼَﺐُ ﺟَﻬَﻨَّﻢَ ﺃَﻧْﺘُﻢْ ﻟَﻬَﺎ ﻭَﺍﺭِﺩُﻭْﻥَ،
ﻟَﻮْ ﻛَﺎﻥَ ﻫَﺆُﻻَﺀِ ﺁﻟِﻬَﺔً ﻣَﺎ ﻭَﺭَﺩُﻭْﻫَﺎ ﻭَﻛُﻞٌّ ﻓِﻴْﻬَﺎ ﺧَﺎﻟِﺪُﻭْﻥَ
‘তোমরা এবং আল্লাহ তা‘আলার পরিবর্তে তোমরা যাদের ইবাদত কর সেগুলি তো জাহান্নামের ইন্ধন,
তোমরা সকলেই এতে প্রবেশ করবে। যদি এরা ইলাহ হ’ত তাহ’লে এরা জাহান্নামে প্রবেশ করত না, তাদের সকলেই এতে স্থায়ী হবে’ (আম্বিয়া ২১/৯৮-৯৯) ।
(চলবে)
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬

Monday, December 31, 2018

Thirty First Night

আসসালামু-আলাইকুম আশা করি সবাই ভালো আছেন।

বর্তমান প্রেক্ষাপট নিয়ে কিছু কথা বলি।
আমরা বর্বরতার যুগে বাস করছি, কোরআনের জ্ঞান নাই বললেই চলে; কোরআন পড়ি না, কোরআন বুঝি না এবং বোঝার চেষ্টা করি না।

আজকের দিনে মুসলিমদের দেখলে বড়ই দুঃখ লাগে আফসোস হয়, যে আমরা কোথাই আছি।


যাই হোক মূল কথাই ফিরে আসি।
বর্তমানে কিছু বিষয় আমাদের মাঝে দেখা যায় যে, আমরা বলে থাকি, বা ফেসবুক প্রোফাইলে লিখে রাখি, আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসূল (সঃ) ভালোবাসি বা আনুগত্য করি । এমন কিছু টাইপ এর বাণী শুনে থাকি বা লিখে রাখি।

আমার প্রশ্নঃ সত্য সত্যিই কি আমরা অন্তর থেকে আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসূল (সঃ) কে ভালোবাসি?

আল্লাহ সুবহানাতায়ালা কুরআনুল কারীমে যা বলেছেনঃ
২ সূরা আল-ইমরানঃ ১৪৯ এবং ১৫০।

 يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِنْ تُطِيعُوا الَّذِينَ كَفَرُوا يَرُدُّوكُمْ عَلَىٰ أَعْقَابِكُمْ فَتَنْقَلِبُوا خَاسِرِينَ

হে মু’মিনগণ ! যদি তোমরা কাফিরদের আনুগত্য কর তবে, তাহারা তোমাদেরকে বিপরীত দিকে ফিরাইয়া দিবে এবং তোমরা ক্ষতিগ্রস্ত হইয়া পড়িবে।

بَلِ اللَّهُ مَوْلَاكُمْ ۖ وَهُوَ خَيْرُ النَّاصِرِينَ

আল্লাহই তো তোমাদের অভিভাবক এবং তিনিই শ্রেষ্ঠ সাহায্যকারী।

আমরা যদি সত্যিকার অর্থেই আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসূল (সঃ) কে অন্তর থেকে ভালোবাসতাম তাহলে, এই বর্বর কাফের, ইহুদী-নাছারা এবং মোশরেকদের মতো দিবস, জন্ম দিবস, এ-দিবস, সে-দিবস, আরো কত যে দিবস; এই দিবস পালন করতাম না।

মুসলমানদের জন্য খুশির দিন হচ্ছে দুই দিন তা হচ্ছে দুই ঈদ। ১) ঈদুল ফিতর । ২) ঈদুল আযহা।
একটু চিন্তা করে দেখুন তো আল্লাহ সুবহানাতায়ালা কি বলছেন সূরা আল-ইমরানে ১৪৯?
আল্লাহ সুবানাতায়ালা আমাদেরকে অর্থাৎ মুমিনদের কে ”সতর্ক করছে” যাতে আমরা কাফেরদের অনুসরণ না করি। এটা আল্লাহ তালা বলছেন অন্য কেউ নয়। এটা আল্লাহর কথা।
কখনো কি চিন্তা করেছেন এটা কত বড় কথা?
তারপরে আল্লাহ তালা আমাদেরকে বলে দিচ্ছে তারা আমাদেরকে ক্ষতি করবে, এবং তাই করছে।
কিন্তু আমরা বুঝতে পারছি না যে ক্ষতিটা কী!

আজকের দিনে আমরা কাফের, ইহুদী-নাছারা এবং মোশরেকদের আনুগত্য করতে গিয়ে আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসূল (সঃ) কে ভুলে গেছি।

আজকে আমরা আনুগত্য করছি, কাফের, ইহুদী-নাছারা এবং মোশরেকদের দিবস; পালন করছি #থার্টি ফার্স্ট নাইট” (Thirty First Night)।


একজন মুসলিম হিসেবে কষ্ট লাগে আরেকজন মুসলিমের এই কাজগুলা দেখে। দুঃখ হয়, কষ্ট হয় ।



তারপরে আল্লাহ তালা আমাদের সু-সংবাদ দিচ্ছে (সূরা আল-ইমরান ১৫০) আমি তোমাদের অভিভাবক ” আল্লাহর কাছে ফিরে আসার আহ্বান”। এর থেকে বোঝা যায় যে আল্লাহ সুবহানাতায়ালা আমাদের কতোটা ভালোবাসেন। কতোটা ভালোবাসা নিয়ে কথাটা বলেছেন।
এক মাত্র তিনিই আমাদের সাহায্যকারী। অর্থাৎঃ ভুল করলে, তাঁর কাছে সাহায্য চাইলে তিনি অবশ্যই আমাদেরকে সাহায্য করবেন।

আল্লাহ সুবহানাতায়ালা সবাইকে বোঝার মত তাওফিক দান করুন ।

Friday, October 19, 2018

সৎ পাত্রী ও পাত্র চয়ন




সৎ পাত্রী চয়ন

স্ত্রী হচ্ছে স্বামীর সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের উপকরণ ও তার সন্তান উৎপাদনের ক্ষেত্র। স্ত্রী স্বামীর জীবন সংগিনী, তার ঘরের রাণী, তার সন্তানের মা, তার হৃদয়ের আকর্ষণ এবং তার মনের মানসী।

স্ত্রী-ই পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ অংগ। কেননা, তার মাধ্যমেই সন্তানের ভবিষ্যত আভিজাত্য নির্ধারিত হয়। সন্তান মায়ের মত গুণ-স্বভাবে গুণান্বিত হয়, মায়ের কোলেই লালিত হয়। সন্তানের কোমল মনােবৃত্তিসমূহ, তার স্বভাব প্রতিভাসমূহ এবং বিকশিত হয় তার মাতৃভাষা ।  সন্তান মায়ের কাছেই গ্রহণ করে তার আচার-আচরণের বহুলাংশ, পরিচিতি লাভ করে তার দীন তার আকীদা-বিশ্বাসের এবং অভ্যাস রপ্ত করে সামাজিক শিষ্টাচারের।

এ সব কারণে ইসলাম ভাল স্ত্রী গ্রহণের বিষয়টিকে যথেষ্ট গুরুত্ব প্রদান করেছে এবং তাকে দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ উপভােগ্য বিষয় ধার্য করে তার সম্পর্কে পূর্ব অবগতি লাভে ও সৎ পাত্রী। চয়নে অনুপ্রাণিত করেছে।

সৎ পাত্র চয়ন

অভিভাবকের কর্তব্য তার নয়ন মণি'র জন্য পাত্র বাছাই করে নিবে। সুতরাং পাত্রের দীনদারী, নীতি-চরিত্র, আভিজাত্য ও সৎ-স্বভাব বিবেচনা করে কন্যা সম্প্রদান করবে। ফলে সে স্ত্রীর সঙ্গে জীবন যাপন করলে সদাচরণের জীবন যাপন করবে, কিংবা বিদায় করলে সৌজন্যের সংগে বিদায় করবে।


রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যখন তােমাদের কাছে এমন কোন ব্যক্তি (বিয়ের প্রস্তাব) নিয়ে আসে যার দীনদারী ও চরিত্র তােমরা পসন্দকর, তখন তার কাছে বিয়ে দিয়ে দাও! যদি তােমরা তা না কর তবে পৃথিবীতে সংকট ও ব্যাপক বিশৃংখলা দেখা দিবে। (তিরমিযী ও আহমাদ)


নারীদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ তারা যাদের মহর সহজে
আদায়যােগ্য। (তাবারানী)

তােমাদের শ্রেষ্ঠ নারী সন্তানবতী, প্রেমময়ী, যারা পর্দার অন্তরালবর্তী, পরিবারের আদরের পাত্রী, স্বামীর অনুগতা, জীবন সঙ্গীর সান্নিধ্যে প্রসাধনকারিণী, অপর জনদের হতে আত্মসংরক্ষণকারিণী, যে স্বামীর কথা শুনে তা মেনে চলে এবং স্বামীর সংগে নির্জন বাসকালে তার উদ্দেশ্যের কাছে নিজেকে নিবেদন করে এবং পুরুষের ন্যায় নিবেদিতা হয় না। (আতুসী)

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ "খাযরাউদ দামিন" পতিত ও পরিত্যক্ত ভূমির সবুজ শ্যামল হতে তােমরা সাবধান! বলা হল, ইয়া রাসূলাল্লাহু (সঃ) 'খাযরাউ দামিন' কি? তিনি বললেনঃ

المرأة الحسناء في المنبت السوء
মন্দ জন্ম ক্ষেত্রের সুন্দরী নারী (গােবরে পদ্মফুল)।

ثلاثة كلهم حق على الله عز وجل عونه المجاهد في سبيل الله ولنا ادم
اكح يستعف والمكاتب يريد الاداء..


তিন ব্যক্তির প্রত্যেককে সাহায্য করা মহীয়ান-গরীয়ান আল্লাহর নিজ দায়িত্বে। (১) আল্লাহর পথের মুজাহিদ (২) চারিত্রিক পবিত্রতা রক্ষার উদ্দেশ্যে বিয়ে করতে আগ্রহী ব্যক্তি এবং (৩) মুক্তি আদায়ের সদিচ্ছা সম্পন্ন মুকাতাব দাস। যে দাস নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়েমুক্ত হওয়ার ব্যাপারে তার মালিকের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ)  ।(হাকিম)

R-Quran 

Sunday, July 15, 2018

বর্তমানে একটি ট্রেন্ড চালু আছে, মানুষ স্পষ্ট হারাম কাজ জড়িত সঙ্গে আল্লাহকে ধন্যবাদ, এবং সাহায্য কামনা করা হয়।

বর্তমানে একটি ট্রেন্ড চালু আছে, মানুষ স্পষ্ট হারাম কাজ জড়িত সঙ্গে আল্লাহকে ধন্যবাদ, এবং সাহায্য কামনা করা হয়।
যেমন:

✪আলহামদুলিল্লাহ আমার মেয়ে বাংলাদেশী আইডলে চস পেয়েছেন। ইনশাল্লাহ এখন ব্যাংকের জব হয়ে যাবে। "
✪ভাই দোয়া করবেন ব্যাংক থেকে এখন লোনটা হয়ে গেছে।
✪মা'স'আল্লাহ, আন্টি তোমার মেয়েকে দারুন নাচতে জানে "...
হ্যাঁ আলহামদুলিল্লাহ স্কুল ডান্স প্রতিযোগিতায় সে প্রথম হয়েছে
✪ (এক ছেলের কলিগের স্ত্রীকে ইঙ্গিত করা হয়েছে) ভাবি, আর বাজেনা আপনি যে সুন্দর মাসা আল্লাহ
✪আনশাআল্লাহ এবারে আর্জেন্টিনা ওয়াল্ডের কাপ জিতলে আমি নাম্বার পড়া শুরু করবো
✪মা'স'আল্লাহ আপনার ছেলের গালে হলুদ অনুষ্ঠান দারুণ হ'ল - যা ডান্স করেছেন জোয়ান বুড়ো সবাই। হ্যাঁ দোয়া কর যেন দ্বিতীয় ছেলের বিয়েটাও এমনভাবে পালন করা হয়,
✪ (ছেলে-মেয়ে মিক্স ফ্রেন্ড চক্রকে উদ্দেশ্য করে) আলহামদুলিল্লাহ আমার ফ্রেন্ডসরা হেল্প ফুল।
✪মশাল্লাহ তো আপনি এমনিতে সুন্দর দেখেন, দাড়ি রাখজে কেন?
✪মশাল্লা আমার মেয়েটা এত সুন্দরী যে সব মানুষ তার দিকে তাকিয়ে আছে,
এক অংকের বললাম,
✪ শুনলাম অকন্য ভাইয়ের ছেলের দলে রহমমমমমম মজুমদারের চাকরি হয়ে গেছে, গাড়ি এসে তাকে নিয়ে গেছে!
✪চোর চুরি করার সময় আল্লাহকে ডাকতে যেন ধরা পড়ে না।
✪ বেল্লা গার্ডেন বসে প্রেমিক তার প্রেমিকাকে বেগানা পুরুষের সামনে পর্দা করতে অযথিত করে
✪ ফরজ নামাজ পরে (সমাপনী) বিদাতি মোনাজাতে বিদাত মুক্ত হয়ে দোয়া করে।
নিজে সার্ট প্যান্ট পরে কোট টাই ওয়ালাকে ঈহুদী খ্রিস্টান এর দালাল বলে ফতোয়া দেই
মুসলিম হিন্দু বন্ধুকে পরীক্ষার জন্য দোয়া চাচ্ছিলেন, তবে হিন্দু বন্ধু কে আবেদনের জন্য?
হজুর বলছে, একমাত্র রাসূল (সা :) এর তরিকায় জীবন পরিচালনা করতে হবে, কিন্তু হজুর বন শুরু করা বালাগাল ওলব্য দিয়ে ,,,,,
✪ বলছে বাংলায় বোখের পড়তে যাবেনা, তবে বাংলায় ফজেইয়েল, বেহেস্তি জওর, ইত্যাদি পড়ার জন্য দাওয়াত করা ,,,,,
✪ না বুঝতে পারলে, বিছমিল্লা গলদ। অথচ, তিনি চিন্তায় না নাই "বিছমিল্লাহ" অর্থ কি? কথাটার মানে কি দড়াল?
✪ ফেইসবুকে নিউজ, আফগানিস্তান ২00 হাফেজ শহীদ হয়েছে, আর বলছে আমিন লিখবেন না অথচ, "আমিন" অর্থ এটা তাই ই। মোরার সংবাদ শোনার পরেও বলছেন আমিন। বিস্ময়।
✪ তাবিজের মত নিশ্চিত শরবরে কাজে কোরআনের আয়াত ব্যবহার করা হচ্ছে যেন ধোকা দেওয়া যায়, বিছমিল্লাহ বললে কি খেতে হবে তা কি হালাল?
কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে ,,,,,
✪ বুড়ি মা পুরাই পর্দাশিন, কিন্তু তার মেয়ে আর সাথে বসেই অর্ধনগ্ন
✪ এক ভাই হোটেল ক্যাশিয়ার স্ত্রীকে বসিয়ে টাব্লিগে গলে ,,,,,,
✪ হজুর জর্দা খায় এবং সাধারণ মানুষকে বোঝা যায় ম্যাক্রো, বোঝার জন্য জয়েজ >> অথচ ম্যাক্রো মানেই নিষিদ্ধ বা অপছন্দনীয়। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অপছন্দনীয় কাজ মুসলমান হয়ে কিভাবে?
✪ আরেকজন বিশ্বাসীকে দেখেছি, প্রতিবার নামায আদায় করার আগেই সিজারেট টেনে নিলাম, তারপর মেছুওয়াক করে ওযু।
✪ মানুষ পশাবের সন্নিকটে পানি থাকলেও ঢিলা কুলুব ব্যবহার করে, তবে কিসের ব্যবহার করা হলে আজোও জানতে হবে না,
প্রতিদিন ভেজাল দুধ খাওয়া খাওয়া, একদিন পিউর খেয়ে বলছে একদিনের ভেজাল, ঠিক একইভাবে সারা জীবন ভুল ভ্রান্তি ইবাদত কোরআন হাদিসের দলিল সংশোধন করে দিলেই বলবে নতুন নতুন ইবাদত কোথায় পাও? অথচ কোরআন হাদীসে এখনো প্রমাণিত হয়েছে, কিন্তু কেউ দেখেনি।
✪ হিন্দু পাণ্ডিত সারা জীবন গীতার পড়া এবং পড়াইতে যেমন মোহাম্মদ (সা :) এর নাম খোজে পাইনি, আমাদের দেশে কিছু আলেম 40 বছর বুখারী পড়তেও নামায সঠিক নিয়ম পাইনি।



দাজ্জালের এক পাশে রাখা জান্নাত, অন্য পাশে জাহান্নাম। আমরা দাজ্জালের জান্নাতকেই হ'ল দয়াময় মনে মনে করেছি এখন আমাদের এই অবস্থা, না জানি তার আগমনের কি হবে আমাদের

# বিদ্রোহ: এগুলো বলছে কেউ কেউ নিকুটে বা ব্যঙ্গ করা আমার উদ্দেশ্য নয়। সত্যই আমাদের সমাজে যেমন আমিও সমাজের অংশ, তাই এই সমালোচনামূলক পোস্টে আমি সর্বদাই 'আমরা / আমাদের' শব্দ ব্যবহার করছি। এগুলি থেকে আমাদের বিরত থাকা উচিত।]

Friday, July 6, 2018

The Prophet Muhammad ﷺ said that “All's well that ends well”



The Prophet Muhammad ﷺ said that “All's well that ends well”
What is ends well? 
Ends well is Kalima
The person who can say The Kalima before the death, He went to Jannah.


প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ ﷺ বলেছেনঃ শেষ ভালো যার সব ভালো তার।
আমাদের ”শেষ ভালো” এর উপর ভরসা করতে হবে।প্রথম ভালো হলে যে শেষ ভালো হবে এটা বোকার পরিচয়। 


কথার কথা বলছিঃ “দুনিয়াতে একটা জিনিস দেখা যায় যে, সন্তান প্রথম বছরে ইউনিভার্সিটি তে ভাল রেজাল্ট করল পরে সন্ত্রাস হয়ে বের হল” এখানে লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে যে, প্রথমে যে ভালো আছে, এই ভালোই ভালো নয়। প্রথম ভালো থেকে শেষ ভালো পর্যন্ত টিকে থাকা। শেষ রক্ষাই রক্ষা।


শেষ ভালোটা কী?


শেষ ভালোটা হচ্ছে কালেমা “লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ্ ﷺ” 
যে ব্যক্তি এই কালেমা মৃত্যুর আগে বলতে পারলো, সে জান্নাতে চলে গেলো।


যে কথাটা বলার জন্য এতো কিছু বলা সেই কথাই আসা যাকঃ


মূল বক্তব্যেঃ সিজদারত অবস্থায় মৃত্যু। 


”সিজদারত অবস্থায় মৃত্যু বরণ করতে চাওয়া”


”সিজদারত অবস্থায় মৃত্যু বরণ করলে কী হবে তা আমি জানি না। আল্লাহ সুবহানাতায়ালাই ভালো জানেন।


হয়তো বা আপনার দোয়া ”সিজদারত অবস্থায় মৃত্যু বরণ” দেখা গেল আপনার ”সিজদারত অবস্থায় মৃত্যু হলো কিন্তু কালেমা বলতে পারলেন না।


প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ ﷺ বলেছেনঃ যে ব্যক্তি মৃত্যুর আগে কালেমা বলতে পারলো, সে জান্নাতে চলে গেলো।আর মৃত্যুটাই হচ্ছে শেষ।তার পরে ব্যক্তি স্বাধীনতা আর থাকবে না। 


তাই আমাদের দোয়া করা উচিত, যেন শেষ মুহূর্তে আমরা ”শেষ ভালোটা” অর্থাৎ “লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ্ ﷺ” নিয়ে যেতে পারি। 




কালেমার মূল্যঃ 


হযরত মুহাম্মদ ﷺ বলেছেনঃ কিয়ামতের দিন এক ব্যক্তিকে সকলের সামনে ডাকা হবে, সকলের সামনে উপস্থিত করে আল্লাহ সুবহানাতায়ালা তার ৯৯টি বদ আমলনামা পেশ করবেন। তার সারা জীবনের যত কুকর্ম আছে, সারা জীবনের যত অপরাধ আছে, এগুলোর হিসাবের যে দপ্তর, সেটার ৯৯টি দপ্তর আল্লাহ সুবহানাতায়ালা তার সামনে উপস্থিত করবেন। যার একএকটি দপ্তর চোখের যতদূর চোখ যায়…….. ততদূর পর্যন্ত বৃহৎ…….. এত বড় হবে একএকটি দপ্তর।এই রকম ৯৯টি দপ্তর হাজির করবেন। ওই ব্যক্তির এত বেশি অপরাধ ছিল।


এর পর আল্লাহ সুবহানাতায়ালা বলবেন, এই যে দপ্তর গুলোতে যা লিখা আছে তুমি এই সব করেছ বলে আমার ফেরেশতা সংরক্ষণ করেছেন, এই ফেরেশতাদের লিখা তাদের সংরক্ষিত এই হিসাব,এর বিষয়ে তোমার কোন সন্দেহ আছে কি? বা এর কোনটি কি তুমি অস্বীকার কর? আল্লাহর আদালতে তার জবানবন্দি নেওয়া হবে।তখন সেই ব্যক্তি বলবে সকলের সামনে, যে না আল্লাহ আপনার ফেরেশতা কোন কিছু বাড়িয়ে লিখে নাই।আমি কোনটিকে অস্বীকার করছি না।এর সবই আমার কৃতকর্ম।


তখন আল্লাহ সুবহানাতায়ালা তাকে বলবেনঃ 
তুমি এতো অপরাধ করলে, 
এতো অন্যায় করলে তোমার কী কোন ”অজর আছে” বা তোমার কী কোন বক্তব্য, তোমাকে কী কেউ করতে বাধ্য করছে, বা তোমার কী কিছু বলার আছে?


তখন সে বলবে না আল্লাহ। কেউ আমাকে বাধ্য করে নাই আমি নিজেই করেছি। এবং আজকে আমার কোন বক্তব্য পেশ করার মতো নাই আপনার সামনে।


তখন আল্লাহ সুবহানাতায়ালা বলবেনঃ হাঁ তোমার একটি ভাল কাজ আছে আমার কাছে।নিশ্চয়ই আজ তোমার প্রতি অবিচার করা হবে না। যেটুকু ভাল কাজ করেছ তার প্রতিদান পাবে। 


তখন এক টুকরো কাগজ বের করা হবে, যেখানে লিখা থাকবে কলেমা।আল্লাহ বলবেন যে, তোমার মধ্যে এই বিশ্বাস ছিল।অর্থাৎ কালেমার বিশ্বাস।


তখন আল্লাহ সুবহানাতায়ালা বলবেন তোমার আমল মাপা হবে, আসো..! হাজির হওয়, সামনে আসো, কাছে আসো।


৯৯টি দপ্তর একপাশে থাকবে এবং কালেমা এক পাশে থাকবে। অর্থাৎ মিজানে আমল মাপা হবে। 


তখন সেই ব্যক্তি বলবে, হে আল্লাহ কী লাভ হবে এই পরিমাপ করে, এই বিশাল আমার অপরাধের যে পাহাড়, সেটার বিপরীতে এই একটি কাগজের টুকরো কি আর হবে আল্লাহ? নিরাশ হয়ে যাবে লোকটি।


তখন আল্লাহ বলবেনঃ যাই হোকনা কেন, তোমার প্রতি অন্যায় অবিচার অন্তত করা হবে না। 
এতএব, তুমি প্রত্যক কর, দেখ তোমার বিচারের কি হয়। এবং তখন এক পাশের পাল্লাই সব অপরাধের আমলনামা রাখা হবে এবং অন্য পাল্লাই ওই এক টুকরো কাগজ, যাতে লিখা আছে কালেমা সেটা রাখা হবে, কালেমার পাল্লা বেশি ভারী হবে।”সুবাহানাল্লাহ”


আপনি এখন ভেবে দেখুন যে কোনটার মূল্য বেশি?
”সিজদারত অবস্থায় মৃত্যু বরণ করতে চাওয়া”
না কি?
”শেষ ভালোটা” অর্থাৎ “লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ্ ﷺ”


আমাদের দোয়া করা উচিত, চিন্তা ভাবনা করে বেশি সময় নিয়ে, জাতে করে আমরা
আল্লাহ সুবহানাতায়ালার কাছে থেকে সবচেয়ে দামি জিনিসটা চাইতে পারি, সেই তাওফিক দান করুক সবাইকে।


এ সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পাওয়ার জন্য, ভালো ভাবে জানতে হবেঃ মৃত্যু আজাব, কবর, নেককার বান্দার মৃত্যু, বদকার বান্দার মৃত্যু, যা বলা হয়েছে আল কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে।এগুলো জানলে সব পরিষ্কার হয়ে যাবে।