Wednesday, January 2, 2019

বিশুদ্ধ আক্বিদা (২য় পর্ব)

❒ বিশুদ্ধ আক্বিদা (২য় পর্ব)
----------------------------------------------
ইসলামী শরী‘আত দুই ভাগে বিভক্ত। যথাঃ
(১) আক্বীদা বা বিশ্বাসগত : অর্থাৎ ঈমানের ছয়টি বিষয়ের উপর সুদৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন করা এবং একমাত্র তারই ইবাদতে বিশ্বাস করা। আর ইহাই ইসলামের মৌলিক বিষয়।
(২) আমলগত : অর্থাৎ আল্লাহর ইবাদত করার
যাবতীয় পদ্ধতি সম্পর্কে অবগত হওয়া এবং তদনুযায়ী আমল করা।
অতএব আক্বীদাই ইসলামের মৌলিক বিষয়; যার শুদ্ধতার উপর আমল নির্ভরশীল। যেমন –

✍ মহান আল্লাহ তা‘আলা বলেনঃ

ﻓَﻤَﻦْ ﻛَﺎﻥَ ﻳَﺮْﺟُﻮْ ﻟِﻘَﺎﺀَ ﺭَﺑِّﻪِ
ﻓَﻠْﻴَﻌْﻤَﻞْ ﻋَﻤَﻠًﺎ ﺻَﺎﻟِﺤًﺎ ﻭَﻟَﺎ ﻳُﺸْﺮِﻙْ ﺑِﻌِﺒَﺎﺩَﺓِ ﺭَﺑِّﻪِ ﺃَﺣَﺪًﺍ -
‘যে তার প্রতিপালকের সাক্ষাত কামনা করে, সে যেন সৎকর্ম করে ও তার প্রতিপালকের ইবাদতে কাউকে শরীক না করে’ (কাহফ ১৮/১১০) ।

✍ তিনি অন্যত্র বলেনঃ

ﻭَﻟَﻘَﺪْ ﺃُﻭْﺣِﻲَ ﺇِﻟَﻴْﻚَ ﻭَﺇِﻟَﻰ ﺍﻟَّﺬِﻳْﻦَ ﻣِﻦْ ﻗَﺒْﻠِﻚَ ﻟَﺌِﻦْ ﺃَﺷْﺮَﻛْﺖَ ﻟَﻴَﺤْﺒَﻄَﻦَّ
ﻋَﻤَﻠُﻚَ ﻭَﻟَﺘَﻜُﻮْﻧَﻦَّ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﺨَﺎﺳِﺮِﻳْﻦَ -
‘তোমার প্রতি ও তোমার পূর্ববর্তীদের প্রতি অবশ্যই অহী হয়েছে যে, তুমি যদি আল্লাহর সাথে কোন শরীক স্থির
কর, তবে তোমার আমল বরবাদ হয়ে যাবে এবং তুমি অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে’ (যুমার ৩৯/৬৫) ।

✍ তিনি আরও বলেনঃ

ﻭَﻟَﻮْ ﺃَﺷْﺮَﻛُﻮْﺍ ﻟَﺤَﺒِﻂَ ﻋَﻨْﻬُﻢْ ﻣَﺎ ﻛَﺎﻧُﻮْﺍ ﻳَﻌْﻤَﻠُﻮْﻥَ
‘যদি তারা শিরক করত তবে তাদের আমল বরবাদ হয়ে যেত’ (আন‘আম ৬/৮৮) ।
উল্লিখিত আয়াত সমূহ থেকে স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয় যে, শিরক মুক্ত বিশুদ্ধ আক্বীদা ব্যতীত আল্লাহর নিকটে কোন আমল কবুল হবে না। অতএব আমল করার পূর্বে আক্বীদা সংশোধন করা অপরিহার্য।

❒ মুসলমানদের মধ্যে বিভক্তির মূলেই রয়েছে আক্বীদাগত পার্থক্যঃ
আল্লাহ তা‘আলা মানব জাতির সার্বিক জীবন পরিচালনার যাবতীয় বিধি-বিধান নাযিল করে একমাত্র
তারই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছেন। আর তা অনুসরণের ক্ষেত্রে পরস্পরে দলাদলী বা বিচ্ছিন্ন হ’তে নিষেধ করেছেন। আর এই নির্দেশ আক্বীদাগত ঐক্যের নির্দেশ। এই নির্দেশ পালনের মাধ্যমে মানুষ মুসলিম হয় এবং পরকালে জাহান্নামের কঠিন আযাব থেকে প্ররিত্রাণ লাভ করে ও জান্নাতের অফুরন্ত নে‘আমত লাভের পথ সুগম করে। পক্ষান্তরে উক্ত নিষেধ অমান্য করে ভ্রান্ত আক্বীদায় বিশ্বাসী হওয়ার মাধ্যমে মানুষ ইহুদী, খৃষ্টান, হিন্দু, বৌদ্ধ, রাফেযী, খারেজী, শী‘আ, মু‘তাযিলা বিভিন্ন ভ্রান্ত দলের অন্তর্ভুক্ত হয়ে জান্নাতের অফুরন্ত নে‘মত থেকে বঞ্চিত হয় এবং জাহান্নামের কঠিন আযাব গ্রহণের পথ সুগম করে। আমরা যারা নিজেদেরকে মুসলিম দাবী করি, একই কা‘বার দিকে মুখ ফিরিয়ে ছালাত আদায় করি, তারাও আজ শতধাবিভক্ত। নিজেদেরকে মুসলিম দাবী করেও ‘ওয়াহদাতুল উজূদ’-এর মত ভ্রান্ত আক্বীদায় বিশ্বাসী হওয়ার মাধ্যমে নিজেরাই আল্লাহ বনে যাই; নাউযুবিল্লাহ।

কেউবা মুহাম্মাদ (সঃ)- কে আল্লাহ বলি, আবার কেউ আলী (রাঃ)- কে আল্লাহ বলি। এ সমস্ত ভ্রান্ত আক্বীদা তাদের মৌখিক স্বীকৃতির অসারতা প্রমাণ করে। তদানীন্তনকালের কাফির মুশরিকরা তাওহীদে রুবূবিয়্যাত তথা আল্লাহকে একক সৃষ্টিকর্তা হিসাবে বিশ্বাস করলেও ইবাদতের ক্ষেত্রে আল্লাহকে একক
বলে বিশ্বাস করেনি। তারা মূর্তিপূজার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য হাছিলের চেষ্টা করত। অনুরূপভাবে অধিকাংশ মুসলিম তাওহীদে রবূবিয়্যাতকে বিশ্বাস করলেও
তাওহীদে ইবাদত ও আসমা ওয়াছ ছিফাতকে পূর্ণভাবে বিশ্বাস করতে পারেনি। কবর পূজা ও পীরপূজার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য হাছিল করতে চায়। আর এই আক্বীদাগত বিভক্তির কারণেই মুসলমানরা (উম্মতে মুহাম্মাদী) ৭৩ দলে বিভক্ত হবে, যার মধ্যে একটি মাত্র
দল জান্নাতে প্রবেশ করবে।

✍ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেনঃ

ﻟَﻴَﺄْﺗِﻴَﻦَّ ﻋَﻠَﻰ ﺃُﻣَّﺘِﻲْ ﻣَﺎ ﺃَﺗَﻰ ﻋَﻠَﻰ ﺑَﻨِﻲْ ﺇِﺳْﺮَﺍﺋِﻴْﻞَ ﺣَﺬْﻭَ ﺍﻟﻨَّﻌْﻞِ ﺑِﺎﻟﻨَّﻌْﻞِ
ﺣَﺘَّﻰ ﺇِﻥْ ﻛَﺎﻥَ ﻣِﻨْﻬُﻢْ ﻣَﻦْ ﺃَﺗَﻰ ﺃُﻣَّﻪُ ﻋَﻼَﻧِﻴَﺔً ﻟَﻜَﺎﻥَ ﻓِﻲْ ﺃُﻣَّﺘِﻲْ ﻣَﻦْ
ﻳَﺼْﻨَﻊُ ﺫَﻟِﻚَ ﻭَﺇِﻥَّ ﺑَﻨِﻲْ ﺇِﺳْﺮَﺍﺋِﻴْﻞَ ﺗَﻔَﺮَّﻗَﺖْ ﻋَﻠَﻰ ﺛِﻨْﺘَﻴْﻦِ ﻭَﺳَﺒْﻌِﻴْﻦَ ﻣِﻠَّﺔً
ﻭَﺗَﻔْﺘَﺮِﻕُ ﺃُﻣَّﺘِﻲْ ﻋَﻠَﻰ ﺛَﻼَﺙٍ ﻭَﺳَﺒْﻌِﻴْﻦَ ﻣِﻠَّﺔً ﻛُﻠُّﻬُﻢْ ﻓِﻲْ ﺍﻟﻨَّﺎﺭِ ﺇِﻻَّ ﻣِﻠَّﺔً
ﻭَﺍﺣِﺪَﺓً ﻗَﺎﻟُﻮْﺍ ﻭَﻣَﻦْ ﻫِﻰَ ﻳَﺎ ﺭَﺳُﻮْﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ ﻗَﺎﻝَ ﻣَﺎ ﺃَﻧَﺎ ﻋَﻠَﻴْﻪِ
ﻭَﺃَﺻْﺤَﺎﺑِﻲْ -
‘বানী ইসরাঈলের উপর যেমন অবস্থার আগমন
ঘটেছিল আমার উম্মতের উপরেও তেমন অবস্থার আগমন ঘটবে; এক জোড়া জুতা পরস্পর সমান হওয়ার ন্যায়। এমনকি যদি বানী ইসরাঈলদের মধ্যে এমন লোক থাকে, যে তার মায়ের সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হয়েছিল, তাহ’লে আমার উম্মতের মধ্যেও এমন লোক পাওয়া যাবে যে তার মায়ের সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হবে। বানী ইসরাঈলরা বিভক্ত হয়েছিল ৭২টি দলে; আর আমার উম্মত বিভক্ত হবে ৭৩টি দলে। সব দলই জাহান্নামে প্রবেশ করবে, একটি দল ব্যতীত। ছাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)!
সে দল কোনটি? তিনি বললেন, আমি এবং আমার অনুসারীগণ যার উপরে প্রতিষ্ঠিত রয়েছি, এর উপর যারা প্রতিষ্ঠিত থাকবে (তারাই মুক্তিপ্রাপ্ত দল)।

অতএব বিশুদ্ধ আক্বীদাই ইহকালে মুসলমানদের
পরস্পরের মধ্যে ঐক্যের একমাত্র পথ এবং পরকালে মুক্তির একমাত্র উপায়। একে অপরের আক্বীদা সংশোধনের মাধ্যমেই মুসলিম ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। নবী-রাসূলগণের সকলেই সর্বপ্রথম মানুষের
আক্বীদা সংশোধনের দাওয়াত দিয়েছেন। আক্বীদা সংশোধনের পরেই কেবল তাকে ছালাত, ছিয়াম সহ ইসলামের অন্যান্য বিধান মানার নির্দেশ দিয়েছেন।

✍ রাসূলুল্লাহ (সঃ) মু‘আয (রাঃ)- কে ইয়ামানে প্রেরণকালে বলেছিলেনঃ

ﺍﺩْﻋُﻬُﻢْ ﺇِﻟَﻰ ﺷَﻬَﺎﺩَﺓِ ﺃَﻥْ ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺍﻟﻠﻪُ، ﻭَﺃَﻧِّﻲْ ﺭَﺳُﻮْﻝُ ﺍﻟﻠﻪِ، ﻓَﺈِﻥْ ﻫُﻢْ
ﺃَﻃَﺎﻋُﻮْﺍ ﻟِﺬَﻟِﻚَ ﻓَﺄَﻋْﻠِﻤْﻬُﻢْ ﺃَﻥَّ ﺍﻟﻠﻪَ ﻗَﺪِ ﺍﻓْﺘَﺮَﺽَ ﻋَﻠَﻴْﻬِﻢْ ﺧَﻤْﺲَ ﺻَﻠَﻮَﺍﺕٍ
ﻓِﻲْ ﻛُﻞِّ ﻳَﻮْﻡٍ ﻭَﻟَﻴْﻠَﺔٍ، ﻓَﺈِﻥْ ﻫُﻢْ ﺃَﻃَﺎﻋُﻮْﺍ ﻟِﺬَﻟِﻚَ ﻓَﺄَﻋْﻠِﻤْﻬُﻢْ ﺃَﻥَّ ﺍﻟﻠﻪَ
ﺍﻓْﺘَﺮَﺽَ ﻋَﻠَﻴْﻬِﻢْ ﺻَﺪَﻗَﺔً ﻓِﻲْ ﺃَﻣْﻮَﺍﻟِﻬِﻢْ، ﺗُﺆْﺧَﺬُ ﻣِﻦْ ﺃَﻏْﻨِﻴَﺎﺋِﻬِﻢْ ﻭَﺗُﺮَﺩُّ
ﻋَﻠَﻰ ﻓُﻘَﺮَﺍﺋِﻬِﻢْ -
‘সেখানকার অধিবাসীদেরকে এ সাক্ষ্য দানের প্রতি আহবান জানাবে যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন সত্য ইলাহ নেই এবং আমি আল্লাহর রাসূল। যদি তারা তা মেনে নেয় তবে তাদেরকে অবগত কর যে, আল্লাহ তা‘আলা তাদের উপর দিনে ও রাতে পাঁচ ওয়াক্ত ছালাত ফরয করেছেন। যদি সেটাও তারা মেনে নেয় তবে তাদেরকে অবগত কর যে, আল্লাহ তা‘আলা তাদের উপর তাদের সম্পদে ছাদাক্বাহ (যাকাত) ফরয করেছেন। যেটা তাদের ধনীদের নিকট থেকে গৃহীত হবে আর দরিদ্রের মাঝে বণ্টন করা হবে’।

আলোচ্য হাদীছ থেকে বুঝা যায় যে, সর্বপ্রথম মানুষের আক্বীদা সংশোধনের দাওয়াত দিতে হবে। কেননা আক্বীদাই হ’ল ইসলামের মৌলিক বিষয়। আক্বীদা সংশোধনের মাধ্যমে পরিপূর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশের
পরেই ছালাত, ছিয়াম, হজ্জ, যাকাত সহ ইসলামের যাবতীয় বিধান মেনে চলতে হবে। অন্যথা তার ইবাদত আল্লাহর নিকট কবুল হবে না।

✍ মহান আল্লাহ বলেনঃ

ﻭَﻗَﺪِﻣْﻨَﺎ ﺇِﻟَﻰ ﻣَﺎ ﻋَﻤِﻠُﻮْﺍ ﻣِﻦْ ﻋَﻤَﻞٍ ﻓَﺠَﻌَﻠْﻨَﺎﻩُ ﻫَﺒَﺎﺀً ﻣَﻨْﺜُﻮْﺭًﺍ -
‘আমি তাদের (কাফিরদের) কৃতকর্মের প্রতি লক্ষ্য করব, অতঃপর সেগুলিকে বিক্ষিপ্ত ধুলিকণায় পরিণত করব’
(ফুরক্বান ২৫/২৩) ।

✍ অন্যত্র তিনি বলেনঃ

ﻭَﻣَﺎ ﻣَﻨَﻌَﻬُﻢْ
ﺃَﻥْ ﺗُﻘْﺒَﻞَ ﻣِﻨْﻬُﻢْ ﻧَﻔَﻘَﺎﺗُﻬُﻢْ ﺇِﻟَّﺎ ﺃَﻧَّﻬُﻢْ ﻛَﻔَﺮُﻭْﺍ ﺑِﺎﻟﻠﻪِ ﻭَﺑِﺮَﺳُﻮْﻟِﻪِ ﻭَﻟَﺎ ﻳَﺄْﺗُﻮْﻥَ
ﺍﻟﺼَّﻠَﺎﺓَ ﺇِﻟَّﺎ ﻭَﻫُﻢْ ﻛُﺴَﺎﻟَﻰ ﻭَﻟَﺎ ﻳُﻨْﻔِﻘُﻮْﻥَ ﺇِﻟَّﺎ ﻭَﻫُﻢْ ﻛَﺎﺭِﻫُﻮْﻥَ -

তাদের (কাফিরদের) দান গ্রহণ করা নিষেধ করা হয়েছে এজন্য যে, তারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে অস্বীকার করে, ছালাতে শৈথিল্যের সাথে উপস্থিত হয় এবং অনিচ্ছাকৃতভাবে দান করে’ (তওবা ৯/৫৪) ।

উপসংহার : পরিশেষে বলবো, কোন দালান যেমন
ভিত্তি স্থাপন করা ব্যতীত দাঁড় করানো সম্ভব নয়। তেমনি ভিত্তি ব্যতীত ইসলামের উপর টিকে থাকাও সম্ভব নয়, আর ইসলামের মৌলিক ভিত্তিই হ’ল আক্বীদা। মানুষ তার জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সেই মৌলিক ভিত্তির উপরেই টিকে থাকবে। তার জীবনের সবকিছুকে একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য উৎসর্গ করবে।

✍ মহান আল্লাহ তাআলা বলেছেনঃ

, ﻗُﻞْ ﺇِﻥَّ ﺻَﻠَﺎﺗِﻲْ ﻭَﻧُﺴُﻜِﻲْ ﻭَﻣَﺤْﻴَﺎﻱَ ﻭَﻣَﻤَﺎﺗِﻲْ ﻟِﻠَّﻪِ ﺭَﺏِّ
ﺍﻟْﻌَﺎﻟَﻤِﻴْﻦَ - ﻟَﺎ ﺷَﺮِﻳْﻚَ ﻟَﻪُ ﻭَﺑِﺬَﻟِﻚَ ﺃُﻣِﺮْﺕُ ﻭَﺃَﻧَﺎ ﺃَﻭَّﻝُ ﺍﻟْﻤُﺴْﻠِﻤِﻴْﻦَ - ‘
বল আমার ছালাত, আমার ইবাদত, আমার জীবন ও
আমার মরণ জগৎ সমূহের প্রতিপালক আল্লাহরই উদ্দেশ্যে। তাঁর কোন শরীক নাই এবং আমি এর জন্যই আদিষ্ট হয়েছি এবং আমিই প্রথম মুসলিম’ (আন‘আম
৬/১৬২-১৬৩) ।

অতএব দুনিয়াবী জীবনের সকল কর্মকান্ডে একমাত্র লক্ষ্য থাকবে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যমে জান্নাত লাভ করা। আর মানুষের কর্মকান্ডে আল্লাহ সন্তুষ্ট
হবেন না যতক্ষণ পর্যন্ত তার আক্বীদা ছহীহ না হবে। সুতরাং সঠিক আক্বীদাই পরকালীন জীবনে জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তির একমাত্র উপায়।
আল্লাহ আমাদের ছহীহ আক্বীদা বুঝার এবং সে মতে চলার তাওফীক্ব দিন-আমীন!
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬

No comments:

Post a Comment