The Prophet Muhammad ﷺ said that “All's well that ends well”
What is ends well?
Ends well is Kalima
The person who can say The Kalima before the death, He went to Jannah.
প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ ﷺ বলেছেনঃ শেষ ভালো যার সব ভালো তার।
আমাদের ”শেষ ভালো” এর উপর ভরসা করতে হবে।প্রথম ভালো হলে যে শেষ ভালো হবে এটা বোকার পরিচয়।
কথার কথা বলছিঃ “দুনিয়াতে একটা জিনিস দেখা যায় যে, সন্তান প্রথম বছরে ইউনিভার্সিটি তে ভাল রেজাল্ট করল পরে সন্ত্রাস হয়ে বের হল” এখানে লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে যে, প্রথমে যে ভালো আছে, এই ভালোই ভালো নয়। প্রথম ভালো থেকে শেষ ভালো পর্যন্ত টিকে থাকা। শেষ রক্ষাই রক্ষা।
শেষ ভালোটা কী?
শেষ ভালোটা হচ্ছে কালেমা “লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ্ ﷺ”
যে ব্যক্তি এই কালেমা মৃত্যুর আগে বলতে পারলো, সে জান্নাতে চলে গেলো।
যে কথাটা বলার জন্য এতো কিছু বলা সেই কথাই আসা যাকঃ
মূল বক্তব্যেঃ সিজদারত অবস্থায় মৃত্যু।
”সিজদারত অবস্থায় মৃত্যু বরণ করতে চাওয়া”
”সিজদারত অবস্থায় মৃত্যু বরণ করলে কী হবে তা আমি জানি না। আল্লাহ সুবহানাতায়ালাই ভালো জানেন।
হয়তো বা আপনার দোয়া ”সিজদারত অবস্থায় মৃত্যু বরণ” দেখা গেল আপনার ”সিজদারত অবস্থায় মৃত্যু হলো কিন্তু কালেমা বলতে পারলেন না।
প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ ﷺ বলেছেনঃ যে ব্যক্তি মৃত্যুর আগে কালেমা বলতে পারলো, সে জান্নাতে চলে গেলো।আর মৃত্যুটাই হচ্ছে শেষ।তার পরে ব্যক্তি স্বাধীনতা আর থাকবে না।
তাই আমাদের দোয়া করা উচিত, যেন শেষ মুহূর্তে আমরা ”শেষ ভালোটা” অর্থাৎ “লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ্ ﷺ” নিয়ে যেতে পারি।
কালেমার মূল্যঃ
হযরত মুহাম্মদ ﷺ বলেছেনঃ কিয়ামতের দিন এক ব্যক্তিকে সকলের সামনে ডাকা হবে, সকলের সামনে উপস্থিত করে আল্লাহ সুবহানাতায়ালা তার ৯৯টি বদ আমলনামা পেশ করবেন। তার সারা জীবনের যত কুকর্ম আছে, সারা জীবনের যত অপরাধ আছে, এগুলোর হিসাবের যে দপ্তর, সেটার ৯৯টি দপ্তর আল্লাহ সুবহানাতায়ালা তার সামনে উপস্থিত করবেন। যার একএকটি দপ্তর চোখের যতদূর চোখ যায়…….. ততদূর পর্যন্ত বৃহৎ…….. এত বড় হবে একএকটি দপ্তর।এই রকম ৯৯টি দপ্তর হাজির করবেন। ওই ব্যক্তির এত বেশি অপরাধ ছিল।
এর পর আল্লাহ সুবহানাতায়ালা বলবেন, এই যে দপ্তর গুলোতে যা লিখা আছে তুমি এই সব করেছ বলে আমার ফেরেশতা সংরক্ষণ করেছেন, এই ফেরেশতাদের লিখা তাদের সংরক্ষিত এই হিসাব,এর বিষয়ে তোমার কোন সন্দেহ আছে কি? বা এর কোনটি কি তুমি অস্বীকার কর? আল্লাহর আদালতে তার জবানবন্দি নেওয়া হবে।তখন সেই ব্যক্তি বলবে সকলের সামনে, যে না আল্লাহ আপনার ফেরেশতা কোন কিছু বাড়িয়ে লিখে নাই।আমি কোনটিকে অস্বীকার করছি না।এর সবই আমার কৃতকর্ম।
তখন আল্লাহ সুবহানাতায়ালা তাকে বলবেনঃ
তুমি এতো অপরাধ করলে,
এতো অন্যায় করলে তোমার কী কোন ”অজর আছে” বা তোমার কী কোন বক্তব্য, তোমাকে কী কেউ করতে বাধ্য করছে, বা তোমার কী কিছু বলার আছে?
তখন সে বলবে না আল্লাহ। কেউ আমাকে বাধ্য করে নাই আমি নিজেই করেছি। এবং আজকে আমার কোন বক্তব্য পেশ করার মতো নাই আপনার সামনে।
তখন আল্লাহ সুবহানাতায়ালা বলবেনঃ হাঁ তোমার একটি ভাল কাজ আছে আমার কাছে।নিশ্চয়ই আজ তোমার প্রতি অবিচার করা হবে না। যেটুকু ভাল কাজ করেছ তার প্রতিদান পাবে।
তখন এক টুকরো কাগজ বের করা হবে, যেখানে লিখা থাকবে কলেমা।আল্লাহ বলবেন যে, তোমার মধ্যে এই বিশ্বাস ছিল।অর্থাৎ কালেমার বিশ্বাস।
তখন আল্লাহ সুবহানাতায়ালা বলবেন তোমার আমল মাপা হবে, আসো..! হাজির হওয়, সামনে আসো, কাছে আসো।
৯৯টি দপ্তর একপাশে থাকবে এবং কালেমা এক পাশে থাকবে। অর্থাৎ মিজানে আমল মাপা হবে।
তখন সেই ব্যক্তি বলবে, হে আল্লাহ কী লাভ হবে এই পরিমাপ করে, এই বিশাল আমার অপরাধের যে পাহাড়, সেটার বিপরীতে এই একটি কাগজের টুকরো কি আর হবে আল্লাহ? নিরাশ হয়ে যাবে লোকটি।
তখন আল্লাহ বলবেনঃ যাই হোকনা কেন, তোমার প্রতি অন্যায় অবিচার অন্তত করা হবে না।
এতএব, তুমি প্রত্যক কর, দেখ তোমার বিচারের কি হয়। এবং তখন এক পাশের পাল্লাই সব অপরাধের আমলনামা রাখা হবে এবং অন্য পাল্লাই ওই এক টুকরো কাগজ, যাতে লিখা আছে কালেমা সেটা রাখা হবে, কালেমার পাল্লা বেশি ভারী হবে।”সুবাহানাল্লাহ”
আপনি এখন ভেবে দেখুন যে কোনটার মূল্য বেশি?
”সিজদারত অবস্থায় মৃত্যু বরণ করতে চাওয়া”
না কি?
”শেষ ভালোটা” অর্থাৎ “লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ্ ﷺ”
আমাদের দোয়া করা উচিত, চিন্তা ভাবনা করে বেশি সময় নিয়ে, জাতে করে আমরা
আল্লাহ সুবহানাতায়ালার কাছে থেকে সবচেয়ে দামি জিনিসটা চাইতে পারি, সেই তাওফিক দান করুক সবাইকে।
এ সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পাওয়ার জন্য, ভালো ভাবে জানতে হবেঃ মৃত্যু আজাব, কবর, নেককার বান্দার মৃত্যু, বদকার বান্দার মৃত্যু, যা বলা হয়েছে আল কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে।এগুলো জানলে সব পরিষ্কার হয়ে যাবে।