Sunday, January 28, 2018

মৃত্যুর সংবাদ

#_মৃত্যুর পূর্বে ৪ জন ফেরেশতা যেভাবে জানিয়ে দিবে #_মৃত্যুর_সংবাদ

হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে, যখন মানুষের অন্তিমকাল উপস্থিত হয় এবং রূহ বের হবার সময় ঘনিয়ে আসে, তখন চারজন ফেরেশতা তার কাছে উপস্থিত হয়। সর্বপ্রথম এক ফেরেশতা উপস্থিত হয়ে বলবেন “আসসালামু আলাইকুম” হে অমুক! আমি তোমার খাদ্য সংস্থানের কাজে নিযুক্ত ছিলাম। কিন্তু এখন পৃথিবীর পূর্ব থেক পশ্চিম প্রান্ত পর্যন্ত অন্বেষণ করেও তোমার জন্য এক দানা খাদ্য সংগ্রহ করতে পারলাম না। সুতরাং বুঝলাম তোমার মৃত্যু ঘনিয়ে এসেছে হয়ত এখনই তোমাকে মরণ সুধা পান করতে হবে। পৃথিবীতে তুমি আর বেশীক্ষণ থাকবে না।

অত:পর দ্বিতীয় ফেরেশতা এসে সালাম করে বলবেন হে আল্লাহর বান্দা! আমি তোমার পানীয় সরবরাহের জন্য নিযুক্ত ছিলাম, কিন্তু এখন তোমার জন্য পৃথিবীর সবৃত্র অন্বেষণ করেও এক ফোঁটা পানি সংগ্রহ করতে পারলাম না। সুতরাং আমি বিদায় হলাম।

অত:পর তৃতীয় ফেরেশতা এসে সালাম করে বলবেন হে আল্লাহর বান্দা! আমি তোমার পদযুগলের তত্ত্বাবধানে নিযুক্ত ছিলাম, কিন্তু পৃথিবীর সর্বত্র ঘুরেও তোমার জন্য একটি মাত্র পদক্ষেপের স্থান পেলাম না। সুতরাং আমি বিদায় নিচ্ছি।

চতুর্থ ফেরেশতা এসে সালাম করে বলবেন হে আল্লাহ বান্দা! আমি তোমার শ্বাস-প্রস্বাস চালু রাখার কাজে নিযুক্ত ছিলাম। কিন্তু আজ পৃথিবীর এমন কোন জায়গা খুঁজে পেলাম না  যেখানে গিয়ে তুমি মাত্র এক পলকের জন্য শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ করতে পার। সুতরাং আমি বিদায় নিচ্ছি।

অত:পর কেরামান কাতেবীন ফেরশতাদ্বয় এসে সালাম করে বলবেন, হে আল্লাহর বান্দা! আমরা তোমার পাপ-পূণ্য লেখার কাজে নিযুক্ত ছিলাম। কিন্তু এখন দুনিয়ার সব জায়গা সন্ধান করেও আর কোন পাপ-পূণ্য খুঁজে পেলাম না। সুতরাং আমরা বিদায় নিচ্ছি। এই বলে তারা এক টুকরা কালো লিপি বের করে দিয়ে বলবেন হে আল্লাহর বান্দা! এর দিকে লক্ষ্য কর। সে দিকে লক্ষ্য করামাত্র তার সর্বাঙ্গে ঘর্মস্রোত প্রবাহিত হবে এবং কেউ যেন ঐ লিপি পড়তে না পারে এজন্য সে ডানে বামে বার বার দেখতে থাকবে। অত:পর কেরাম কাতেবীন প্রস্থান করবেন। তখনই মালাকুল মউত তার ডান পাশে রহমতের ফেরেশতা এবং বাম পাশে আযাবের ফেরেশতা নিয়ে আগমন করবেন। তাদের মধ্যে কেউ আত্মাকে খুব জোরে টানাটানি করবেন, আবার কেউ অতি শান্তির সাথে আত্মা বের করে আনবেন। কন্ঠ পর্যন্ত আত্মা পৌঁছলে স্বয়ং যমদূত তা কবজ করবেন।

Friday, January 26, 2018

কিছু Big Big Achievement

কিছু Achievement এর কথা বলি, যে গুলো না করলে জীবন নাকি ব্যর্থতা পতিত হয়... এই গুলোই জীবনের নাকি সব থেকে বড় অর্জন কিছু এই প্রজন্মের ছেলে-মেয়েদের কাছে...

১) সিগারেট। সিগারেট যে খাই না সে বলে মানুষই না? সিগারেট খাস নাই? জীবনে কি করলি?
আমার প্রশ্ন, সে কী তাদের মতে?

২) মেয়েদের সাথে রুম ডেট / অশ্লীল কাজে লিপ্ত। কে কয়টা মেয়েকে নিয়ে এ বছরে রুম ডেট করলো সেইটা গণনা করে রাখে এবং কিছু অশ্লীল অবস্থা ছবিও তুলে রাখে। সেই গুলো আবার মানুষ  কে দেখাই যে, দেখ আমি এই এই করছি। তাদের ভাষাই এটাকে বলে #_Life_is_Enjoy.

আপনি এই সব করতে পারেন না। আপনাকে সে বলবে যে, কী করলি জীবনে? এমন ভাবে বলবে যে আপনি এইটা না করে মহা ভুল করছেন।
আপনি তার কাছে হাঁসির পাত্র হবেন।
এই টা তার কাছে সব থেকে বড় Achievement.

৩) মেয়েদের সাথে সেলফি। এইখানে সেইখানে মেয়েদের সাথে সেলফি তোলা এবং কতো যে ডং ছবির মধ্যে। দেখলে মনে হয় ঘরের বউ। সেলফি তোলার সময় কি অবস্থাই আছে সেদিকে খেয়াল নাই।
আপনি মেয়েদের সাথে সেলফি তোলেন না। তাই আপনি তাদের কাছে ক্ষেত পোলা-পান। আপনার কোন যোগ্যতা নাই।

৪) পুরুষ এর বেশধারী নারী। পেন্ট টি-র্শাট পড়লে মেয়েদের অনেক সুন্দর লাগে, নিজেকে প্রকাশ করে শিয়াল 🦊 শকুনের কাছে। নিজের নগ্নতা অন্যের কাছে প্রকাশ করা এটাও বড় Achievement.  পেন্ট টি-র্শাট না পড়লে তো আপনি র্স্মাটই না। এখন আধুনিক যুগ।
আপনি এ গুলো পড়েন না। তাহলে আপনি তাদের কাছে ক্ষেত গাঁইয়া মেয়ে।

বিঃদ্রঃ নিজের মর্যাদা নিজেই রাখুন, নিজের পরিবারে মর্যাদা বজায় রাখুন এবং নিজের নাফ্সকে নিয়ন্ত্র করুন। আপনার বাবা মা আপনাকে নিয়ে গর্ব করে, কিন্তু আপনি কি তার মর্যাদা রক্ষা করতে পারছেন ? দুনিয়া ক্ষণস্থায়ী।

আপনিও বুঝবেন, কবে তা জানেন??
১) যৌন ফুরালে। আর না হয়...
২) যখন মালাকুল মউত মৃত্যুর ফেরেশতা কাছে আসবে।
তখন আপনার কিছুই করার থাকবে না।
এখনো সময় আছে, আত্মসমর্পণ করুন আল্লাহ কাছে।

Monday, January 15, 2018

মানুষের অন্তর মরে যাওয়ার দশটি কারণ

★ মানুষের অন্তর মরে যাওয়ার দশটি কারণ ★

✿ হযরত ইবরাহীম বিন আদহাম (রহ.) [মৃত্যু ১৬২ হিজরী] বসরার বাজার দিয়ে যাওয়ার পথে লোকজন তাকে ঘিরে ধরল।তারা তাঁকে জিজ্ঞেস করল, হে আবু ইসহাক, আমাদের কী হয়েছে যে, আমরা দুয়া করি কিন্তু দোয়া কবুল হয় না? তিনি বললেন, কারণ, তোমাদের অন্তরগুলো মরে গেছে দশটি কারণে। সেগুলো হল:

❖ প্রথম: তোমরা আল্লাহর পরিচয় পেয়েছ
কিন্তু তাঁর হক আদায় করো নি।

❖ দ্বিতীয়: তোমরা বলে থাক যে, তোমরা
আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ভালবাসো কিন্তু তার সুন্নত ও আদর্শকে পরিত্যাগ করেছ।

❖ তৃতীয়: তোমরা কোরআন পাঠ করেছ কিন্তু তদনুযায়ী আমল করো নি।

❖ চতুর্থ: তোমরা আল্লাহর নিয়ামত খেয়েছ কিন্তু তার শুকরিয়া আদায় করো নি।

❖ পঞ্চম: তোমরা বলেছ যে, শয়তান তোমাদের দুশমন কিন্তু তাকে সমর্থন করেছো এবং তার অনুসরণ করছ।

❖ ষষ্ঠ: তোমরা স্বীকৃতি দিয়েছো যে,
জান্নাত সত্য কিন্তু তার জন্য আমল করো নি।

❖ সপ্তম: তোমরা স্বীকৃতি দিয়েছ যে,
জাহান্নাম সত্য কিন্তু তা থেকে পলায়ন করো নি।

❖ অষ্টম: তোমরা স্বীকার করেছ যে, মৃত্যু
অবধারিত সত্য। কিন্তু তার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করো নি।

❖ নবম: ঘুম থেকে জেগেই তোমরা অন্যের
দোষ-ত্রুটি নিয়ে সমালোচনা শুরু করেছ কিন্তু নিজেদের দোষের কথা ভুলে গেছো।

❖ দশম: তোমরা তোমাদের মৃতদের দাফন
করেছো কিন্তু তাদের থেকে শিক্ষা নাও নি।

(সুত্র: হিলয়াতুল আওলিয়া ১৫/৮-১৬, তাফসীর কুরতুবী ২/২০৮)

হে আমাদের প্রতিপালক, করুণার আধার, তুমি আমাদেরকে তোমার মহান দরবারে প্রত্যাখ্যান করো না। আমাদের দুয়া কবুল করো এবং আমাদের ভুল-ত্রুটি মার্জনা করো। #আমীন

Thursday, January 11, 2018

সূরা বাকারার ফজিলত (সংক্ষিপ্ত অংশ)

সূরা বাকারার ফজিলত (সংক্ষিপ্ত অংশ)

রাসুলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ সূরা বাকারাহ্ কোরআনের কূঁজ এবং চূড়। এর এক একটি আয়াতের সঙ্গে ৮০ জন ফেরেশতা উর্ধগগন থেকে অবতীর্ণ হয়েছিলেন। বিশেষ করে "আয়াতুল কুরসি" তো খাস আরশ হতে অবতীর্ণ হয়েছে এবং এ সূরার সাথে মিলোন হয়েছে।

সূরা ইয়াসিন কোরআনের অন্তর বিশেষ। যে ব্যক্তি আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জন ও পরকাল লাভের জন্যে তা পড়ে তাকে ক্ষমা করে দেন আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা।

প্রত্যেক জিনিসের একটা উচ্চতা থাকে। কোরআন মাজীদের উচ্চতা হচ্ছে "সূরা বাকারাহ্"
প্রত্যেক বস্তুরই সারাংশ আছে এবং কোরআনের সারাংশ হচ্ছে বড় সূরা গুলো।
এই সূরার মধ্যে এমন একটি আয়াত আছে যা, সমস্ত আসমানের নেতা এটি হচ্ছে "আয়াতুল কুরসি"

মুসনাদ-ই-আহমাদ, সহীহ মুসলিম, জামে' তিরমিযী এবং সুনান-ই-নাসাঈর মধ্যে বর্ণিত হাদীসে আছেঃ- তোমার নিজের ঘরকে কবরে পরিণত করো না, যে ঘরে সূরা বাকারাহ্ পাঠ করা হয় সেই ঘরে শয়তান প্রবেশ করতে পারে না। অন্য একটি হাদীসে আছে যে, যে ঘরে সূরা বাকারাহ্ পাঠ করা হয় সেখান থেকে শয়তান পালায়ন করে।
রাসুলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ যে ঘরে এই বরকতময় সূরাটি পাঠ করা হয়, সেখান হতে শয়তান ছুটে পালিয়ে যায়। সবচেয়ে জঘন্য ও লাঞ্ছিত সেই ঘর যে ঘরে আল্লাহর কিতাব পাঠ করা হয় না।

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদের (রাঃ) উক্তি আছে যে, যে ঘরে সূরা বাকারার প্রথম ৪টি আয়াত, আয়াতুল কুরসি, তার পরবর্তী ২টি আয়াত এবং সব শেষের ৩টি আয়াত, একত্রে ১০টি আয়াত পাঠ করা হয়, শয়তান সেই ঘরে ঐ রাতে প্রবেশ করতে পারে না এবং সেই দিন ঐ বাড়ির লোকদের শয়তান অথবা, কোন খারাপ জিনিস কোন ক্ষতি করতে পারে না। এ আয়াত গুলো পাগলের উপর পড়লে তার পাগলামীও দূর হয়ে যায়।

রাসুলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি রাত্রিকালে নীরব ক্ষণে, নিজের নিভৃত কক্ষে তা পাঠ করে, ৩ রাত্রি পর্যন্ত শয়তান সেই ঘরে প্রবেশ করতে পারে না, আর দিনের বেলায় যদি পড়ে তবে ৩ দিন পর্যন্ত শয়তান সেই ঘরে পা দিতে পারে না।

নবী করীম (সঃ) বলেছেনঃ তোমরা অভিনিবেশ সহকারে সূরা বাকারাহ্ শিক্ষা কর। কারণ এর শিক্ষা অতি কল্যাণকর এবং এ শিক্ষা বর্জন অতি বেদনাদায়ক। এমনকি বাতিলপন্থী যাদুকারও এর ক্ষমতা রাখে না।

অতঃপর কিছুক্ষণ চুপ থেকে আবার বললেনঃ
(১) সূরা বাকারাহ্।
(২) সূরা আল-ইমরান।
এই ২টি সূরা শিক্ষা কর। এই সূরা ২টি হচ্ছে জ্যোতির্ময় নূর বিশিষ্ট সূরা।

"আল্লাহ্ সুবহানাহু তায়ালা সবাইকে আমল করার তৌফিক দান করুন" #আমিন

বিঃদ্রঃ ভুল ত্রুটি থাকলে সংশোধন করে দিবেন। মানুষ মাত্রই ভুল।

ইনশাআল্লাহ বাকি অংশ আস্তে আস্তে বলবো।