Wednesday, January 2, 2019

বিশুদ্ধ আক্বিদা (১ম পর্ব)


----------------------------------------------

সুচনাঃ

আল্লাহ তা‘আলা মানব জাতিকে আশরাফুল মাখলূকাত তথা সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব হিসাবে দুনিয়ায় প্রেরণ করেছেন। মানুষ তার শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ পেশ করে আক্বীদা বা বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করেই।

ইহা এমন এক ভিত্তি, যাকে অবলম্বন করেই মানুষ তার সার্বিক জীবন পরিচালনার গতিপথ নির্ধারণ করে। আক্বীদা বা বিশ্বাস যার বিশুদ্ধ নয় তার সম্পূর্ণ জীবনটাই বৃথা। কারণ মানব জীবনের মূল চাবিকাঠি হল তার আক্বীদা বা বিশ্বাস; যার আলোকে মানুষ তার সকল কর্ম সম্পাদন করে থাকে।

ইহা এমন এক অতুলনীয় শক্তি, যার উপর ভর করে নিজের জীবনটুকু বিলিয়ে দিতেও সে কুণ্ঠাবোধ করে না। ভিত্তি স্থাপন ব্যতীত কোন বিল্ডিং বানানো যেমন অসম্ভব, তেমনি বিশুদ্ধ আক্বীদা ব্যতীত নিজেকে মুসলিম দাবী করাও অসম্ভব।

প্রতিটি কথা ও কর্ম যদি বিশুদ্ধ আক্বীদা বা বিশ্বাস থেকে নির্গত না হয় তবে তা আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হয় না।

মানবজাতির যাবতীয় পথভ্রষ্টতার মূলে রয়েছে তার মৌলিক আক্বীদা থেকে বিচ্যুত হওয়া। তাই সঠিক

আক্বীদাই পরকালীন মুক্তির একমাত্র উপায়। অতএব বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্বের সাথে জানা অপরিহার্য।



❒ আক্বীদার পরিচয়ঃ

শাব্দিক অর্থ : ﻋﻘﻴﺪﺓ(আক্বীদা) শব্দটি আরবী ﻋﻘﺪﺓ (উক্বদাতুন) শব্দ থেকে উদ্গৃত। যার শাব্দিক অর্থ হচ্ছে- গিরা বা বাঁধন। যেমন কুরআনে বর্ণিত হয়েছে ﻋُﻘْﺪَﺓُ ﺍﻟﻨِّﻜَﺎﺡِ অর্থাৎ "বিবাহের বাঁধন’ (বাক্বারাহ ২/২৩৭) ।

পারিভাষিক অর্থ : সাধারণভাবে সেই সুদৃঢ় বিশ্বাসকেই আক্বীদাহ বলা হয়; যার উপর ভিত্তি করে মানুষ তার জীবন পরিচালনা করে। আর ইসলামী আক্বীদা বলতে বুঝায়- আল্লাহর রুবূবিয়্যাত, উলুহিয়্যাত ও আসমা ওয়াছ ছিফাতের উপর দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন করা। তাঁর

ফেরেশতামন্ডলী, নবী-রাসূলগণ, তাঁদের উপর

নাযিলকৃত কিতাব সমূহ, আখেরাত বা পরকাল

এবং তাক্বদীরের ভাল-মন্দের উপর সন্দেহ মুক্ত দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন করা।


❒ সঠিক আক্বীদা পোষণের গুরুত্বঃ

(ক) আক্বীদা ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের প্রধান স্তম্ভঃ


আক্বীদা তথা আল্লাহর একত্বে পূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন করা ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের প্রথম স্তম্ভ।


✍ ইবনু ওমর (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন,



ﺑُﻨِﻰَ ﺍﻹِﺳْﻼَﻡُ ﻋَﻠَﻰ ﺧَﻤْﺲٍ ﺷَﻬَﺎﺩَﺓِ ﺃَﻥْ ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺍﻟﻠﻪُ ﻭَﺃَﻥَّ ﻣُﺤَﻤَّﺪًﺍ

ﺭَﺳُﻮْﻝُ ﺍﻟﻠﻪِ ﻭَﺇِﻗَﺎﻡِ ﺍﻟﺼَّﻼَﺓِ ﻭَﺇِﻳْﺘَﺎﺀِ ﺍﻟﺰَّﻛَﺎﺓِ ﻭَﺍﻟْﺤَﺞِّ ﻭَﺻَﻮْﻡِ ﺭَﻣَﻀَﺎﻥَ

‘ইসলাম পাঁচটি স্তম্ভের উপর প্রতিষ্ঠিত। ১. আল্লাহ ব্যতীত কোন সত্য ইলাহ নেই এবং মুহাম্মাদ (সঃ) আল্লাহর রাসূল-এ কথার সাক্ষ্য প্রদান করা। ২. ছালাত ক্বায়েম করা। ৩. যাকাত আদায় করা। ৪. হজ্জ সম্পাদন করা এবং ৫. রামাযানের ছিয়াম পালন করা’।

অতএব ইসলামের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকার প্রধান মাধ্যম হ’ল, ছহীহ বা বিশুদ্ধ আক্বীদা, যা পরকালীন মুক্তির সবচেয়ে বড় ও শক্তিশালী হাতিয়ার।

(খ) বিশুদ্ধ আক্বীদাই কুরআন মানার মাধ্যমঃ

আল্লাহ তা‘আলা মানব জাতির জন্য ইসলামকে একমাত্র দ্বীন হিসাবে মনোনীত করে ইসলামের যাবতীয় বিধি-বিধান অহী মারফত নাযিল করেছেন। মানুষ তার
সার্বিক জীবন কিভাবে পরিচালনা করবে, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সম্পর্কে কেমন আক্বীদা পোষণ করবে? এর সবকিছুই কুরআনে যথাযথভাবে বর্ণিত হয়েছে।
কুরআনের এমন কোন সূরা নেই যেখানে তাওহীদ
সম্পর্কে আলোচনা করা হয়নি। তাই বলা যায়
যে, সম্পূর্ণ কুরআনই তাওহীদ। কেননা কুরআনের
সর্বত্রই আল্লাহর নামসমূহ ও গুণাবলী সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে এবং আল্লাহর সাথে কোন ব্যক্তি বা বস্ত্তকে শরীক করা থেকে বিরত থেকে এক আল্লাহর ইবাদত করার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। অথবা তাতে আল্লাহর একনিষ্ঠ তাওহীদপন্থী বান্দাদের ইহকালীন ও পরকালীন জীবনে উত্তম প্রতিদান দানের কথা বলা হয়েছে এবং তাঁর নাফরমান কাফির মুশরিকদের শাস্তির সংবাদ দেওয়া হয়েছে। অথবা তাতে পূর্ববর্তী নবীগণের একনিষ্ঠ অনুসারীদের উপর আল্লাহর সাহায্যের কথা বলা হয়েছে এবং নবীগণকে অস্বীকারকারীদের উপর আল্লাহর নাযিলকৃত গযবের কথা বলা হয়েছে। যেমন- পবিত্র কুরআনে নূহ (আঃ), হুদ (আঃ), ছালেহ (আঃ), ইবরাহীম (আঃ)-এর কওমের উপর আনীত সাহায্য ও শাস্তির কথা বিবৃত হয়েছে। অথবা তাতে হালাল ও হারামের কথা বলা হয়েছে, যা তাওহীদের হক সমূহের অন্তর্ভুক্ত। কেননা আল্লাহর তাওহীদপন্থী বান্দারা কুরআনে বর্ণিত হালালকে হালাল এবং হরামকে হারাম বলে বিশ্বাস করবে। হালাল উপার্জন করবে এবং হারাম উপর্জন থেকে যেকোন মূল্যে বিরত থাকবে। অতএব বিশুদ্ধ আক্বীদা পোষণের মাধ্যমেই পূর্ণরূপে কুরআন
মানা সম্ভব।

(গ) বিশুদ্ধ আক্বীদা ইসলামে প্রবেশের একমাত্র মাধ্যমঃ
আল্লাহ তা‘আলা মানব জাতির জন্য ইসলামকে একমাত্র দ্বীন হিসাবে মনোনীত করেছেন। এতদ্ভিন্ন কোন দ্বীন আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য নয়।

✍ আল্লাহ তা‘আলা বলেনঃ

ﻭَﻣَﻦْ ﻳَﺒْﺘَﻎِ ﻏَﻴْﺮَ ﺍﻟْﺈِﺳْﻼَﻡِ ﺩِﻳْﻨًﺎ ﻓَﻠَﻦْ ﻳُﻘْﺒَﻞَ
ﻣِﻨْﻪُ ﻭَﻫُﻮَ ﻓِﻲْ ﺍﻟْﺂﺧِﺮَﺓِ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﺨَﺎﺳِﺮِﻳْﻦَ - ‘
যে ব্যক্তি ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন দ্বীন অন্বেষণ করবে তার থেকে তা কখনোই গ্রহণ করা হবে না এবং সে পরকালে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে’ (আলে-ইমরান ৩/৮৫) ।

আর ইসলামে প্রবেশের একমাত্র মাধ্যম হ’ল
আক্বীদা ছহীহ হওয়া। কারণ ইসলামের মৌলিক বিষয় হ’ল আক্বীদাহ। আক্বীদা বা বিশ্বাসই মানুষকে পথভ্রষ্ট করে এমনকি ইসলাম থেকে বের করে দেয়।
যেমন –

আক্বীদাগত কারণে একজন মানুষ তার সৃষ্টিকর্তাকে ভুলে গিয়ে নিজ হাতে বানানো মূর্তির পূজা করে, তাকেই পরকালে নাজাতের অসীলা মনে করে, তার বিরুদ্ধে অবস্থানকারী নিজ সন্তান হ’লেও তাকে হত্যা করার মত ঘৃণিত ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। ইবরাহীম (আঃ) মূর্তি পূজার বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে তাঁর পিতা কর্তৃক হত্যার ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে জ্বলন্ত আগুনে নিক্ষিপ্ত হয়েছিলেন। আল্লাহর বিশেষ রহমতে আগুনের প্রচন্ড তাপ তাঁর জন্য শীতল ও আরামদায়ক হয়েছিল। অথচ ঐ সকল মূর্তি পরকালে তাদের কোনই উপকার
করতে পারবে না; বরং তাদের ইবাদতকে অস্বীকার করবে।

✍ আল্লাহ তা‘আলা বলেনঃ

ﻭَﺍﺗَّﺨَﺬُﻭْﺍ ﻣِﻦْ ﺩُﻭْﻥِ ﺍﻟﻠﻪِ ﺁﻟِﻬَﺔً ﻟِﻴَﻜُﻮْﻧُﻮْﺍ ﻟَﻬُﻢْ ﻋِﺰًّﺍ، ﻛَﻼَّ ﺳَﻴَﻜْﻔُﺮُﻭْﻥَ ﺑِﻌِﺒَﺎﺩَﺗِﻬِﻢْ ﻭَﻳَﻜُﻮْﻧُﻮْﻥَ ﻋَﻠَﻴْﻬِﻢْ ﺿِﺪًّﺍ -
‘তারা আল্লাহ ব্যতীত বহু মা‘বূদ গ্রহণ করেছে, যাতে তারা তাদের সাহায্যকারী হ’তে পারে। কখনই নয়,
তারা তাদের ইবাদতের কথা অস্বীকার করবে এবং তাদের বিপক্ষে চলে যাবে’ (মারইয়াম ১৯/৮১-৮২)।

✍ তিনি অন্যত্র বলেনঃ

ﻭَﻳَﻮْﻡَ ﻧَﺤْﺸُﺮُﻫُﻢْ ﺟَﻤِﻴْﻌًﺎ ﺛُﻢَّ ﻧَﻘُﻮْﻝُ ﻟِﻠَّﺬِﻳْﻦَ ﺃَﺷْﺮَﻛُﻮْﺍ ﻣَﻜَﺎﻧَﻜُﻢْ ﺃَﻧْﺘُﻢْ
ﻭَﺷُﺮَﻛَﺎﺅُﻛُﻢْ ﻓَﺰَﻳَّﻠْﻨَﺎ ﺑَﻴْﻨَﻬُﻢْ ﻭَﻗَﺎﻝَ ﺷُﺮَﻛَﺎﺅُﻫُﻢْ ﻣَﺎ ﻛُﻨْﺘُﻢْ ﺇِﻳَّﺎﻧَﺎ ﺗَﻌْﺒُﺪُﻭْﻥَ -
ﻓَﻜَﻔَﻰ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﺷَﻬِﻴْﺪًﺍ ﺑَﻴْﻨَﻨَﺎ ﻭَﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْ ﺇِﻥْ ﻛُﻨَّﺎ ﻋَﻦْ ﻋِﺒَﺎﺩَﺗِﻜُﻢْ ﻟَﻐَﺎﻓِﻠِﻴْﻦَ -
‘আর যেদিন আমি তাদের সকলকে একত্রিত
করব, অতঃপর যারা শিরক করেছে তাদেরকে বলব, তোমরা ও তোমাদের শরীকরা নিজ নিজ জায়গায়
দাঁড়িয়ে যাও। অতঃপর আমি তাদেরকে আলাদা করে দিব। তখন তাদের শরীকরা বলবে, তোমরা তো আমাদের ইবাদত করতে না। সুতরাং আল্লাহ আমাদের ও তোমাদের মাঝে সাক্ষী হিসাবে যথেষ্ট। আমরা নিশ্চয়ই তোমাদের ইবাদত সম্পর্কে গাফেল ছিলাম (জানতাম না)’ (ইউনুস ১০/২৮-২৯) ।

✍ তিনি অন্যত্র আরও বলেনঃ
ﻭَﻗِﻴﻞَ
ﺍﺩْﻋُﻮْﺍ ﺷُﺮَﻛَﺎﺀَﻛُﻢْ ﻓَﺪَﻋَﻮْﻫُﻢْ ﻓَﻠَﻢْ ﻳَﺴْﺘَﺠِﻴْﺒُﻮْﺍ ﻟَﻬُﻢْ ﻭَﺭَﺃَﻭُﺍ ﺍﻟْﻌَﺬَﺍﺏَ ﻟَﻮْ
ﺃَﻧَّﻬُﻢْ ﻛَﺎﻧُﻮْﺍ ﻳَﻬْﺘَﺪُﻭْﻥَ -
‘আর বলা হবে, তোমরা তোমাদের দেবতাগুলোকে ডাক, অতঃপর তারা তাদেরকে ডাকবে, তখন তারা তাদের ডাকে সাড়া দিবে না। আর তারা আযাব প্রত্যক্ষ করবে। হায়! এরা যদি সৎপথ প্রাপ্ত হ’ত’ (কাছাছ ২৮/৬৪) ।

✍ তিনি অন্যত্র বলেনঃ

ﻭَﻳَﻮْﻡَ ﻳَﻘُﻮْﻝُ ﻧَﺎﺩُﻭْﺍ ﺷُﺮَﻛَﺎﺋِﻲَ ﺍﻟَّﺬِﻳْﻦَ ﺯَﻋَﻤْﺘُﻢْ ﻓَﺪَﻋَﻮْﻫُﻢْ ﻓَﻠَﻢْ
ﻳَﺴْﺘَﺠِﻴْﺒُﻮْﺍ ﻟَﻬُﻢْ ﻭَﺟَﻌَﻠْﻨَﺎ ﺑَﻴْﻨَﻬُﻢْ ﻣَﻮْﺑِﻘًﺎ - ﻭَﺭَﺃَﻯ ﺍﻟْﻤُﺠْﺮِﻣُﻮْﻥَ ﺍﻟﻨَّﺎﺭَ
ﻓَﻈَﻨُّﻮْﺍ ﺃَﻧَّﻬُﻢْ ﻣُﻮَﺍﻗِﻌُﻮْﻫَﺎ ﻭَﻟَﻢْ ﻳَﺠِﺪُﻭْﺍ ﻋَﻨْﻬَﺎ ﻣَﺼْﺮِﻓًﺎ -
‘আর যেদিন তিনি বলবেন, তোমরা ডাক আমার শরীকদের, যাদেরকে তোমরা (শরীক) মনে করতে। অতঃপর তারা তাদেরকে ডাকবে, কিন্তু তারা তাদের ডাকে সাড়া দিবে না। আমি তাদের মাঝে রেখে দিব ধ্বংসস্থল। আর অপরাধীরা আগুন দেখবে। অতঃপর
তারা নিশ্চিতরূপে জানতে পারবে যে, নিশ্চয়ই তারা তাতে নিপতিত হবে এবং তারা তা থেকে বাঁচার কোন পথ খুঁজে পাবে না’ (কাহাফ ১৮/৫২-৫৩) ।

✍ তিনি অন্যত্র বলেনঃ

ﻭَﻟَﻘَﺪْ ﺟِﺌْﺘُﻤُﻮْﻧَﺎ ﻓُﺮَﺍﺩَﻯ ﻛَﻤَﺎ ﺧَﻠَﻘْﻨَﺎﻛُﻢْ ﺃَﻭَّﻝَ ﻣَﺮَّﺓٍ ﻭَﺗَﺮَﻛْﺘُﻢْ ﻣَﺎ ﺧَﻮَّﻟْﻨَﺎﻛُﻢْ
ﻭَﺭَﺍﺀَ ﻇُﻬُﻮْﺭِﻛُﻢْ ﻭَﻣَﺎ ﻧَﺮَﻯ ﻣَﻌَﻜُﻢْ ﺷُﻔَﻌَﺎﺀَﻛُﻢُ ﺍﻟَّﺬِﻳْﻦَ ﺯَﻋَﻤْﺘُﻢْ ﺃَﻧَّﻬُﻢْ
ﻓِﻴْﻜُﻢْ ﺷُﺮَﻛَﺎﺀُ ﻟَﻘَﺪْ ﺗَﻘَﻄَّﻊَ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْ ﻭَﺿَﻞَّ ﻋَﻨْﻜُﻢْ ﻣَﺎ ﻛُﻨْﺘُﻢْ ﺗَﺰْﻋُﻤُﻮْﻥَ -
‘আর নিশ্চয়ই তোমরা আমার কাছে নিঃসঙ্গ হয়ে এসেছ, যেরূপ আমি তোমাদেরকে প্রথমবার সৃষ্টি করেছিলাম এবং আমি তোমাদেরকে যা দান করেছিলাম, তা তোমরা ছেড়ে এসেছ তোমাদের পিঠের পেছনে। আর আমি তোমাদের সাথে তোমাদের সুপারিশকারীদের দেখছি না, যাদেরকে তোমরা মনে করেছিলে যে, নিশ্চয়ই তারা তোমাদের মধ্যে (আল্লাহর) অংশীদার। অবশ্যই ছিন্ন হয়ে গেছে তোমাদের পরষ্পরের সম্পর্ক। আর তোমরা যা ধারণা করতে, তা তোমাদের হ’তে হারিয়ে গেছে’ (আন‘আম ৬/৯৪) ।

✍ তিনি অন্যত্র বলেনঃ

ﺇِﻧَّﻜُﻢْ ﻭَﻣَﺎ ﺗَﻌْﺒُﺪُﻭْﻥَ ﻣِﻦْ ﺩُﻭْﻥِ ﺍﻟﻠﻪِ ﺣَﺼَﺐُ ﺟَﻬَﻨَّﻢَ ﺃَﻧْﺘُﻢْ ﻟَﻬَﺎ ﻭَﺍﺭِﺩُﻭْﻥَ،
ﻟَﻮْ ﻛَﺎﻥَ ﻫَﺆُﻻَﺀِ ﺁﻟِﻬَﺔً ﻣَﺎ ﻭَﺭَﺩُﻭْﻫَﺎ ﻭَﻛُﻞٌّ ﻓِﻴْﻬَﺎ ﺧَﺎﻟِﺪُﻭْﻥَ
‘তোমরা এবং আল্লাহ তা‘আলার পরিবর্তে তোমরা যাদের ইবাদত কর সেগুলি তো জাহান্নামের ইন্ধন,
তোমরা সকলেই এতে প্রবেশ করবে। যদি এরা ইলাহ হ’ত তাহ’লে এরা জাহান্নামে প্রবেশ করত না, তাদের সকলেই এতে স্থায়ী হবে’ (আম্বিয়া ২১/৯৮-৯৯) ।
(চলবে)
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬

No comments:

Post a Comment